বিতর্কিত কর্মকান্ডে ইমেজ সংকটে পুলিশ
শ্রীপুরে এসআই মজিবুরের দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
গাজীপুরের শ্রীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমানের দাপটে শ্রীপুরের সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় প্রতিদিনই শ্রীপুরের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, ছাত্র ও শ্রমজীবী মানুষ লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও রেহাই পাচ্ছে না তার হাত থেকে।
উপজেলার মাওনা, এমসি বাজার, জৈনা বাজার, আবদার, বারতোপা, বেড়াইদেরচালা, মাষ্টারবাড়ী, কেওয়া, লোহাগাছ, সিএন্ডবি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার সকল শেণী পেশার মানুষ এসআই মজিবুর রহমানের চাঁদাবাজির শিকার। শ্রীপুরে সাধারন মানুষের কাছে এক আতংকের নাম এসআই মজিবুর রহমান। তার কার্যক্রমে নানা বিতর্কে জড়িয়ে ইমেজ সংকট দেখা দিয়েছে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশে। এতে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত এ বাহিনীর প্রতি সাধারন মানুষের বাড়ছে ক্ষোভ আর হতাশা।
ওইসব এলাকার মানুষের অভিযোগ এসআই মজিবুর তার সোর্সের মাধ্যমে কৌশলে সাধারন-নিরীহ মানুষের পকেটে মাদক দ্রব্য জাতীয় গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বলে ধরে এনে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে চালান দেয়ার নাম করে অর্থ-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। দারোগা মজিবুর প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে লোক ধরে এনে থানা হাজতে ঢুকিয়ে রাখে। আর দেন-দরবার শেষে গভীর রাতে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। তার এ কর্মকান্ডকে ওইসব এলাকার সাধারন মানুষ বলছেন নিরীহ মানুষকে ধরে এনে মুক্তিপণ আদায় করার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে এলাকায় সমালোচনা ঝড় উঠেছে। প্রতিদিন সাদা পোশাকে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন পেশার মানুষকে আটক করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ভয়ে কেউ দারোগা মজিবুরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না।
জানা যায়, ৩ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় উপজেলার এমসি বাজার এলাকা থেকে তার সোর্সের মাধ্যমে আব্দুছ ছামাদের ছেলে সোহেলের কাছে ৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট রাখে। পরে তার সোর্স খবর দিলে এমসি বাজার এলাকা থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। ওই গভীর রাতে এক লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। ৩০জানুয়ারী সন্ধ্যায় জৈনা বাজারের নয়েজ টাওয়ারের মুদি দোকানদার রবি মিয়ার ছেলে চাঁন মিয়ার দোকানে তার সোর্সের মাধ্যমে আধা কেজি গাঁজা রেখে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাত ২টায় মাওনা ফ্লাই ওভারের নিচে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
২৩জানুয়ারী রাত ৮টায় জৈনা বাজার এলাকার আহমদ সিএনজি পাম্প সংলগ্ন স্থান থেকে পল্লী বিদ্যুতের ইলেক্ট্রেশিয়ান ফারুক মিয়া ও লাইনম্যান আবু সাঈদকে আটক করে। পরে ওই দিন রাতেই ৮০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে লাইনম্যান আবু সাঈদকে ছেড়ে দেয়। পরেরদিন ২৪জানুয়ারী দুপুরে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ইলেক্ট্রেশিয়ান ফারুক মিয়াকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
২১জানুয়ারী রাত ১০টায় মাওনা পিয়ার আলী কলেজের পাশ থেকে ১০পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসসহ আসাদ এবং আমান দুই জনকে আটক করে। পরে রাত ৩টায় তাদের কাছ থেকে নগদ এক লাখ ২০হাজার টাকা এবং ৩০হাজার টাকার চেক নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের এক আত্নীয়।
এসব ব্যাপারে শ্রীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান জানান, এমসি বাজার এলাকার সোহেলকে ৫ পিছ না ২ পিছ ইয়াবাসহ আটক করা হয়। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা।
