মোঃ মামুন চৌধুরী,হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের হাওরসহ বিভিন্ন এলাকায় আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে গলতা চিংড়ি’র চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন চাষীরা। এ চাষকে আরো এগিয়ে নিতে হবিগঞ্জ জেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে চাষীদের মাঝে তিনদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ পেয়ে তারা (চাষীরা)এ চাষকে আরো এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সূত্র জানায়, জেলার হাওরে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর পরিমাণে গলদা চিংড়ি জন্মায়। এ চিংড়ি মাছ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে কিছু পরিমাণে সৌদি আরব, আমেরিকা, লন্ডনে রপ্তানী হচ্ছে। কারণ এখানের হাওরের স্বাদু পানির উৎপাদিত গলদা চিংড়ি বাংলাদেশী সিলেটী প্রবাসীদের কাছে প্রিয় খাবার। তাই প্রবাসীদের স্বার্থে হবিগঞ্জের হাওরের গলদা চিংড়ি রপ্তানী হচ্ছে। হাওরে যদিও প্রাকৃতিকভাবে গলদা চিংড়ি জন্ম নিচ্ছে। তার সাথে এবার বাণিজ্যিকভাবে এ চিংড়ির চাষ হচ্ছে।
চাষীরা চিংড়ির পোনাগুলো নরসিন্দী,কক্সবাজার, সাতক্ষিরা,বাগেরহাঁট থেকে ক্রয় করে নিয়ে এসে, এসব পোনা তারা চাষ করে সফলতা পাচ্ছেন। এ বিয়ষটি জেলা মৎস্য বিভাগের নজরে আসলে, তারা এ চাষকে আরো এগিয়ে নিতে চাষীদের মাঝে স্বাদু পানিতে গলদা চিংড়ি চাষ উপলক্ষ্যে নার্সারী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
এ প্রশিক্ষণে বিভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষীরা গলদা চিংড়ি’র চাষাবাদ করে সফলতা নিয়ে আসা সম্ভব এ ব্যাপারে বিস্তারিত কলাকৌশল পেশ করেন জেলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন আহম্মদ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তোফাজ উদ্দিন আহমেদ। এতে নানভাবে সহায়তা করেন- জেলা মৎস্য অফিসের মোঃ সিরাজুল আবদাল মামুন, কছির মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আলাপকালে চাষী কাছুম আলী, আফরোজ মিয়া, কছির মিয়ারা বলেন- লবনাক্ত পানির পোনা এনে দুই বছর ধরে গলদা চিংড়ির চাষ শুরু করেছি। এ ধরণের চাষ করে তাদের ন্যায় অন্যান্য চাষীরাও সফলতা পাচ্ছে। এতে করে হাজার হাজার চাষীর নতুন উপার্জনের পথ তৈরী হচ্ছে। তারা বলেন- জেলা মৎস্য অফিস গলদা চিংড়ির চাষ এগোতে চায় বলেই এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে।
সূত্র জানায়, জেলার ৫৪টি হাওর এলাকায় সরকারী বিলের সংখ্যা ৬৭৫টি আর বেসরকারী বিল রয়েছে ৫৩৭টি। রয়েছে বরাক, খোয়াই, শুঁটকী, রতœা, সুতাং, ভেড়ামোহনা, বিজনা, কুশিয়ারা,সোনাই, করাঙ্গীসহ অন্যান্য নদীগুলো। আর খাল রয়েছে ৭৪টি। এছাড়া জেলায় রয়েছে পুকুর,ডোবাসহ নানা জলাশয়। এসব জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিচ্ছে গলদা চিংড়িসহ দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ।
