কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহানের তনু হত্যা রহস্য উন্মোচনে ‘শিগগিরই ভালো খবর’ জানাতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। আজ শনিবার সকালে র্যাবের ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার রাতে তনু হত্যার বিষয়ে তথ্য জানতে তার মা, ভাই ও চাচাতো বোনকে র্যাব-১১ জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ শনিবার র্যাব মহাপরিচালক এ আশাবাদ জানালেন।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর মির্জাপুরের বাসা থেকে তনুর মা, ভাই ও চাচাতো বোনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে র্যাব-১১। এর মধ্যে তনুর চাচাতো বোন লাইজু চাচার বাসায় থেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি তনুর সঙ্গে এক কক্ষেই থাকতেন। তার কাছ থেকে র্যাব জানার চেষ্টা করেছে তনুকে আগে কেউ উত্ত্যক্ত করতো কি না।
তনুর স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক খোরশেদ আলম বলেন, তনু হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে রাত ১১টার দিকে তনুর মা ও আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তাদের ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের বাসায় রেখে আসা হয়েছে।
গত ২০ মার্চ রোববার সন্ধ্যায় টিউশনি করে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় তনুকে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নামতি সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের পানির ট্যাংক সংলগ্ন স্থানে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
নিহত তনু ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে। টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ যোগাতেন তনু। তাদের গ্রামের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে।
মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গত সোমবার কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত তনুর বাবা। তবে ঘটনার পর পাঁচ দিন পার হলেও এখনও হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়নি।
এ দিকে তনু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা ডিবি’র ওসি একেএম মনজুর আলম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