বিজয়ের প্রথম আদেখা নন্দ ওদের

ঢাকা : বিজয় যেন আনন্দের অপর নাম। বিজয় যেন মুক্তির অপর নাম। আর তাই বিজয়ের আনন্দ ম্লান হওয়ার নয়। বিজয়ের ৪৪তম বছরে আজ আনন্দে মাতোয়ারা সারাদেশ। শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ, সব বয়সের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিকদের। 
সবার মত তানিয়া-তিথিও এসেছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাতে। তবে তানিয়-তিথি এখনও বুঝে না বিজয় কী, বাংলাদেশ নামক দেশটির রক্তাক্ত ইতিহাস। তবুও তারা এসেছে মায়ের সঙ্গে। এবারই প্রথম আসা তাদের। 
প্রথম দুই সন্তানকে নিয়ে আসা মা সারাবান তহুরা বাংলামেইলকে বলেন, ‘স্বাধীন দেশে আমার জন্ম। মুক্তিযুদ্ধ দেখা হয়নি। কিন্তু বাবার মুখে তার যুদ্ধের স্মৃতি শোনে অনুমান করতে পারি কী ভয়ঙ্কর ছিল সে সময়। তাই সে সময়ের বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে বেশ কয়েকবার এসেছি এখানে। তবে দুই সন্তান জন্মের পর তাদের নিয়ে এই প্রথম এসেছি এখানে। সন্তানদের সঙ্গে বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগী করছি।’
রাজধানীর বাড্ডা থেকে দু’সন্তান রাফা ও হৃদিকে নিয়ে সাভার এসেছেন আখতার হোসেন। সঙ্গে স্ত্রীকেও নিয়ে এসেছে। লাল-সবুজে সেজেছে পুরো পরিবার। সাভার স্মৃতিসৌধে বাবার সঙ্গে রাফা বেশ কয়েকবা এলেও হৃদি এসেছে প্রথম। সবার সঙ্গে হাঁটায় তাল মেলাতে পারবে না বলে বাবা তাকে কাঁধে তোলে নিয়ে এসেছে।’
দুই মেয়েকে প্রথম বারের মত এক সঙ্গে নিয়ে আসা আখতার হোসেন বাংলামেইলকে বলেন, ‘বিজয়ের আনন্দ অন্যরকম। বিজয়ের মাধ্যমে আমরা লাল-সবুজের পাতাকা পেয়েছি। সে স্মৃতি ধারণ করে পুরো পরিবার লাল-সবুজ পোশাকে ধারণ করি। বিজয়ের আনন্দে ভাসতে স্বপরিবারে এসেছি। ছোট মেয়েটাকে (হৃদি) নিয়ে প্রথমবার এসেছি। এবারে আনন্দের মাত্রা আরও বেশি।’

মন্তব্যসমূহ