এদিকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত হতাশায় এমন আচরণের কারণে শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন সাকিব। হয়তো জরিমানাও গুনতে হতে পারে তাঁকে।
মাঠে অসহিষ্ণু আচরণের জন্য বহুবারই সাকিবকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের দিনে আবার একটি গর্হিত কাজ করে নিজেকে শাস্তির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন তিনি।
অবশ্য এদিন পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে। দলের এমন সাফল্যের দিনে সাকিব ব্যাট হাতে ১৩ বল খেলে মাত্র আট রান করেছেন। আর চার ওভার বল করে ২৬ রান দিয়েও কোনো উইকেট পাননি।
এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে সাকিব খুব একটা সাফল্য পাননি। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছেন তিন রান আর বল হাতে এক উইকেট। আর আরব আমিরাতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ১৩ রান এবং বোলিংয়ে দুই উইকেট পান তিনি। অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩২ রান ও বল হাতে ২১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
কিছুদিন আগেও সাকিবের দুর্দান্ত ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভর করে জয়ের আনন্দে ভেসে উঠত বাংলাদেশ। অথচ সেই সাকিব আল হাসানই কিছুদিন ছিলেন অনুজ্জ্বল। গত বছরের শেষ দিকে বিপিএল, এ বছরের শুরুতে জিম্বাবুয়ে সিরিজ আর সদ্য-সমাপ্ত পিএসএলে তেমন ভালো খেলতে পারেননি। ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেও পুরোনো সাকিবকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বিপিএলের তৃতীয় আসরে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন সাকিব। বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় বল হাতে ভালো করলেও ব্যাটিংয়ে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ১১ ম্যাচে ১৮ উইকেট নেওয়া সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ১৩৬ রান।
জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকার কাছ থেকে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স পায়নি বাংলাদেশ। চার ম্যাচে সব মিলিয়ে ৫৪ রান করা সাকিব কোনো রকমে পাঁচ উইকেট নিতে পেরেছিলেন। তবে বোলিং গড় (২৭.৬) আর ইকোনমি রেট (৮.৬২) দুটোই ছিল তাঁর মানের বোলারের তুলনায় বেমানান।
এশিয়া কাপে বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে আউট হওয়ার পর সাকিব আল হাসান। ছবি : সংগৃহীত
মন্তব্যসমূহ