বাংলাদেশ কি নতুন এশিয়ান পাওয়ার হাউজ?

গত বছর মাঝামাঝিতে পরপর এশিয়ার ‘দুই পাওয়ার হাউজ’ ওয়ানডে ক্রিকেটে ধরাশয়ী হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। শুধু তাই নয়, ভারত ও পাকিস্তানকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ওয়ানডে সিরিজে পরাজিত করে টাইগাররা।

সেই ধারাবাহিকতায় এশিয়া কাপেও গত বারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা এবং শক্তিশালী পাকিস্তানকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে মাশরাফি-সাকিবরা।

বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের এমন উত্থান বিশ্ব ক্রিকেটেও প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।  আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শেষে আইসিসির পক্ষ থেকে তাদের প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

এশিয়া কাপে ভালো খেলায় ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার মিডিয়ার কাছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে বেশ কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার ম্যাচ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় এক সাংবাদিকতো মাশরাফিকে এই ব্যাপারে এক প্রশ্নই করে ফেলছেন।

শ্রীলঙ্কার পর এশিয়া পরবর্তী পাওয়ার হাউজ হিসেবে বাংলাদেশকে কিভাবে ভাবছেন। মাশরাফি এই প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি জানিয়ে দিলেন, তাদের পাওয়ার হাউজ হওয়ার কোনও ইচ্ছাই নেই। তারা শুধুমাত্র নিজেদের উন্নতি দেখতে চান।
এ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা কিন্তু এখনও টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন। এই টুর্নামেন্টে হয়ত ভালো করতে পারেনি, তবে তারা ভালো দল। এমনকি পাকিস্তানও।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা আগের চেয়ে ভালো খেলছি, কিন্তু এখনও উন্নতির অনেক কিছু আছে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। আমাদের লক্ষ্য সেটিই। এশিয়ান পাওয়ার হাউজ হওয়া কিংবা এই ধরনের কিছু আমাদের পরিকল্পনায় নেই!’
এশিয়া কাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ জানতো না তারা ফাইনাল খেলবে। নিজেদের পরিকল্পনাগুলো যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন বলেই তাদের এই সাফল্য বলে জানান মাশরাফি। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুতে একটি কথা আমি বলেছি, আমরা অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে ছিলাম না। আমরা চেয়েছিলাম যে, এশিয়া কাপের আগে যেভাবে খেলছিলাম। সেটায় যেন উন্নতি করতে পারি। গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী মানে এমন নয় যে, আমরা বড় দল হয়ে গেছি। আমরা যেভাবে উন্নতি করছি, এরকম করতে থাকলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারবো।’

মন্তব্যসমূহ