মুস্তাফিজ আসলে কি ? টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে যা বিরলতম ঘটনা,, ২৪ বলে ১৭ ডট বল ! দেখুন
মুস্তাফিজ আসলে কি ? টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে যা বিরলতম ঘটনা,, ২৪ বলে ১৭ ডট বল !
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে আজ দারুণ
বল করলেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। বল করেছেন চার ওভার। দিয়েছেন
মাত্র ৯ রান। নিয়েছেন মূল্যবান দুটি উইকেট। এছাড়া মুস্তাফিজকে আজ কোনো
ব্যাটসম্যান চার মারতে পারেননি।
আইপিএলের এবারের আসরের ১৮তম ম্যাচে
হায়দারাবাদের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪৩ রানে থেমে যায়
পাঞ্জাবের ইনিংস। এদিন হায়দারাবাদের বোলিং তোপে পড়ে প্রীতি জিনতার দল।
টাইগার পেস সেনসেশন মুস্তাফিজ তার ২৪ বলের মধ্যে ১৭টি বলই ডট দিয়েছেন। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে যা বিরলতম ঘটনা।
জাপার উত্তরাধিকারী কে
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০১৬, ১৮:৫৭:৩২
জাহিদ হোসেন বিপ্লব
প্রিন্ট অঅ-অ+
জাতীয় পার্টির ভবিষৎ উত্তরাধিকারী কে হবেন তা নিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা
আবারও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। আর এ বিতর্ক পুনরায় সৃষ্টি করার জন্য খোদ পার্টির
চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকেই দায়ী করছেন নেতাকর্মীরা।
জাতীয় পার্টির ভবিষৎ উত্তরাধিকার উল্লেখ করে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন
মুহম্মদ এরশাদ গত ১৭ জানুয়ারি হঠাৎ করেই রংপুরে সহোদর জিএম কাদেরকে
কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় নানা নাটকীয়তা।
এরশাদের ওই ঘোষণায় বেকে বসেন তার সহধর্মিনী ও পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম
সদস্য রওশন এরশাদ, তখনকার মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুসহ দলের বড় একটি অংশ।
এরশাদের ওই ঘোষণায় রওশন অনুসারীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও
খুশি হন দলের তৃণমুল নেতাকর্মীরা। সারাদেশ থেকে অগণিত নেতাকর্মী টেলিফোনে
এবং ফেসবুকের মাধ্যমে দলের চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা দেয়ার পরের দিন ১৮ জানুয়ারি রওশন
এরশাদের গুলশানের বাসভবনে বাবলু তাদের অনুসারী নিয়ে এক জরুরি সভায় জিএম
কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান হিসেবে প্রত্যাখ্যান করে রওশনকে ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন।
তাও আবার পার্টির ১৭জন এমপি এবং ১৩জন প্রেসিডিয়াম সদস্য এ দাবির সাথে একমত
ছিলেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ১৯ জানুয়ারি রংপুর থেকে বিমানযোগে ঢাকায় ফিরে
বাসায় না গিয়েই বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জিয়াউদ্দিন বাবলুকে
মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দেন এরশাদ।
একই সাথে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব পদে পুনরায় অধিষ্ঠিত করেন।
পরবর্তীতে রওশনসহ দলের বড় একটি অংশ বিরোধীতা করলেও মাঠ পর্যায়ের
নেতাকর্মীরা জিএম কাদের ও রুহুল আমিন হাওলাদারকে সমর্থন দেয়ায় পিছু হটে ওই
অংশটি।
২৯ জানুয়ারি দলের এক সভায় জিএম কাদেরকে দলের ভবিষৎ উত্তরাধিকারী উল্লেখ
