‘তাপদাহে’ অতিষ্ট জনজীবন, আরো বাড়ার আভাস



তীব্র তাপদাহে গরম এখন চরমে, অতিষ্ট প্রায় জনজীবন। বৈশাখের ক্রান্তিলগ্নে কাটফাঁটা রোদ প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই আবদ্ধ। কিন্তুনগরীর ইট পাথরের দেয়াল গুলো রোদত্তাপ কে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে অস্বাভাবিক ভাবেই।
এদিকে চরম গরমে যেখানে জনজীবন বিপর্যস্ত, উল্টো সেখানে তাপমাত্রা আরো কয়েক ডিগ্রী বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা বলছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়া অফিস সূত্রে এমনটাই জানা যায়।
আজ ২৮’এপ্রিল সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে “রাজশাহীতে ৪০.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস” । অপরদিকে চট্রগ্রামে ৩৪.০ ডিগ্রী, সিলেটে ৩৩.১ ডিগ্রী, ৪০.২ ডিগ্রী, রংপুরে ৩২.৫ ডিগ্রী, খুলনায়, ৩৬.০ ডিগ্রী, বরিশালে ৩৫.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস ।

এদিকে রাজধানী ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, ৩৬.৫ ডিগ্রী এবং সর্বনিম্ন ২৮.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বেশ কয়েকদিন ধরেই তীব্র গরম বেশ ভোগাচ্ছে নগরবাসীকে। সাথে চিরায়ত যানজট ভোগান্তিকে আরো একডিগ্রী বাড়িয়ে দিয়েছে।
ঠিক এমনটাই বলছিলেন, ‘আতিকুর রহমান’ রাজধানীতে ডাচবাংলা ব্যাংকের একটি শাখায় কর্মরত আছেন তিনি । মতিঝিলে বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভের প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আর বইলেন না ভাই। ইদানীং গরমটা যা পরছে না। মারাত্মক অবস্থা। বাইরে বেরহলেই হারে-হারে টের পাওয়া যায়’।
অপরদিকে রাজধানীর গুলিস্থান মোড়ে স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে মারুফ মিয়া। তিন বছর ধরে গরম এলেই লেবুর শরবত বিক্রি করেন তিনি। পাঁচ টাকার এক গ্লাস শরবতই যেন ক্লান্তির অবসাদ অনেকের কাছে। বরফ মিশ্রিত এই পানি কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দেয়, যদিও নিরাপদের প্রশ্নে প্রশ্ন বিদ্ধ ফুটপাতের এসব খাবার পানি।
মারুফ মিয়ার মতে ‘নিরাপদ-টিরাপদ এই সব দেখার টাইম কই, আমরা যদ্দুর পারি পরিষ্কার রাখনের চেষ্টা করি । পাবলিকরে শান্তি দেই, টেকাও পাই । এই গরমে আমাগোও কষ্ট কম হয় না । সারাদিন রৈদের মধ্যে দাড়াইয়া ঠান্ডা পানি বিক্রি করি’।
এই গরমে একদিকে যেমন ভোগান্তি অন্য দিকে স্বাস্থ্য ঝুকিও বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একমাত্র পানিই হতে পারে এই গরমের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি একই সাথে প্রয়োজনীয়। একজন স্বাভাবিক মানুষের গরমে দৈনিক ৩-৪ লিটার পানি পান অপরিহার্য বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে রাজধানীর মত একই অবস্থা সাড়া দেশে। অনেক জায়গায় এর থেকেও কঠিন অবস্থা। ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধি তার সাথে লোড শেডিং অনেক জেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রামের মানুষকেও ভোগাচ্ছে । এতে করে বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা পড়েছে বিপাকে। প্রকৃতির এই আবর্তিত নিয়মে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়াটাই এখন প্রচেষ্টা মানুষের।

মন্তব্যসমূহ