মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু ২১ ফেব্র“য়ারী প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছেন ভাষা সৈনিক মোস্তফা এম. এ মতিন স্বৃতী পাঠাগার
আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলা শব্দটা উচ্চারণের সাথে সাথে হৃদয়ের গভীর থেকে যেন এক অভাবনীয় মুখের শীতলতা ছড়িয়ে পড়ে শরীরের রন্দ্রে রন্দ্রে। যেন সারা শরীর জুড়ে বয়ে যায় প্রশান্তির অমীয় বাতাস। ভাষার জন্য আমরা যে আত্মত্যাগ করেছি, তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। যারা আমাদের ভাষার জন্য পিচঢালা পথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাংলাকে অন্য ভাষায় রূপার্ন্তিত হতে দেয়নি, তাদের স্মরণে আজ মনে পড়ে সেই গান। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্র“য়ারী, আমি কি ভুলতে পারি…………।
বাঙালী জাতির ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন ২১ ফেব্র“য়ারী। আজ থেকে ৬৪ বছর আগের ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্র“য়ারী। এই দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। আমাদের বাংলা ভাষার অধিকার খুব সহজে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বাঙালি জাতির বুকের রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষার অধিকার ফিরে পেয়েছিল।
তরুণদের বুকের রক্তের বিনিময়ে বাংলা রাষ্ট্র ভাষা অর্জিত হয়েছে তা হয়তো শান্তিপূর্ণভাবে অর্জন করা যেত। হয়তো বা পূর্ব পাকিস্তানের গণ পরিষদের সদস্যরা পরিচয় সংখ্যা ও মানষিক বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলেন। তা না হলে তারা এই প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়ে পাশ করাতে পারতেন।
পাকিস্তানের জনক মোঃ আলী জিন্নাহর ঘোষনা (ড়িৎষফ ধহফ ড়িৎষফ ংযধষষ নব ঃযব ংঃধঃ ষধহমঁধমব নফ ঢ়ধশরংঃধহ) সাথে সাথে উপস্থিত তরুন পিতা শেখ মুজিবরের ঘোষনা হড় হড় হড় মানিনা মানবনা। সুস্পষ্ট স্লোগান রাষ্ট ভাষা বাংলা চাই তারপর আন্দোলন লড়াই-সংগ্রাম। শেখ মুজিবরের সাথে আন্দলনের সাথি একাত্বতা ঘোষনা করে রাজপথে ১৪৪ ধারা ভঙ্গকরে ছাত্রজনতার মিছিল, পুলিশের গুলি বর্ষন, রাজপথ রক্তে রঞ্জিত। বাংলাদেশে মুক্তি সংগ্রামে প্রথম শহীদ হলো জব্বার, শফিক, বরকত, রফিক, সালাম ও নাম না জানা আরও অনেকে। তখন সারাদেশব্যাপী শুরু হয় ভাষা আন্দোলন।
ছাত্র, শ্রমিক, জনতা রাজপথে নেমে স্লোগানে স্লোগানে প্রকন্নিত করে দাবি জানাতে থাকে রাষ্ট ভাষা বাংলার জন্য তারি ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহেও শুরু হয় ভাষার জন্য আন্দোলন। এই আন্দোলনে যারা প্রত্যক্ষ ভাবে অংশগ্রহন করেন ও নেতৃত্ব দেন তাদের মধ্যে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্বের সংগঠন রফিক উদ্দিন ভূইয়া, জননেতা এম. শামসুল হক, জননেতা এড. মোস্তফা এম. এ মতিন, অধ্যক্ষ সৈয়দ বদরুদ্দিন হোসাইন, তৈফুর মাহামুদ, আহাম্মেদ মালেক, কাজী বারী, খালেক নেওয়াজ খান, কমীর মহাদেব, আলতাব আলী, মজিরুনেছা, আলতাব, যতীষ চক্রবর্তী, মীর কফিল উদ্দিন লাল মিঞা, হাতেম আলী তালুকদার, মফিজ উদ্দিন, কমর উদ্দিন াাহম্মেদ, আফাজ মিঞা, ফিরোজ দস্তগীর, রিজিয়া বেগম, ডা. হালিমা খাতুন, কলম আলী উকিল, আলতাব আলী, অজয় রায়, আলোকময় শাহা সহ নাম না জানা আরও অনেক ভাষা সৈনিক যারা ভাষা আন্দোলনে উল্লেখ যোগ্য অবদান রেখেছেন।
বাঙালী জাতির ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন ২১ ফেব্র“য়ারী। আজ থেকে ৬৪ বছর আগের ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্র“য়ারী। এই দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। আমাদের বাংলা ভাষার অধিকার খুব সহজে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বাঙালি জাতির বুকের রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষার অধিকার ফিরে পেয়েছিল।
তরুণদের বুকের রক্তের বিনিময়ে বাংলা রাষ্ট্র ভাষা অর্জিত হয়েছে তা হয়তো শান্তিপূর্ণভাবে অর্জন করা যেত। হয়তো বা পূর্ব পাকিস্তানের গণ পরিষদের সদস্যরা পরিচয় সংখ্যা ও মানষিক বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলেন। তা না হলে তারা এই প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়ে পাশ করাতে পারতেন।
