সংশোধন হচ্ছে গঠনতন্ত্র, আসছে মুখপাত্র পদ

al_19247
কারেন্টনিউজ ডটকমডটবিডি:
গঠনতন্ত্রে সংশোধন আনছে আওয়ামী লীগ। যুক্ত হচ্ছে মুখপাত্র পদের। বিলুপ্তি করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় উপকমিটির সব সহসম্পাদকের পদ। সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বাড়ছে কমিটির আকার। জাতীয় কাউন্সিলে এসবসহ আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগের ১৮তম কাউন্সিলে ঘোষণা করা হয় রূপকল্প ২০৪১। আর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত রূপকল্পপিটি সন্নিবেশিত হবে ২০তম কাউন্সিলের ঘোষণাপত্রে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, ‘২০১৯ সালের নির্বাচনের পর ২০৪১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ভাগ্য কীভাবে নির্ধারিত হবে, আমরা কীভাবে উন্নয়নের যাত্রার ছক আঁকব- সেটার সুনির্দিষ্ট একটি গাইডলাইন এ কাউন্সিলে ঠিক হবে। বিভাগ বেড়েছে, তাই বিভাগে সাংগঠনিক পদ দুটি বাড়াতে হবে। এই দুটি ব্যাপারে আমাদের মনে হয় না কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ আছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘পাশাপাশি আমাদের গঠনতন্ত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হবে। যেমন আমাদের স্থানীয় নির্বাচন, যেটা দলীয়ভাবে হচ্ছে, সেটা আমাদের গঠনতন্ত্রে ছিল না। এটা আমাদের আগামী কাউন্সিলে অনুমোদন সাপেক্ষেই আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটা আবার সন্নিবেশিত করা হবে। উপকমিটির সহসম্পাদকের যে পদসংখ্যা এটি নিয়ে বিভ্রান্তি আছে, আমরা নিজেরাও বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে আছি। এটির ব্যাপারে আমাদের একটি সিদ্ধান্ত আছে। সহসম্পাদকের সব পদই বিলুপ্ত করা হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যে নারী নেতৃত্ব আছে সেখানেও কিছু সংখ্যা বাড়াতে হবে, এই নিয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। তৃণমূল জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের থেকে দাবি এসেছে আমাদের যদি একজন মুখপাত্র থাকে তাহলে আমরা সবার কথা না তাঁর কথা শুনে বুঝব এটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। অতএব এটিও একটি বিবেচনাধীন বিষয়।’
আওয়ামী লীগের আরো কয়েকজন নীতি নির্ধারক জানিয়েছেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ১৩ থেকে বেড়ে হতে পারে ১৫। সাতজন থেকে সাংগঠনিক সম্পাদকের সংখ্যা হবে ১০ জনে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ৭৩ থেকে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৮১ জনে। তথ্য-প্রযুক্তি, মানবাধিকার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদকের মতো নতুন কয়েকটি সম্পাদকীয় পদ যোগ হতে পারে।
দলটির নেতারা আরো মনে করেন, এমন সব পরিবর্তনের পাশাপাশি পরিবর্তিত হতে পারে আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলের পূর্ব নির্ধারিত ২৮ মার্চের তারিখ।

মন্তব্যসমূহ