নাজমুল লিখন, পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা থেকে ফিরে:
২০০১ সালে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখনও এটা অনেকের কাছে স্বপ্নের মতোই মনে হতো। কিছুটা আশার আলো দেখা গেলেও বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে তা আরও ফিকে হয়ে যায়। পরে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশেষে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু এখন বাস্তবের পথে। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর নির্মাণযজ্ঞ।
২০০১ সালে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখনও এটা অনেকের কাছে স্বপ্নের মতোই মনে হতো। কিছুটা আশার আলো দেখা গেলেও বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে তা আরও ফিকে হয়ে যায়। পরে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশেষে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু এখন বাস্তবের পথে। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর নির্মাণযজ্ঞ।
প্রধানমন্ত্রী আজ পদ্মা পারের মাওয়া অংশে সেতুর ৭ নম্বর পিলারের মূল
পাইলের উদ্বোধন করবেন। এমন ৪২টি পিলারেই দাঁড়িয়ে যাবে পদ্মা সেতু। এছাড়া
জাজিরা প্রান্তে নদীশাসনের কাজও উদ্বোধন করবেন তিনি। ২০১৮ সালের মধ্যেই
পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ার আশা প্রকাশ করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। দেশের
দীর্ঘতম এই সেতু নির্মিত হলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন বদলে যাবে বলে তারা
আশাবাদী। সেতুকে কেন্দ্র করে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি সবকিছুই বদলে যাবে।
সূচিত হবে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নব ইতিহাসের। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন
পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে মোট দেশজ উত্পাদন (জিডিপি) বাড়বে ১ দশমিক ২ শতাংশ।
ট্রেন ও যানবাহন চলাচল ছাড়াও সেতুতে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ থাকবে
দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের জন্য। ৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ বসবে অপটিক্যাল
ফাইবার ও টেলিযোগাযোগের লাইন স্থাপনে। উচ্চ ভোল্টেজের বিদ্যুতের সঞ্চালন
লাইনেরও ব্যবস্থা থাকবে। এই সেতুর বদৌলতে দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস পৌঁছবে।
বিদ্যুতের ঘাটতিও দূর হবে। সরকারের শীর্ষমহল থেকে শুরু করে স্থানীয়
জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই তদারক করছেন পদ্মা সেতুর কাজ। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে
রয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম সকালের খবরকে জানান, সেতুর
কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে
বেশি কাজ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০১৮ সালের মধ্যেই এই সেতু দিয়ে যানবাহন
চলাচল শুরু করবে। সেতুর নির্মাণ কাজ দেখতে গতকাল মুন্সীগঞ্জের পদ্মা পারে
গিয়ে উত্সবের আমেজ চোখে পড়ে। বর্ষায় দুরন্ত পদ্মা এখন অনেকটা শান্ত হলেও এর
তীরে মানুষের উচ্ছ্বাসের টেউ।
আজ প্রধানমন্ত্রী যে পাইলের উদ্বোধন করবেন ঠিক সেই পাইল থেকে কিছুটা
দূরে দাঁড়িয়ে কথা হয় নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত অজিতের সঙ্গে। তিনি জানান, এ
এলাকার মানুষও বিশ্বাস করত না এখানে সেতু হবে। কাজের প্রায় শুরু থেকেই
এখানে আছি। মানুষ বিশ্বাস না করলেও আমরা বিশ্বাস করতাম সেতু হবেই। এজন্য
