‘ছাত্র সংগঠনগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে’

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আগে ছাত্র রাজনীতি ছিলো জনগণের অধিকার ও স্বার্থ আদায়ের রাজনীতি। কিন্তু এখন বড় বড় রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দেখা যায় টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, হল দখল, ছিনতাই এমনকি ধর্ষণের মত জঘন্য কাজে লিপ্ত। এর মূল কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্র সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা।
 ‘ছাত্র সংগঠনগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে’
রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি।
 
জিএম কাদের তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাত্র সংগঠনের নেতাদের ফ্রি লাইসেন্স দেওয়ার কারণে তারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ছাত্রদের দিয়ে জনস্বার্থ বিরোধী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে এদের বিপথগামী করা হচ্ছে। ছাত্র সংগঠনকে তারা তাদের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে। যে কারণে সাধারণ মানুষ আজ ছাত্র রাজনীতি পছন্দ করে না।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশাল ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের সিংহভাগ মানুষই আজ ভাল নেই। ব্রীজ, রাস্তা বা অবকাঠামো উন্নয়ন করলেই হবে না, মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন করতে হবে। মানুষ নিরাপত্তা চায়। চারিদিকে শুধু দুর্ঘটনা আর দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা যেনো আজ  স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
 
তিনি আরো বলেন, তথাকথিত ক্রসফায়ারের নামে আজ  যে কাউকে হত্যা করা হতে পারে। সন্তান, পিতা বা নিকট আত্মীয় গুম হলে থানায় গেলে বলা হয় আমরা কিছুই জানি না। 
জাপা কো-চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতিতে বড় ধরনের জগা খিচুড়ি অবস্থা চলছে। যার কারণে সমাজে, অর্থনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সরকার ও প্রশাসন একদিকে অন্যদিকে জনগণ। যার কারণে জাতি হিসেবে আমরা এগুতে পারছি না।
 
জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি তার বক্তব্যে দলের কর্মকাণ্ড থেকে যারা আজ দূরে সরে আছেন তাদেরকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা সক্রিয় হয়ে দলকে জাপাকে শক্তিশালী করুন। তিনি বলেন, যে লোকটির (এরশাদ) কারণে আমরা এমপি হয়েছি, মন্ত্রী হয়েছি আজ যদি তাকে ছেড়ে দূরে থাকি বা তাকে ছেড়ে চলে যাই আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করবে না।   
 
সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ ইফতেখার আহসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, এসএম ফয়সল চিশতি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, নুরুল ইসলাম নুরু, শাহ্-ই-আজম, অন্যন্যা হোসাইন মৌসুমী, একেএম আসরাফুজ্জামান খাঁন, আব্দুল হামিদ ভাসানী, মশিউর রহমান প্রমুখ।
 
সভা পরিচালনা করেন জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু।

মন্তব্যসমূহ