বগুড়া/গাইবান্ধা প্রতিনিধি : বগুড়ায় হঠাৎ করেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। জেঁকে বসেছে কনকনে শীত। তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হওয়ার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। হঠাৎ শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ ভীড় করছে ফুটপাথ ও রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের শীতের কাপড়ের দোকানে। হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা। বগুড়া আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাহমুদুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। গতকাল শনিবার বগুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ রবিবার তাপমাত্রা আরও কমে শীতের তীব্রতা বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বগুড়াসহ উত্তরের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এঅবস্থা আরও দু’দিন থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুর রহমান জানান, দুস্থ শীতার্ত মানুষের শীত নিবারনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৬০০ কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ দেওয়া কম্বল ১২টি উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে শৈতপ্রবাহের কারনে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহজনিত শ্বাসকষ্ট ব্রংকাইটিসসহ বিভিন্ন রোগের বিস্তার ঘটছে। প্রতিদিন হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। গত দু’দিনে জেলার ১২ উপজেলায় প্রায় দেড় শতাধিক শিশু ও বয়স্ক রোগী ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থকেন্দ্রগুলোতে ভর্তি হয়েছেন।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাপসাতাল (শজিমেক) এর চিকিৎসক অসীম কুমার সাহা ও শফিক আমিন কাজল জানান, এসময়টাতে নবজাতক শিশুদের প্রতি মায়েদের আলাদা যতœ নিতে হবে। সেইসাথে বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও জানান, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া হলে যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নেওয়া উচিৎ ।
অপরদিকে, গাইবান্ধা জেলার সর্বত্র গত তিনদিন থেকেই হঠাৎ করেই তীব্র কুয়াশা পড়তে শুরু করে। শনিবার কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে গোটা গাইবান্ধা জেলা। সেই সাথে হিমেল হাওয়া বইতে থাকে। হঠাৎ করে শীত শুরু হওয়ায় মানুষ চরম বিপাকে পড়ে। রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত ঝড়েছে কুয়াশা। হঠাৎ শুরু হওয়া এই শীতে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রিত এবং চরাঞ্চলের মানুষ দুর্ভোগের কবলে পড়ে। শীতে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা এতে কষ্ট পাচ্ছে বেশি। শহরের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন মানুষের উপচে পড়া ভীড়। এই সুযোগে গাউন মার্কেট ও গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যবসায়িরা কাপড়ের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছে। ফলে অর্থাভাবে দরিদ্র মানুষদের পক্ষে শীতের কাপড় সংগ্রহ করা খুব কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্য নদ-নদীতে নৌ চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। ফলে মূল ভূমির সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরাঞ্চলের মানুষরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়ে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপেক্সে শিশু ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর, মাথা ব্যাথাসহ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকায় সরিষা গাছের ফুল ঝড়ে পড়তে শুরু করেছে।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুর রহমান জানান, দুস্থ শীতার্ত মানুষের শীত নিবারনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৬০০ কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ দেওয়া কম্বল ১২টি উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে শৈতপ্রবাহের কারনে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহজনিত শ্বাসকষ্ট ব্রংকাইটিসসহ বিভিন্ন রোগের বিস্তার ঘটছে। প্রতিদিন হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। গত দু’দিনে জেলার ১২ উপজেলায় প্রায় দেড় শতাধিক শিশু ও বয়স্ক রোগী ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থকেন্দ্রগুলোতে ভর্তি হয়েছেন।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাপসাতাল (শজিমেক) এর চিকিৎসক অসীম কুমার সাহা ও শফিক আমিন কাজল জানান, এসময়টাতে নবজাতক শিশুদের প্রতি মায়েদের আলাদা যতœ নিতে হবে। সেইসাথে বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও জানান, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া হলে যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নেওয়া উচিৎ ।
অপরদিকে, গাইবান্ধা জেলার সর্বত্র গত তিনদিন থেকেই হঠাৎ করেই তীব্র কুয়াশা পড়তে শুরু করে। শনিবার কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে গোটা গাইবান্ধা জেলা। সেই সাথে হিমেল হাওয়া বইতে থাকে। হঠাৎ করে শীত শুরু হওয়ায় মানুষ চরম বিপাকে পড়ে। রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত ঝড়েছে কুয়াশা। হঠাৎ শুরু হওয়া এই শীতে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রিত এবং চরাঞ্চলের মানুষ দুর্ভোগের কবলে পড়ে। শীতে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা এতে কষ্ট পাচ্ছে বেশি। শহরের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন মানুষের উপচে পড়া ভীড়। এই সুযোগে গাউন মার্কেট ও গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যবসায়িরা কাপড়ের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছে। ফলে অর্থাভাবে দরিদ্র মানুষদের পক্ষে শীতের কাপড় সংগ্রহ করা খুব কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্য নদ-নদীতে নৌ চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। ফলে মূল ভূমির সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরাঞ্চলের মানুষরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়ে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপেক্সে শিশু ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর, মাথা ব্যাথাসহ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকায় সরিষা গাছের ফুল ঝড়ে পড়তে শুরু করেছে।
মন্তব্যসমূহ