সময় লাগবে। এ তো আর আলাদিনের চেরাগ নয়-যে সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যাবে।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প : মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যেই হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। আয়তন ও নির্মাণ ব্যয়ের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প এটি। সেতুটি বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম। দ্বিতল এই সেতুর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন আর নিচ দিয়ে যাবে রেল। রেলের গতি হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। সংশোধনীর পর সর্বশেষ এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প : মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যেই হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। আয়তন ও নির্মাণ ব্যয়ের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প এটি। সেতুটি বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম। দ্বিতল এই সেতুর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন আর নিচ দিয়ে যাবে রেল। রেলের গতি হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। সংশোধনীর পর সর্বশেষ এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি : সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, সেতুর পুরো কাজ প্রধান
পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হল-জমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন, নদীশাসন, মূল
সেতু, দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো (সার্ভিস এলাকা) নির্মাণ। নদীশাসনের কাজ
খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মূল সেতুর কাজ। তবে
সবকিছু বিবেচনায় নিলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রায় ২৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
মূল সেতুর মূল কাজ করছে চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন
(এমবিইসি)। মূল সেতু নির্মাণের ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
নদীভাঙন ঠেকাতে নদীর দুই তীরে ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীশাসনের কাজ করছে চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড। নদীশাসনের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। কয়েক দফা নদীভাঙনের কারণে কাজ কিছুটা পিছিয়েছে। সংযোগ সড়কের মধ্যে শরীয়তপুরের জাজিরায় ৫৯ এবং মাওয়ায় ৬৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
নদীভাঙন ঠেকাতে নদীর দুই তীরে ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীশাসনের কাজ করছে চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড। নদীশাসনের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। কয়েক দফা নদীভাঙনের কারণে কাজ কিছুটা পিছিয়েছে। সংযোগ সড়কের মধ্যে শরীয়তপুরের জাজিরায় ৫৯ এবং মাওয়ায় ৬৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
পদ্মা সেতুর জন্য যাদেরকে বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছাড়তে হয়েছে তাদের জন্য
পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে সরকার। তাদের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা
করেছে, প্লট তৈরি করে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা ও মাদারীপুরের সদর
উপজেলায় মোট সাতটি পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে মোট ১
হাজার ৩৪২টি পরিবারকে প্লট দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ লোককে পুনর্বাসন
করা হয়েছে। বাকি লোকদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলছে। প্রকল্পের জন্য মোট
১৪০৮.৫৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
বিশাল কর্মযজ্ঞ : মাঝ নদী থেকে শুরু করে নদীর দুই তীরে, সেখান থেকে আরও দেড় কিলোমিটার দূরে চলছে নির্মাণ কাজ। ভারি ভারি নির্মাণযন্ত্র দিয়ে চলছে পাথরভাঙা, মাটি কাটা, মাটি ভরাট, রাস্তা সমান করার কাজ। বিশাল স্তূপাকারে রাখা হয়েছে পাথর, বালু। অত্যাধুনিক মেশিনে বানানো হচ্ছে নদীশাসনের জন্য ব্লক। বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার দিয়ে চলছে নদীর বালু উত্তোলন। সব মিলিয়ে পদ্মা পারে চলছে উত্সবের আমেজ।
