অপরাধী সনাক্ত ও দমনে ময়মনসিংহ শহরের সিসি ক্যামেরা

অপরাধী সনাক্ত ও দমনে ময়মনসিংহ শহরের সিসি ক্যামেরা


শাহ আলম উজ্জ্বল। ১৫ নভেম্বর ২০১৫, রবিবার,
বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগে উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করনের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। প্রযুক্তির আওতায় এইচডি এবং আইপি ক্যামেরাকে তৃতীয় চক্ষু বলে, এই তৃতীয় চক্ষুর মাধমে উন্নত দেশ গুলোতে অপরাধ নিবারন ও অপরাধ সংগঠিত হলে অপরাধীকে সনাক্ত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার হয়ে থাকে ।
শিক্ষা নগরী হিসাবে পরিচিত দেশের অষ্টম বিভাগ ময়মনসিংহ শহরে পুলিশ অপরাধ দমনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান গাঙ্গিনার, সিকে ঘোষ ও স্টেশন রোডের মার্কেট ও বিপনী বিতান গুলোতে ইন্টারনেট প্রটোকল ক্যামেরা (সংক্ষেপে আই.পি ক্যামেরা) সিসি ক্যামেরা বসিয়ে প্রযুক্তির নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিয়েছে । পুলিশ বলছে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শহরের মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিছুটা হলেও উন্নত পর্যায়ে আনা যাবে এবং অপরাধীকে সনাক্ত করতে পারবে ।
দেশের অষ্টম বিভাগীয় শহরের প্রান কেন্দ্র গাঙ্গিনার,সিকে ঘোষ ও স্টেশন রোডের মার্কেট ও বিপনীবিতানগুলো রাজনৈতিক নাশকতা, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা, মোটর সাইকেল চুরি ও সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করতে ও অপরাধ অনুসন্ধান, মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, এতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা বেশী উপকৃত হচ্ছে।
গত ২/৩ মাসে শহরের বিপনীবিতান ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামন থেকে সংঘদ্ধ চোরের দল দিন-দুপুরে শতাধিক মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে গেছে এবং ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাতে ২ ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। তাই শহরের বড় বড় বিপনীবিতান ও মার্কেট গুলির সামনের সড়ক, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নজরদারী করতে ইন্টার নেট প্রটোকল ক্যামেরা (সংক্ষেপে আই.পি ক্যামেরা) (সিসি) বসানো হয়েছে, জেলা পুলিশের আইটি বিশেষ্ণ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ হারুন অর রশিদ বলেন এই ক্যামেরায় ধারন কৃত ছবি দেখে সংগঠিত অপরাধীদের যেমন সনাক্ত করা যাবে, তেমনী পুলিশ কর্মকতারা তাদের স্মার্ট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শহরের পরিসি’তি মনিটরিং করে নির্দেশনা দিতে পারবেন এবং যানজট নিয়ন্ত্রনে দ্রুত সিদ্ধান- নেয়া সম্ভব হবে।
বাস-বায়নকারী প্রতিষ্ঠানের টেকনিক্যাল ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন পুলিশের দেয়া শহরের গুরুত্ব পূর্ণ ও বিপনীবিতানের সামনে তথ্য প্রযক্তির ৩২টি উন্নত মানের আইপি ক্যামেরা বসানোর কাজ সম্পন্ন করেছি , এই সব ক্যামেরায় চব্বিশ ঘন্টায় মনিটরিং ও রেকড্‌ হচ্ছে, জেলার উদ্ধর্তন কর্মকর্তার স্মার্ট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তা দেখতে পাচ্ছে।
শহরের ব্যবসায়ীরা বলেন প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে ক্রেতা, সাধারন মানুষ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অপরাধীরা আতংকে থাকবে, পুরো শহর ইন্টারনেট প্রটোকল ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন্‌।
পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন প্রযুক্তির সাহার্য্যে অপরাধ দমনে পোষাক ধারী পুলিশের পাশাপাশি গোপন ক্যামেরায় চলমান সকল ঘটনা এবং রাষ্টীয় বা জন গুরুত্বপূর্ণ যে কোন অনুষ্ঠানের ভিডিও ধারন, এমনকি দূধর্ষ অপরাধীদের গ্রেফতার করতে এবং তাদের গতি বিধি পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেয়া যাবে,তিনি আরো বলেন আইপি (সিসি) ক্যামেরা বসানোর ফলে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার হলে অপরাধ শত ভাগ বন্ধ না হলেও কোন ঘটনাই আর ক্লু-লেস থাকবে না।

মন্তব্যসমূহ