পাকিস্তানের জনক মোঃ আলী জিন্নাহর ঘোষনা (ড়িৎষফ ধহফ ড়িৎষফ ংযধষষ নব ঃযব ংঃধঃ ষধহমঁধমব নফ ঢ়ধশরংঃধহ) সাথে সাথে উপস্থিত তরুন পিতা শেখ মুজিবরের ঘোষনা হড় হড় হড় মানিনা মানবনা। সুস্পষ্ট স্লোগান রাষ্ট ভাষা বাংলা চাই তারপর আন্দোলন লড়াই-সংগ্রাম। শেখ মুজিবরের সাথে আন্দলনের সাথি একাত্বতা ঘোষনা করে রাজপথে ১৪৪ ধারা ভঙ্গকরে ছাত্রজনতার মিছিল, পুলিশের গুলি বর্ষন, রাজপথ রক্তে রঞ্জিত। বাংলাদেশে মুক্তি সংগ্রামে প্রথম শহীদ হলো জব্বার, শফিক, বরকত, রফিক, সালাম ও নাম না জানা আরও অনেকে। তখন সারাদেশব্যাপী শুরু হয় ভাষা আন্দোলন।
ছাত্র, শ্রমিক, জনতা রাজপথে নেমে স্লোগানে স্লোগানে প্রকন্নিত করে দাবি জানাতে থাকে রাষ্ট ভাষা বাংলার জন্য তারি ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহেও শুরু হয় ভাষার জন্য আন্দোলন। এই আন্দোলনে যারা প্রত্যক্ষ ভাবে অংশগ্রহন করেন ও নেতৃত্ব দেন তাদের মধ্যে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্বের সংগঠন রফিক উদ্দিন ভূইয়া, জননেতা এম. শামসুল হক, জননেতা এড. মোস্তফা এম. এ মতিন, অধ্যক্ষ সৈয়দ বদরুদ্দিন হোসাইন, তৈফুর মাহামুদ, আহাম্মেদ মালেক, কাজী বারী, খালেক নেওয়াজ খান, কমীর মহাদেব, আলতাব আলী, মজিরুনেছা, আলতাব, যতীষ চক্রবর্তী, মীর কফিল উদ্দিন লাল মিঞা, হাতেম আলী তালুকদার, মফিজ উদ্দিন, কমর উদ্দিন াাহম্মেদ, আফাজ মিঞা, ফিরোজ দস্তগীর, রিজিয়া বেগম, ডা. হালিমা খাতুন, কলম আলী উকিল, আলতাব আলী, অজয় রায়, আলোকময় শাহা সহ নাম না জানা আরও অনেক ভাষা সৈনিক যারা ভাষা আন্দোলনে উল্লেখ যোগ্য অবদান রেখেছেন।
এই সমস্ত ভাষা আন্দোলনের বীরদের স্বৃতীরক্ষার্থে ময়মনসিংহের পৌরসভার মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু পর্যায় ক্রমে বিভিন্ন স্থাপনা ঘড়ে তোলেছেন তার মধ্যে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্কয়ার, টাউন হল প্রঙ্গনে ভাষা সৈনিক শামসুল হক মুক্ত মঞ্চ এবং ২১ ফেব্র“য়ারী প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছেন ভাষা সৈনিক মোস্তফা এম. এ মতিন স্বৃতী পাঠাগার যার প্রতিষ্ঠিত হবে পৌর পার্কে।
আমরা ময়মনসিংহের মেয়র টিটুকে অভিনন্দন জানাই। পুর্বে আরও অনেক পৌর পিতা ক্ষমতায় ছিল স্বাধীনতার পক্ষের ব্যাক্তিরা পার্লামেন্ট মেম্বার ছিল কিন্তু বীর সৈনিকদের স্বৃতী রক্ষার্থে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই। কিন্তু এই প্রজন্মের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু জাতীয় এ বীরদের স্বৃতী রক্ষার জন্য পৌরসভার মোড় থেকে পার্ক পর্যন্ত যেখানে উনার সম্ভব হয়েছে সেখানেই গড়ে তোলেছেন স্বৃতী রক্ষার স্থাপনা। তিনি নিজ নামে কোথাও কোন প্রতিষ্ঠানের নাম করন করান নাই।
কিন্তু মুক্তিযোদ্বা , জাতীয় বীরদের স্বৃতীর প্রতি শ্রদ্বা জানাতে উনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছেন। তাই ভাষার মাসে ভাষা শহীদ মোস্তফা এম. এ মতিন সাহেব স্বৃতী রক্ষায় লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা সিদ্বান্তে এই প্রজন্মের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু‘কে অভিনন্দন জানিয়েছেন ময়মনসিংহের সাধারন জনগন।
এই প্রজন্মের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটুর ঐক্লান্তিক প্রচেষ্ঠায় নির্মিত হয়েছে ভাষা সৈনিক শামসুল হকের নামে শামসুল হক মুক্ত মঞ, এবার প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভাষা সৈনিক মোস্তফা এম. এ মতিন স্বৃতী পাঠাগার।
এজন্য পৌর এলাকার পক্ষ থেকে আবারও অভিনন্দন জানাই। ভাষা আন্দোলনের বীরদের স্বরন করছি পরম শ্রদ্বা ও ভালোবাসায়। আসুন ২১ ফেব্র“য়ারীতে শপথ গ্রহন করি সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদ, দুর্নীতি বাজ, অজানা শক্তির, ৭১ এর পরাজীত শক্তি জামাত শিবির ও তার বাহকদের বিরুদ্বে ঐক্য গড়ে তুলে একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলি।
মন্তব্যসমূহ