আন্র্তজাতিক ডেস্ক: সিলিকন ভ্যালি, প্রযুক্তি-বিশ্বের রাজধানী। আর এখানেই
কাজ করেন বাঘা বাঘা সব সিইও। তেমনই একজন মারিসা মায়ের। ইয়াহুর প্রেসিডেন্ট
এবং সিইও। নতুন খবর হচ্ছে, ৪০ বছর বয়সী এই লেডি সিইও গতকাল বৃহস্পতিবার
যমজ দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আর মারিসার বড় ছেলের বয়স তিন বছর। এ
খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
ইয়াহুর মতো বড় প্রতিষ্ঠান সামলে ঘর-সংসার দেখে রাখার যে ধৈর্য মারিসা
দেখিয়েছেন, তার শুরুটা কিন্তু অনেক আগে থেকেই। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায়
বিশ্বের ক্ষমতাধর ২২তম নারী মারিসা একসময় মুদি দোকানেও কাজ করেছেন। আর এখন
তিনি মোটা অঙ্কের মাইনে পাওয়া অন্যতম একজন সিইও।
বেতন এবং শেয়ারের ভাগ মিলে মালিসার বার্ষিক আয় চার কোটি ২০ লাখ মার্কিন
ডলার! তবে বর্তমানে ইয়াহু আর আগের মতো শক্ত অবস্থানে নেই। তাই ইয়াহুকে ঢেলে
সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন মারিসা। সে জন্য সামনেই বেশ কিছু নতুন
পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইয়াহুর আগে গুগলে ছিলেন মারিসা। গুগল ম্যাপস, গুগল আর্থ, স্ট্রিট ভিউ
এবং মোবাইল ও ডেস্কটপে লোকাল সার্চ ব্যবস্থা দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল তাঁর
কাঁধে। ১৯৯৯ সালে গুগলের ২০তম কর্মী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন মারিসা। গুগলের
অনেক প্রকল্পের একেবারে শুরু থেকে কাজ করেছেন মারিসা।
২০১২ সালে ইয়াহুর প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেন মারিসা। এরপরই ইয়াহুকে
তরুণদের কাছে জনপ্রিয় করতে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ‘স্প্রি’ এবং
ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ‘টাম্বলার’ কিনে নেন তিনি।
মারিসার জন্ম উইসকনসিনের ছোট একটি শহরে। ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল ডাক্তার
হওয়ার। কিন্তু স্ট্যানফোর্ডে গিয়ে সিদ্ধান্ত বদল করেন। কম্পিউটার সায়েন্স
নিয়ে পড়েছেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে
নিজের খরচ চালাতে মুদি দোকানে কাজ করেছেন তিনি।
ব্যক্তিত্ব এবং নেতৃত্বের গুণ দিয়ে সিলিকন ভ্যালিতে নিজের জায়গা করে
নিয়েছেন মারিসা মায়ের। ফরচুন, ভ্যানিটি ফেয়ার এবং ভোগ-এর মতো ম্যাগাজিন
তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপিয়েছে।
২০০৯ সালে গ্ল্যামার ম্যাগাজিন মারিসাকে ‘উইম্যান অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করে। মারিসের স্বামী জাচারি বোগ একজন ফিন্যান্সিয়ার।
ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী হওয়ার পর ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠানটির নারী কর্মীদের
জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি দুই সপ্তাহ থেকে ১৬ সপ্তাহ করেছিলেন মারিসা। যদিও
এর জন্য সমালোচনা ও বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু নিজের
কর্মীদের সুবিধাকেই সব সময় প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি।
মন্তব্যসমূহ