মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের যত কর্মসূচি

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের যত কর্মসূচি
প্রিন্ট অ-অ+
মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যেদিয়ে জাতি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে। প্রত্যুষে রাজধানীতে ৪৬ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
 
এছাড়া বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধাগণ, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী কূটনীতিকগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ জনগণ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
 
বিকেলে রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে সংবর্ধনায় মিলিত হবেন। এতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
 
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ’৭১ বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানি গণহত্যা শুরুর ভয়াল রাত এবং স্বাধীনতার পথে আলোকযাত্রার মুহূর্তকে বিস্তারিত অনুষ্ঠানমালায় স্মরণ করবে। অনুষ্ঠানটি শুক্রবার রাত ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের ‘শিখা চিরন্তন’ সংলগ্ন বেদীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু হবে।
 
দেশাত্মবোধক নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তির এক ঘণ্টাব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি রাত ১১টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে। রাত ১২টায় এক মিনিটের নীরবতা ও নিষ্প্রদীপ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অন্ধকারের তমসা ভেদ করে স্বাধীনতার আলোর পথে যাত্রা।
 
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে রাত ১১টা ৩০মিনিটে ‘কালো রাত হোক আলোর পথযাত্রী’ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন সূচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
 
বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে ২৫ মার্চ ভয়াল কালরাত্রীতে নিহত শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল ১১টা ৫৯ মিনিটে গণসমাধিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
 
এছাড়াও দিবসটি পালনে বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
 
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জ্বায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে।

দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। সরকারি ও বেসরকারি বেতার ও টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

মন্তব্যসমূহ