বিশাল কর্মযজ্ঞ : মাঝ নদী থেকে শুরু করে নদীর দুই তীরে, সেখান থেকে আরও দেড় কিলোমিটার দূরে চলছে নির্মাণ কাজ। ভারি ভারি নির্মাণযন্ত্র দিয়ে চলছে পাথরভাঙা, মাটি কাটা, মাটি ভরাট, রাস্তা সমান করার কাজ। বিশাল স্তূপাকারে রাখা হয়েছে পাথর, বালু। অত্যাধুনিক মেশিনে বানানো হচ্ছে নদীশাসনের জন্য ব্লক। বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার দিয়ে চলছে নদীর বালু উত্তোলন। সব মিলিয়ে পদ্মা পারে চলছে উত্সবের আমেজ।
মাওয়া চৌরাস্তা বরাবর আগে যেখানে ফেরিঘাট ছিল সেদিক দিয়েই হবে এই সেতু।
চৌরাস্তা থেকে অল্প এগোতেই চোখে পড়বে নদীর তীরে গড়ে ওঠা বিশাল আয়তনের
কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড (নির্মাণ মাঠ)। এখানেই বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাজ চলছে।
নদীর তীরঘেঁষে সিনো হাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে চলছে নদীশাসনের জন্য কংক্রিট ব্লক তৈরির কাজ। স্বয়ংক্রিয় মেশিনের সাহায্যে তৈরি হচ্ছে ব্লক। নদীভাঙন ঠেকাতে এই ব্লক দিয়েই নদীর তীর বাঁধা হবে।
এমবিইসির কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে পাইলিংয়ের পাইপ তৈরির কাজ চলছে। নদীপথে চীন থেকে আনা বিশাল পুরু স্টিলের পাত ওয়ার্কশপের কাছে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ক্রেন দিয়ে তা একটা একটা করে আলাদা করা হচ্ছে। এরপর বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে খণ্ড খণ্ড টিউব বা পাইপের মতো করে তৈরি করা হচ্ছে। এমন অনেকগুলো টিউব এক সঙ্গে ওয়েল্ডিংয়ের মাধ্যমে জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিশাল আকৃতির এই পাইল। পাইলিং পাইপ তৈরির পর ইয়ার্ড থেকে বসানো রেললাইনের মাধ্যমে নদীতে নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে হাজার টনের ক্রেনের মাধ্যমে নেওয়া হবে সেতুর নির্মাণস্থলে।
নদীর তীরঘেঁষে সিনো হাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে চলছে নদীশাসনের জন্য কংক্রিট ব্লক তৈরির কাজ। স্বয়ংক্রিয় মেশিনের সাহায্যে তৈরি হচ্ছে ব্লক। নদীভাঙন ঠেকাতে এই ব্লক দিয়েই নদীর তীর বাঁধা হবে।
এমবিইসির কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে পাইলিংয়ের পাইপ তৈরির কাজ চলছে। নদীপথে চীন থেকে আনা বিশাল পুরু স্টিলের পাত ওয়ার্কশপের কাছে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ক্রেন দিয়ে তা একটা একটা করে আলাদা করা হচ্ছে। এরপর বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে খণ্ড খণ্ড টিউব বা পাইপের মতো করে তৈরি করা হচ্ছে। এমন অনেকগুলো টিউব এক সঙ্গে ওয়েল্ডিংয়ের মাধ্যমে জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিশাল আকৃতির এই পাইল। পাইলিং পাইপ তৈরির পর ইয়ার্ড থেকে বসানো রেললাইনের মাধ্যমে নদীতে নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে হাজার টনের ক্রেনের মাধ্যমে নেওয়া হবে সেতুর নির্মাণস্থলে।
এখানে দাঁড়িয়ে কথা হয় প্রকল্পের এক প্রকৌশলীর সঙ্গে। তিনি জানান, যথাযথ
মাননিয়ন্ত্রণ করেই পাইপগুলো তৈরি করা হচ্ছে। দুটি পাইপ জোড়া দেওয়ার
ক্ষেত্রে ওয়েল্ডিং, গ্রেন্টিংয়ের পাশাপাশি বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার
করা হচ্ছে, যাতে সামান্যতম ফাঁকা না থাকে।
কাজ কেমন লাগছে তা জানতে চাইলে নির্মাণ শ্রমিক গোলাম মোস্তফা জানায়, খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী টাকা পাওয়া যায় না। তারপরও দেশের এত বড় একটা কাজের সঙ্গে থাকতে পেরে নিজের কাছে ভালো লাগছে।
কাজ কেমন লাগছে তা জানতে চাইলে নির্মাণ শ্রমিক গোলাম মোস্তফা জানায়, খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী টাকা পাওয়া যায় না। তারপরও দেশের এত বড় একটা কাজের সঙ্গে থাকতে পেরে নিজের কাছে ভালো লাগছে।
অন্যান্য তথ্য : নৌযান চলাচলের জন্য শুষ্ক মৌসুমে পানির উপরিভাগ থেকে
সেতুর উচ্চতা হবে ১৮.৩ মিটার। সেতুতে থাকবে ৪১টি স্পান (দুই পিলারের
মধ্যবর্তী স্থান)। দুটি স্প্যানের মধ্যবর্তী দূরুত্ব ১৫০ মিটার। মূল সেতুর
৪০টি পিলারে ছয়টি করে ২৪০টি এবং দুই পারের দুটিতে ১২টি করে ২৪টি, অর্থাত্
২৬৪টি পাইল করতে হবে। স্টিলের তৈরি প্রতিটি পাইলের ডায়ামিটার ৩ মিটার। নদীর
