সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় শতাধিক ককটেল, আগ্নেয়াস্ত্র ও জিহাদবিষয়ক বইসহ শিবিরের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খুলনায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়েছে আরো ছয় শিবির নেতাকর্মীকে। গতকাল শনিবার সিলেট ও খুলনায় পুলিশ এই অভিযান চালায়।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার হাঁটুভাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুটি বাড়ি থেকে ১০১টি ককটেল, দুটি পাইপগান ও জিহাদবিষয়ক বই উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় গ্রামের রুমন মিয়া (২০) ও মোজাম্মেল হোসেনকে (২১)। তবে অন্য আরেকজন পালিয়ে গেছে।
গতকাল দুপুরে সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গতকাল ভোরের দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি নন্দন কান্তি ধরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার দক্ষিণ আশিগাঁও গ্রামে ইমরুল ইসলাম বকুলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বকুলের বসতঘরের খাটের নিচে কার্টনে রাখা সাতটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। তবে বকুল পালিয়ে যায়। পরে উপজেলার মাইজগাঁও ইউনিয়নের হাঁটুভাঙ্গা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রুমনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সকাল ৭টার দিকে একই গ্রামের অন্য শিবির ক্যাডার মোজাম্মেলকে আটক করা হয়। তাঁর বাড়ি থেকে দুটি কার্টনে রাখা লাল ও কালো টেপ মোড়ানো ৯৪টি ককটেল, দুটি পাইপগান ও কয়েকটি জিহাদবিষয়ক বই উদ্ধার করা হয়।
বিস্ফোরক তৈরির মূল হোতা ইমরুল ইসলাম বকুলসহ তাদের গডফাদারদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর কালের কণ্ঠকে বলেন, মানবতাবিরোধীদের মামলার রায় এবং অন্যান্য ইস্যুতে নাশকতার জন্য এসব বিস্ফোরক তৈরি ও জড়ো করা হচ্ছিল বলে তাঁরা ধারণা করছেন। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
অন্যদিকে খুলনায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর খালিশপুরের সিটি পলিটেকনিক এলাকা থেকে শিবিরের ছয় কর্মীকে আটক করা হয়। তারা হলো দেলোয়ার হুসাইন, আমিনুল ইসলাম, নাহিদ, হাসান, মোমিন ও আতিকুর রহমান। তাদের কাছ থেকে জামায়াত-শিবিরের বেশ কিছু পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে।
খালিশপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আটক হওয়া শিবিরের কর্মীরা কলেজ ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতা।
মন্তব্যসমূহ