ছয় খুনের দায় স্বীকার জেএমবির তারিকুলের


ছয় খুনের দায় স্বীকার জেএমবির তারিকুলের

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর গোপীবাগে ছয় খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য তারিকুল ইসলাম ।

শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান আসামি তারিকুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জেএমবি সদস্যরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছে তারিকুল।

জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন ছয় খুনের  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক কাজী গোলাম কবীর।
এর আগে বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তারিকুলকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মতিঝিলের নিকটবর্তী গোপীবাগের একটি বাড়িতে ইমাম মেহেদির প্রধান সেনাপতি বলে দাবি করা লুৎফর রহমানসহ ছয়জনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় লুৎফর রহমানের ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল ফারুক ওয়ারী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

জবানবন্দিতে তারিকুল উল্লেখ করেছে, লুৎফর রহমানসহ ছয়জনকে হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় সেসহ মোট ছয়জন।  এ বিষয়ে জেএমবির শীর্ষস্থানীয় নেতারা পরিকল্পনা করে। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা  ছয়জনকে গলা কেটে হত্যা করে।

ছয় খুনের মামলায় জেএমবির সেকেন্ড ইন কমান্ড গোলাম সারওয়ার রাহাত ও আজমীর অমিতকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তারা জামিনে রয়েছেন।

এর আগে গত ২৫ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারিকুল নিজ হাতে পিডিবির প্রাক্তন চেয়ারম্যান খিজির খানকে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করে। গত ৫ অক্টোবর রাজধানীর বাড্ডায় কথিত পির খিজির খানকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয় তারিকুল। পুলিশ ১৪ অক্টোবর টাঙ্গাইল থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

জেএমবি সদস্য তারিকুল ইসলাম এর আগে ২০০৫ সালে সারা দেশে একযোগে বোমা হামলার ঘটনায় চট্টগ্রামে গ্রেফতার হয়েছিল। এরপর দুবছর আগে জামিনে ছাড়া পায় সে।

সৌদিতে এবার এক সঙ্গে ৫০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে

প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর ২০১৫
বিডিনিউজ ॥ সৌদি সরকার একই দিনে অর্ধশতাধিক নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে বলে খবর এসেছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা এই সৌদি নাগরিকদের মধ্যে দেশটির শিয়া নেতা শেখ আল নিমরের ভাতিজা আলী আল-নিমরও রয়েছেন। ২০১১-১২ সালে সৌদি রাজতন্ত্র উৎখাতের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। সৌদি সংবাদপত্র ওকাজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার দায়ে ৫৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। আর আল-রিয়াদের প্রতিবেদনে ৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিকল্পনার কথা বলা হলেও পরে তা ইন্টারনেট থেকে মুছে ফেলা হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, সৌদি আরবে চলতি বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যার দিকে তাকালে উদ্বিগ্ন না হওয়ার কোন কারণ নেই। এই মানবাধিকার সংস্থা বলছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত অন্তত ১৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ, যা ১৯৯৫ সালের পর সর্বোচ্চ। ২০১৪ সালে ৯০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল দেশটি।
ওকাজ লিখেছে, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিকল্পনা হয়েছে তাদের মধ্যে ‘আল কায়েদার কয়েক সন্ত্রাসী’ ও আওয়ামিয়া এলাকার কয়েকজন রয়েছেন। আল কায়েদার ওই কথিত সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক ও ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সৌদি সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিল বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আর আওয়ামিয়ার আসামিরা সৌদি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা এবং পাশের দেশ বাহরাইনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। সৌদি আরবের তেলসমৃদ্ধ কাতিফ এলাকার একটি শহর এই আওয়ামিয়া। ২০১১ সালে সৌদি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে যে শিয়া আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার কেন্দ্রে ছিল এই শহর।
মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টির অভিযোগ, মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় থাকা অর্ধশতাধিক সৌদি নাগরিকের মধ্যে ছয় শিয়া আন্দোলনকারীও রয়েছেন, যারা ‘ন্যায্য বিচার পাননি’।
এ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা শাখার উপ-পরিচালক জেমস লিঞ্চ বলেন, সৌদি সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থানের কথা বলে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করছে, এটা স্পষ্ট।
তিনি বলেন, ওই ছয়জনের মধ্যে তিনজনের ক্ষেত্রে যে বয়সে অপরাধ সংঘটনের কথা বলা হয়েছে, তখনও তারা অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। নির্মম অত্যাচারের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করারও অভিযোগ উঠেছে।
এই তিনজন হলেন- আলী আল-নিমর, আবদুল্লাহ আল জহির ও হুসেইন আল মারহুন। গ্রেফতারের সময় তাদের সবার বয়সই ১৮ বছরের কম ছিল বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এই ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের মা গত মঙ্গলবার সৌদি বাদশা সালমানের কাছে তাদের সন্তানদের ‘প্রাণভিক্ষা’ চেয়েছেন। তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানতে পেরে এই মায়েদের ধারণা হয়েছে, এটা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করারই প্রস্তুতি। এদের মধ্যে চারজনকে আল-হেয়ার কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে বলে এ্যামনেস্টি জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড গত মাসে বলেছিলেন, তিনি কোনভাবেই আলী আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি মেনে নেবেন না। এর প্রতিক্রিয়ায় সৌদি আরব বলেছিল, ‘শরিয়া আইন’ ও ‘সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া’ মেনেই তারা দণ্ড কার্যকর করে। এ প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বললে তা দুই দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- See more at: http://www.dailyjanakantha.com/details/article/156768/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87_%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A6%8F%E0%A6%95_%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87_%E0%A7%AB%E0%A7%A6_%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1_%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A6%B0_%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87#sthash.rVskT6ll.dpuf

মন্তব্যসমূহ