বিএফআরআই এর সাবেক মহাপরিচালক ড. এম. এ. মজিদের আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ

বিএফআরআই এর সাবেক মহাপরিচালক ড. এম. এ. মজিদের আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ


স্টাফ রিপোর্টার |
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর সাবেক মহাপরিচালক ড. এম. এ. মজিদ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় মৎস্য চাষ ও মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের আন্তর্জাতিক পিল্লে অ্যাকোয়াকালচার ফাউন্ডেশন (পিএএফ) পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। ড. এম. এ. মজিদকে আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ভারতের মুম্বাইতে শুরু হতে যাওয়া সামাজিক উদ্যোক্তা তৈরিকরণ বিষয়ক ৩য় পিএএফ সম্মেলনে এ পুরষ্কার তুলে দেওয়া হবে। ড. এম. এ. মজিদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক, জাতিসংঘের ইন্ডাস্ট্রিয়াল উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থার (UNIDO) প্রাক্তন জাতীয় বিশেষজ্ঞ এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ঢাকার প্রাক্তন রেজিস্ট্রার ছিলেন।
ড. এম. এ. মজিদ একজন স্বনামধন্য মৎস্য বিজ্ঞানী যিনি বাংলাদেশের মৎস্য গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (বিএফআরআই) সেন্টার অব এক্সিলেন্স এ পরিণত করেন। তিনি ১৯৯২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিএফআরআই এর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার তত্ত্বাবধানে বিএফআরআই থেকে নতুন নতুন মৎস্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয় এবং সেগুলো পরবর্তীতে দেশে বৃহৎ পরিসরে চাষীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে দেশে মাছের উৎপাদন আজ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে মাছের উৎপাদন বিএফআরআই প্রতিষ্ঠার বছর ১৯৮৫ সালের ৮ লক্ষ মেট্রিক টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৪ সালে ৩৫ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। ড. মজিদ বাংলাদেশে বিজ্ঞান ভিত্তিক মৎস্য চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা চাষীদের মাঝে জনপ্রিয় করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তার তত্ত্বাবধান ও নেতৃত্বে প্রায় ৪০টি মৎস্য বিষয়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ চাষীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের বিপুল সৎখ্যক মৎস্যচাষী, বেকার যুবক, এমনকি মহিলারা মৎস্য চাষকে তাদের জীবিকা, আয় উপার্জনের উৎস, প্রাণিজ আমিষের যোগান এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে। ফলে আজ বাংলাদেশে মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে বিপ্লব সাধিত হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