করে এরশাদ বলেন, রওশনের বয়স হয়েছে। সে দলের হাল ধরতে পারবে না। তাই রওশন
নয়, কাদেরই হবেন দলের ভবিষৎ কাণ্ডারি।
৫ মার্চ গুলশানের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জিএম কাদের ও রুহুল আমিন
হাওলাদারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার প্রাক্কালে রওশন ফোনে এরশাদের
কাছে জানতে চান, আমাকে এই অনুষ্ঠানে নিয়ে গেলে না কেন? এরপর থেকে এরশাদ ও
রওশন বিরোধের বরফ গলতে শুরু করে বলে অনেকে ধারণা করেছেন।
১৬ এপ্রিল জাপার কাউন্সিল অধিবেশন হওয়ার কথা থাকলেও তিন দফা পিছিয়ে ১৪ মে
নির্ধারণ করা হয়। রওশন অনুসারীরা পদ হারানোর ভয়ে আবারও রওশনকে ১নং
কো-চেয়ারম্যান করার দাবি তুলে কাউন্সিল পেছানোর দাবি জানান। জবাবে যে কোনো
কিছুর বিনিময়ে ১৪ মে জাপা কাউন্সিল করতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন দলটির
চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব রুহুল আমিন
হাওলাদার।
১২ এপ্রিল দলের বনানী কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় রওশন চাইলে এরশাদের
মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হবেন এমন বক্তব্যে দলের নেতাকর্মীদের
কাছে আবারও প্রশ্ন জাগে আসলে জাপায় এরশাদের অবর্তমানে হাল ধরবেন কে? শুরু
হয় কানাঘোষা। এতে দলের ত্যাগী নেতারা সরাসরি এরশাদ বরাবর ক্ষুদ্ধ
প্রতিক্রিয়া জানান।
২১ এপ্রিল পটুয়াখালী জাপার সম্মেলনে এরশাদ আবার ঘোষণা দিলেন তার ভাই জিএম
কাদেরই হবেন দলের ভবিষৎ চেয়ারম্যান। তার এ বক্তব্যে খুশি হলেও ভরসা রাখতে
পারছেন না দলের নেতাকর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপার এক যুগ্ম মহাসচিব বিবার্তাকে এ প্রসঙ্গে বলেন,
এরশাদ বৌ আর ভাইকে নিয়ে খেলছেন। তিনি (এরশাদ) সবাইকে খুশি রাখতে চান। তা
না হলে এরশাদকে হাসপাতাল নামক জেলে রেখে যে মহিলা নির্বাচনে গেল, জাতির
কাছে যে তার স্বামীকে ছোট করলো এবং যার কারণে দলের এমপিরা এখন প্রকাশ্যে
এরশাদের বিরোধীতা করার সাহস পায়, সেই রওশনকেই আবার দলের ভবিষৎ চেয়ারম্যান
করার কথা ভাবেন কীভাবে!
দলের ভবিষৎ উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে জিএম কাদের বিবার্তাকে বলেন, এরশাদ সাহেব
দীর্ঘদিন সেনাপ্রধান ছিলেন, দেশ পরিচালনা করেছেন। তিনি ভালো মতই জানেন
কাকে দলের ভবিষৎ চেয়ারম্যান করলে দল টিকে থাকবে।
তিনি (এরশাদ) দেশের তৃণমুল নেতাকর্মীদের সেন্টিমেন্ট বুঝেই সিদ্ধান্ত
নেবেন। তিনি বলেন, কে হবে দলের ভবিষৎ কাণ্ডারি এ বিষয়ে আমরা আপাতত ভাবছি
না। দলকে আগে শক্তিশালী করতে হবে এবং সত্যিকারের বিরোধী দল হিসেবে নিজেদের
প্রতিষ্ঠিত করতে যা যা করার দরকার আমরা তাই করবো।
এ বিষয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বিবার্তাকে বলেন, এরশাদ দীর্ঘদিন আমাদের
মাঝে বেঁচে থাকবেন এটাই আমাদের বিশ্বাস। তবে একটা কথা ঠিক, আমাদের দেশের
রাজনীতিতে পরিবারের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সময়ই উত্তর দেবে কে হবে দলের
ভবিষৎ উত্তরাধিকারী।
এদিকে রবিবার জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ সংবাদ সম্মেলন
ডেকেছেন। এখান থেকে কী ঘোষণা আসে তাই এখন দেখার বিষয়। রওশন অনুসারীরা তাদের
দাবি থেকে ফিরে এসে এরশাদের ডাকা কাউন্সিলে যোগ দেবেন, নাকি এখান থেকে
কাউন্সিল না হওয়ার জন্য নতুন কোনো আলটিমেটালের ঘোষণা আসে, তাই দেখার বিষয়।
মন্তব্যসমূহ