এবার সিমেন্টের বদলে মাটি, খোয়ার বদলে আবর্জনা

234দর্শনা উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র ও  অফিস ভবন নির্মাণে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসক বলেছেন, রডের বদলে বাঁশ দেওয়ার পর এবার সিমেন্টের বদলে মাটি, খোয়ার বদলে আবর্জনা এবং নিম্নমানের ইট  ও বালু দিয়ে কাজ করা হয়েছে। সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিশেষ টিম পরিদর্শনে আসছেন। এলাকাবাসী জানান, দর্শনা উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ অফিস ভবণ নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে কাজ করার ঘটনা সারাবাংলাদেশে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেছে। এ আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদের ওপরের পিলার ঢালাইয়ে সিমেন্ট ও বালুর সঙ্গে মাটি মিশিয়ে যে ঢালায় করা হয়েছে তদন্ত কমিটি তা ভেঙ্গে দেখতে পেয়েছে। খোয়া গুলোর মধ্যেও রাবিশের পরিমাণ বেশি দেখা গেছে।
তাছাড়া, ভবনের সামনে যেসব ইট নির্মাণের উদ্দেশ্যে রাখা রয়েছে তা অত্যান্ত পুরাতন ও নিন্মমানের বলে এলকাবাসী জানিয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু জানান, ভবনে যেসব ইট, বালু, সিমেন্ট ও রড ব্যবহার করা হয়েছে তা সবই নিম্নমানের এবং প্রাথমিকভাবে পিলার ঢালাইয়ে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করে দুর্নীতির নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তা শুধু এলাকাবাসীরই সম্মান নষ্ট হয়নি সরকারেরও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত কাজে দুর্ণীতির অভিযোগে প্রাথমিকভাবে কাজ দেখভালে নিয়োজিত থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী শুব্রত বিশ্বাস এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার জেমস কষ্টাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুব্রত বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি গত ৩-৪ দিন ধরে নির্বাচনী কারণে ছুটিতে ছিলাম। ওইসময় কাজ দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধের বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম। দর্শনা উদ্ভিদ সংগনিরোধ অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা কামরুন নাহার বলেন, সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয় ঢাকা থেকে একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিন পরিদর্শন করার জন্য দর্শনায় আসবেন বলে প্রাথমিকভাবে আমাকে জানানো হয়েছে। ভবনের নির্মাণ কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান সৌমেন সাহা জানান, আমরা ভবনের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তদন্ত কাজ শেষ হলে ৩ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