এসব মাছের আবাদ বাড়াতে হাওরে গভীর জলাশয়ে বিলে মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরী করা প্রয়োজন বলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন আহম্মদ মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি মনে করেন, গভীর বিলে অভয়াশ্রম করলে সফলতা আসবে। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ে বৃদ্ধি পাবে দেশীয় মাছের আবাদ। তিনি বলেন সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে মাছের আবাদ বৃদ্ধি করতে এছাড়া ভাল উপায় নেই। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আমলে নিয়েছে বলেই হাওরে বিল খনন করা হচ্ছে। তবে আরো ব্যাপকভাবে বরাদ্দ দিয়ে জলাশয় খনন করা প্রয়োজন।
সূত্র জানায়, সরকারী বিলগুলো প্রতিবছরের বৈশাখ থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত লীজ দেয়া হয়। আর লীজ গ্রহীতারা লাভের আশায় অবাধে মাছ শিকার করেন। তাতে করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাঁধা তৈরী হচ্ছে। তারপরও জেলার স্বাদু পানিতে নানা প্রজাতির মাছের সাথে গলদা চিংড়ি জন্ম নিচ্ছে। তিনি বলেন- গলদা চিংড়ি স্বাদু পানিতে ও বাগদা চিংড়ি লবণাক্ত পানিতে জন্ম নিচ্ছে। লবণাক্ত পানিতে বাগদা চিংড়ি জন্ম নেয়ার পর অনেক সময় নিরাপদে আসতে গিয়ে হাওরের স্বাদু পানিত চলে আসে। এখানে তাদের বংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে পরিবেশ প্রেমিক মাসুক রানা বলেন- জলাশয় রক্ষা করে মাছের আবাদ বৃদ্ধি করতে হাওরে হাওরে গভীর বিলে মৎস্য অভয়াশ্রম গড়ে তোলা প্রয়োজন। তার এমন যুক্তিকে সাধুবাদ জানিয়ে অন্যান্য পরিবেশ প্রেমিকরা বলেন- হাওরে নানা প্রজাতির মাছের সাথে গলদা চিংড়ির চাষতে আরো এগিয়ে নিতে হবে। জেলা প্রশাসনে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, নিয়মমতে বিলগুলো লীজ দেয়া হচ্ছে। চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের আবাদ বাড়াতে আমরা কাজ করছি। আর পূর্বের চেয়ে বর্তমানে মাছের উৎপাদন বাড়ছে। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে উপযুক্ত পরিবেশে গলদা চিংড়ি’র চাষ করলে বর্তমানের চেয়ে উৎপাদন চারগুণ বেড়ে যাবে বলে এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলা মৎস্য অফিস জানান, জেলার মোট জলাশয়ের পরিমাণ ৯৭,১৩৫.১৫ হেক্টর। মাছের উৎপাদন ২৮৪৭৪ মেট্রিক টন, মাছের চাহিদা ২২৯০৯ মেট্রিক টন। এ হিসেবে মাছের উদ্বৃত্ত ৫৫৬৫ মেট্রিক টন। মাছের উৎপাদন আরো বাড়াতে মৎস্য অধিদপ্তর নানা পদ্ধতি গ্রহণ করছে।
চাষীরা চিংড়ির পোনাগুলো নরসিন্দী,কক্সবাজার, সাতক্ষিরা,বাগেরহাঁট থেকে ক্রয় করে নিয়ে এসে, এসব পোনা তারা চাষ করে সফলতা পাচ্ছেন। এ বিয়ষটি জেলা মৎস্য বিভাগের নজরে আসলে, তারা এ চাষকে আরো এগিয়ে নিতে চাষীদের মাঝে স্বাদু পানিতে গলদা চিংড়ি চাষ উপলক্ষ্যে নার্সারী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
এ প্রশিক্ষণে বিভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষীরা গলদা চিংড়ি’র চাষাবাদ করে সফলতা নিয়ে আসা সম্ভব এ ব্যাপারে বিস্তারিত কলাকৌশল পেশ করেন জেলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন আহম্মদ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তোফাজ উদ্দিন আহমেদ। এতে নানভাবে সহায়তা করেন- জেলা মৎস্য অফিসের মোঃ সিরাজুল আবদাল মামুন, কছির মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আলাপকালে চাষী কাছুম আলী, আফরোজ মিয়া, কছির মিয়ারা বলেন- লবনাক্ত পানির পোনা এনে দুই বছর ধরে গলদা চিংড়ির চাষ শুরু করেছি। এ ধরণের চাষ করে তাদের ন্যায় অন্যান্য চাষীরাও সফলতা পাচ্ছে। এতে করে হাজার হাজার চাষীর নতুন উপার্জনের পথ তৈরী হচ্ছে। তারা বলেন- জেলা মৎস্য অফিস গলদা চিংড়ির চাষ এগোতে চায় বলেই এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে।
