এইচ এম মোমিন তালুকদার,ত্রিশাল. ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পৌর এলাকা সহ ১২টি ইউনিয়ন ঘুরে জরিপে দেখা যায়, ৭-৮ বছরের শিশু হতে ১২-১৩ বছরের শিশু পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলার সর্ব ক্ষেত্রে নিজেদের শ্রম বিক্রি করে উপার্জন করছে। এদের বেশিরভাগ দরিদ্রসীমার নিচে। বসবাসকারী পরিবারের বাবা-মার অভাবের সংসারে নিজেদের কোমল বয়সে শ্রম বিক্রয় করে সাহায্য করছে। যেসব শিশু বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা কিন্তু এখন দেখা যায় প্রতিটি এলাকায় প্রায় শিশু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান,ইটভাটা, বিপণিবিতান ও শ্রমিক প্রতিষ্ঠানে,হোটেল রেস্তোরা,রাজ মিস্ত্রি, শ্রমিকের কাজ করার জন্য সকালে ছুটছে।
এসব প্রতিষ্ঠানে বড়দের মতো অবিরাম কাজ করেও মালিকদের বা এদের প্রতিনিধিদের মন জয় করতে পারে না বিধায় ওই ব্যক্তিরা তাদের অবহেলার চোখে দেখে এবং কথায় কথায় নির্যাতন চালায়। নিজের ও নিজেদের বাবা-মার সংসারের দিকে তাকিয়ে ওই বর্বোরুচিত নির্যাতন নীরবে সহ্য করে।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পৌর এলাকা সহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিদর্শন করে দেখা যায়, পূর্ণ বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরা তাদের শ্রম দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অথচ শিশু হিসেবে তাদের শরীরের শতভাগ শক্তি দিয়ে পূর্ণ বয়স্কদের মতো শ্রম দিলেও তাদের পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অবহেলার চোখে দেখছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটু হেরফের হলেও নেমে আসে বর্বোরচিত নির্যাতন, চাকরিচ্যুত ইত্যাদি। দেশের শিশুদের জন্য শিশু নির্যাতন আইন, শিশু মন্ত্রণালয়, শিশুশ্রম আদালত, শিশু নিরাপদ কেন্দ্র ইত্যাদি কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তব ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ না থাকায় শিশু নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সচেতন মহলের অভিমত শিশু নির্যাতন রোধ করতে হলে আইনের যথাযথ প্রয়োগ, সচেতনতামূলক সেমিনার, আইনের প্রয়োগসহ বড় বড় সাইন বোর্ড, ব্যানার স্থাপন, এতিম, অনাথ, প্রতিবন্দ্বী শিশুদের জন্য শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট গঠন শিশুদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে শিশু নির্যাতন যেমনি হ্রাস পাবে তেমনি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গড়ে উঠবে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে সুখের আলো।
মন্তব্যসমূহ