তরুণ প্রাণের এক অপূর্ব মিলনমেলায় পরিণত হয় ময়মনসিংহ শহর

bosonto_urmi_inner_5_633803181
স্টাফ রিপোর্টার:: সন্তি শাড়ি, খোপায় গাঁদা ফুল। আর কপালে লাল টিপ। বাঙালী নারীর পূর্ণ রূপ যেন ফুটে উঠেছে ময়মনসিংহ শহর জুড়ে। জয়নুল আবেদিন পার্কে ভিড়টা একটু বেশি। সেখানেই বসন্তবরণের মূল আয়োজন।
দলে দলে নরনারী ছুটে এল গৃহদ্বার খুলি/লয়ে বীণা বেণুথ/ মাতিয়া পাগল নৃত্যে হাসিয়া করিল হানাহানি/ ছুঁড়ি পুষ্পরেণু।’ কবিগুরু রবি ঠাকুর ‘বসন্ত’ কবিতার কথা আজ যেন সত্যে পরিণত হলো।
বসন্তের রং সারা বাংলার পাশাপাশি আজ ময়মনসিংহে ছড়িয়ে পড়েছে। তরুণীরা বাসন্তী রঙের শাড়ির সঙ্গে খোপায় হলুদ গাঁদা ফুল গেঁথেছিলেন। কেউবা গলায় জড়িয়েছিলেন ফুলের মালা। আর হাতে রিনিঝিনি বেজেছে কাচের চুড়ি। কারো গালে আবার আল্পনা।
1423838900
মেয়েদের এমন চোখ ধাঁধানো সাজের পাশে পিছিয়ে ছিলো না ছেলেরাও। লাল, কমলা অথবা হলুদ এমন নানা রঙের বৈচিত্রতা ছিলো ছেলেদের পাঞ্জাবীতেও। ঝুপড়ি কি ঝুলন্ত সেতু কিংবা লেডিস হল থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন সব খানেই ছিলো তাদের রঙ্গিন সাজের সরব উপস্থিতি। সব মিলিয়ে বসন্তের আবহ সমগ্র শহরজুড়ে।
তরুণ প্রাণের এক অপূর্ব মিলনমেলায় পরিণত হয় জয়নাল আবেদিন পার্কের চত্ত্বর। বয়সে প্রবীণরাও সাজসজ্জা ও প্রাণের দিকে থেকে কিছুক্ষণের জন্য হয়ে উঠেছিলেন তরুণ।
তাই আজ বাঙালি মনের কবি উত্তাল হয়ে উঠে বসন্তের প্রকৃতির হলুদিয়া বরনের ইশারায়। আর তাইতো কুয়াশার চাদর ছিড়ে নেমে আসা ফাগুনে সবার হলুদিয়া সাজ।‘যদিও মেয়ে, তবু নিজেদের হিমু মনে হচ্ছে। শীতের শেষ মুহূতের আবহে বসন্তের সজিবতার অনুভূতি বলে বুঝানো যাবে না। তা কেবল অনুভব করা যায়। ’কাটা পাহাড় ধরে হেটে আসা সায়মা, সাকী. সায়রার ফাগুন ঘেরা অনুভূতি এমনটাই।

মন্তব্যসমূহ