সূত্র জানায়, জেলার ৫৪টি হাওর এলাকায় সরকারী বিলের সংখ্যা ৬৭৫টি আর বেসরকারী বিল রয়েছে ৫৩৭টি। রয়েছে বরাক, খোয়াই, শুঁটকী, রতœা, সুতাং, ভেড়ামোহনা, বিজনা, কুশিয়ারা,সোনাই, করাঙ্গীসহ অন্যান্য নদীগুলো। আর খাল রয়েছে ৭৪টি। এছাড়া জেলায় রয়েছে পুকুর,ডোবাসহ নানা জলাশয়। এসব জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিচ্ছে গলদা চিংড়িসহ দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ।
এসব মাছের আবাদ বাড়াতে হাওরে গভীর জলাশয়ে বিলে মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরী করা প্রয়োজন বলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন আহম্মদ মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি মনে করেন, গভীর বিলে অভয়াশ্রম করলে সফলতা আসবে। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ে বৃদ্ধি পাবে দেশীয় মাছের আবাদ। তিনি বলেন সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে মাছের আবাদ বৃদ্ধি করতে এছাড়া ভাল উপায় নেই। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আমলে নিয়েছে বলেই হাওরে বিল খনন করা হচ্ছে। তবে আরো ব্যাপকভাবে বরাদ্দ দিয়ে জলাশয় খনন করা প্রয়োজন।
সূত্র জানায়, সরকারী বিলগুলো প্রতিবছরের বৈশাখ থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত লীজ দেয়া হয়। আর লীজ গ্রহীতারা লাভের আশায় অবাধে মাছ শিকার করেন। তাতে করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাঁধা তৈরী হচ্ছে। তারপরও জেলার স্বাদু পানিতে নানা প্রজাতির মাছের সাথে গলদা চিংড়ি জন্ম নিচ্ছে। তিনি বলেন- গলদা চিংড়ি স্বাদু পানিতে ও বাগদা চিংড়ি লবণাক্ত পানিতে জন্ম নিচ্ছে। লবণাক্ত পানিতে বাগদা চিংড়ি জন্ম নেয়ার পর অনেক সময় নিরাপদে আসতে গিয়ে হাওরের স্বাদু পানিত চলে আসে। এখানে তাদের বংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে পরিবেশ প্রেমিক মাসুক রানা বলেন- জলাশয় রক্ষা করে মাছের আবাদ বৃদ্ধি করতে হাওরে হাওরে গভীর বিলে মৎস্য অভয়াশ্রম গড়ে তোলা প্রয়োজন। তার এমন যুক্তিকে সাধুবাদ জানিয়ে অন্যান্য পরিবেশ প্রেমিকরা বলেন- হাওরে নানা প্রজাতির মাছের সাথে গলদা চিংড়ির চাষতে আরো এগিয়ে নিতে হবে। জেলা প্রশাসনে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, নিয়মমতে বিলগুলো লীজ দেয়া হচ্ছে। চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের আবাদ বাড়াতে আমরা কাজ করছি। আর পূর্বের চেয়ে বর্তমানে মাছের উৎপাদন বাড়ছে। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে উপযুক্ত পরিবেশে গলদা চিংড়ি’র চাষ করলে বর্তমানের চেয়ে উৎপাদন চারগুণ বেড়ে যাবে বলে এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলা মৎস্য অফিস জানান, জেলার মোট জলাশয়ের পরিমাণ ৯৭,১৩৫.১৫ হেক্টর। মাছের উৎপাদন ২৮৪৭৪ মেট্রিক টন, মাছের চাহিদা ২২৯০৯ মেট্রিক টন। এ হিসেবে মাছের উদ্বৃত্ত ৫৫৬৫ মেট্রিক টন। মাছের উৎপাদন আরো বাড়াতে মৎস্য অধিদপ্তর নানা পদ্ধতি গ্রহণ করছে।
মন্তব্যসমূহ