শ্রীপুরে এসআই মজিবুরের দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
গাজীপুরের শ্রীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমানের দাপটে শ্রীপুরের সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় প্রতিদিনই শ্রীপুরের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, ছাত্র ও শ্রমজীবী মানুষ লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও রেহাই পাচ্ছে না তার হাত থেকে।
উপজেলার মাওনা, এমসি বাজার, জৈনা বাজার, আবদার, বারতোপা, বেড়াইদেরচালা, মাষ্টারবাড়ী, কেওয়া, লোহাগাছ, সিএন্ডবি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার সকল শেণী পেশার মানুষ এসআই মজিবুর রহমানের চাঁদাবাজির শিকার। শ্রীপুরে সাধারন মানুষের কাছে এক আতংকের নাম এসআই মজিবুর রহমান। তার কার্যক্রমে নানা বিতর্কে জড়িয়ে ইমেজ সংকট দেখা দিয়েছে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশে। এতে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত এ বাহিনীর প্রতি সাধারন মানুষের বাড়ছে ক্ষোভ আর হতাশা।
ওইসব এলাকার মানুষের অভিযোগ এসআই মজিবুর তার সোর্সের মাধ্যমে কৌশলে সাধারন-নিরীহ মানুষের পকেটে মাদক দ্রব্য জাতীয় গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বলে ধরে এনে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে চালান দেয়ার নাম করে অর্থ-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। দারোগা মজিবুর প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে লোক ধরে এনে থানা হাজতে ঢুকিয়ে রাখে। আর দেন-দরবার শেষে গভীর রাতে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। তার এ কর্মকান্ডকে ওইসব এলাকার সাধারন মানুষ বলছেন নিরীহ মানুষকে ধরে এনে মুক্তিপণ আদায় করার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে এলাকায় সমালোচনা ঝড় উঠেছে। প্রতিদিন সাদা পোশাকে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন পেশার মানুষকে আটক করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ভয়ে কেউ দারোগা মজিবুরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না।
জানা যায়, ৩ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় উপজেলার এমসি বাজার এলাকা থেকে তার সোর্সের মাধ্যমে আব্দুছ ছামাদের ছেলে সোহেলের কাছে ৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট রাখে। পরে তার সোর্স খবর দিলে এমসি বাজার এলাকা থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। ওই গভীর রাতে এক লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। ৩০জানুয়ারী সন্ধ্যায় জৈনা বাজারের নয়েজ টাওয়ারের মুদি দোকানদার রবি মিয়ার ছেলে চাঁন মিয়ার দোকানে তার সোর্সের মাধ্যমে আধা কেজি গাঁজা রেখে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাত ২টায় মাওনা ফ্লাই ওভারের নিচে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
২৩জানুয়ারী রাত ৮টায় জৈনা বাজার এলাকার আহমদ সিএনজি পাম্প সংলগ্ন স্থান থেকে পল্লী বিদ্যুতের ইলেক্ট্রেশিয়ান ফারুক মিয়া ও লাইনম্যান আবু সাঈদকে আটক করে। পরে ওই দিন রাতেই ৮০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে লাইনম্যান আবু সাঈদকে ছেড়ে দেয়। পরেরদিন ২৪জানুয়ারী দুপুরে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ইলেক্ট্রেশিয়ান ফারুক মিয়াকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
২১জানুয়ারী রাত ১০টায় মাওনা পিয়ার আলী কলেজের পাশ থেকে ১০পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসসহ আসাদ এবং আমান দুই জনকে আটক করে। পরে রাত ৩টায় তাদের কাছ থেকে নগদ এক লাখ ২০হাজার টাকা এবং ৩০হাজার টাকার চেক নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের এক আত্নীয়।
এসব ব্যাপারে শ্রীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান জানান, এমসি বাজার এলাকার সোহেলকে ৫ পিছ না ২ পিছ ইয়াবাসহ আটক করা হয়। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা।
মন্তব্যসমূহ