ভাড়াটিয়ার তথ্য সংগ্রহ বন্ধে রিটের আদেশ ১৩ মার্চ

ভাড়াটিয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ বন্ধে পুলিশের বিরুদ্ধে রিটের আদেশ আগামী রোববার (১৩ মার্চ)। পুলিশের কাছে তথ্য জমা দিতে হবে কিনা তা জানা যাবে এইদিন।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিষয়টি জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
তিনি বলেন, ‘আদালত এ মামলাটির শুনানি গ্রহণ শেষ করেছেন, আগামী রোববার অদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। অর্থাৎ আগামী রোববার জানা যাবে ভাড়াটিয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য পুলিশের কাছে দিতে হবে কিনা।’
আজ আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানী করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। মামলাটি আদালতে ১৬ নম্বর কার্যতালিকায় ছিল।
ভাড়াটিয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে দায়েরকৃত রিট মামলার শুনানি শুরু হয় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে।
গত ৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। এর আগে গত ১ মার্চ ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম থেকে পুলিশকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এ আইনজীবী। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর কমিশনারকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে সেদিন এই আইনজীবী বলেছিলেন, ‘আইন মেনে চলা একজন নাগরিক হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনগত সহায়তা করতে আমি ইচ্ছুক। তবে যে সহায়তা তারা চাইছেন, তা তাদের আইনগত এখতিয়ারে পড়ে না। এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়ার মতো কোনো আইনি সুযোগ পুলিশের নেই।’
নাগরিকদের যেসব ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পুলিশ যেভাবে সংগ্রহ করছে, তা করার মতো প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পুলিশের নেই বলেও জানান এ আইনজীবী।
তিনি বলেছিলেন, ‘এসব তথ্যের অপব্যবহার হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া এসব তথ্য যদি কোনো ভুল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে পড়ে, তাহলে ব্যক্তির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হতে পারে।’
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এক পৃষ্ঠার যে ফরম ভাড়াটিয়াদের পূরণ করতে দেয়া হচ্ছে, সেখানে ভাড়াটিয়ার ছবির পাশাপাশি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ফোন নম্বর, জন্মতারিখসহ বাসার বাসিন্দা, গৃহকর্মী ও ড্রাইভারের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লোগো সম্বলিত ওই ফরমের ফটোকপি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আবার তা সংগ্রহ করছেন পুলিশ সদস্যরা।

মন্তব্যসমূহ