আজ সোমবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমস্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় নেতা আক্তারুজ্জামান, মহানগর সাধারণ সম্পাদক এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মহামগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, শহীদ ড. আলীম চৌধুরীর কন্যা ড. নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে জাতি ক্রমশ অভিশাপ মুক্ত হচ্ছে। একটি করে বিচারের রায় হয় আর জাতি একটু একটু করে অভিশাপ মুক্ত হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, এদেশকে মেধাশূন্য করে দেয়ার মানসেই মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রাক্কালে পাকবাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার চক্র এদেশে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড ঘটায়। আজকে সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, দুনিয়ার এমন কোন শক্তি নাই এই যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারকে বন্ধ করতে পারে।
তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, এই দেশের কোন মানুষ যদি এই বিচারকে বন্ধ করতে চায়, তবে আমি দেশের মানুষকে বলব তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করার জন্য। যারা তাদের রক্ষা করতে চায় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তাদেরও বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। তারাও যুদ্ধাপরাধী। তিনি নিজস্ব অর্থায়নে মেগা প্রজেক্ট পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আমরা নিজেরাও যে পারি তা সমগ্র বিশ্বের সামনে প্রমাণ করে দিয়েছি। আমাদের দেশের শতকরা ৯০ শতাংশ বাজেট এখন উন্নয়ন খাতে ব্যয় হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