তীরে পাইলের উচ্চতা ১১৭ মিটার (প্রায় ৩৮০ ফুট)। আর মাঝখানে থাকবে ১০১
মিটার। জার্মানি থেকে আনা এক হাজার টন ক্ষমতাসম্পন্ন হাইড্রোলিক হাতুড়ির
মাধ্যমে পোঁতা হবে পাইলিং পাইপগুলো। ১০ ফুট ব্যাসের পাইপগুলো রড, সিমেন্ট,
পাথরের ঢালাইয়ে পূর্ণ করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাবনা : সেতুর জন্য যাদের জমিজমা, ভিটেমাটি ত্যাগ করতে হয়েছে তারাও সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছেন। এদের একজন কোহিনূর বেগম বলেন, বাপ-দাদার ভিটেমাটি হারিয়েছি তাতে কষ্ট নেই। দেশের উন্নতি হচ্ছে এটাই আমাদের কাছে আনন্দের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরেকজন আকবর হোসেন জানান, সেতু হওয়ার খবরে এলাকায় জমির দাম বেড়ে গেছে। অনেকেই এখানে আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এতে করে এলাকার আরও উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাবনা : সেতুর জন্য যাদের জমিজমা, ভিটেমাটি ত্যাগ করতে হয়েছে তারাও সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছেন। এদের একজন কোহিনূর বেগম বলেন, বাপ-দাদার ভিটেমাটি হারিয়েছি তাতে কষ্ট নেই। দেশের উন্নতি হচ্ছে এটাই আমাদের কাছে আনন্দের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরেকজন আকবর হোসেন জানান, সেতু হওয়ার খবরে এলাকায় জমির দাম বেড়ে গেছে। অনেকেই এখানে আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এতে করে এলাকার আরও উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন তিনি।
তবে নিজের আদি পেশা হারাতে হবে ভেবে বেশ চিন্তিত নৌযান চালক আক্কাস
মিয়া। তিনি বলেন, এতদিনের পেশা ছাইড়া দিতে হইব। কষ্ট লাগে। কিন্তু কী করুম?
দেশের মানুষের স্বার্থ তো আগে। নতুন কাম কী করা যায় তাই ভাবতাছি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সোলাইমান হোসেন জানান, এই পদ্মায় কত মানুষ যে হারিয়ে গেছে তার ঠিক নেই। সেতু হলে আর কারও বুক খালি হবে না। যাতায়াতেও অনেক সুবিধা হবে।
ফিরে দেখা : সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি পর্বেই দুর্নীতির অভিযোগ এনে এ প্রকল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলো। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়। বৈদেশিক সাহায্য না পাওয়া গেলে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণে অনড় অবস্থানের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১২ সালে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। পদ্মা সেতুর মূল প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছিল ২০০৭ সালে। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। ২০১১ সালে একবার প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। পরে ওই ব্যয় ও সময় বাড়লেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবে রূপ লাভ করতে যাচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সোলাইমান হোসেন জানান, এই পদ্মায় কত মানুষ যে হারিয়ে গেছে তার ঠিক নেই। সেতু হলে আর কারও বুক খালি হবে না। যাতায়াতেও অনেক সুবিধা হবে।
ফিরে দেখা : সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি পর্বেই দুর্নীতির অভিযোগ এনে এ প্রকল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলো। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়। বৈদেশিক সাহায্য না পাওয়া গেলে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণে অনড় অবস্থানের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১২ সালে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। পদ্মা সেতুর মূল প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছিল ২০০৭ সালে। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। ২০১১ সালে একবার প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। পরে ওই ব্যয় ও সময় বাড়লেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবে রূপ লাভ করতে যাচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