ঢাকা : ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় এক নারীর ‘গায়ে হাত’ দেয়ায় ক্ষমা
চেয়েছেন দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য। ওই পুলিশ সদস্যর নাম রুহুল আমিন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির
রাজু ভাস্কর্যের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিপীড়নের শিকার ওই নারীর নাম হাবিবা
জান্নাত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সভাপতি। তিনি ঘটনার
জন্য পুলিশ সদস্যের বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত
অভিযোগ করেন। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যায় দোয়েল চত্বরের দিক থেকে টিএসসির দিকে পুলিশের আইজির গাড়ি আসার সময় টিএসসিতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য রুহুল আমিন রাজু ভাস্কর্যের পাশ থেকে লোকজনকে সরিয়ে দিচ্ছিলেন। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হাবিবা জান্নাতকেও সরে যেতে বলেন। পরে জান্নাত ওই স্থান থেকে সরে যান। এরপর জান্নাত আবার একই স্থানে গিয়ে দাঁড়ান। তখন পুলিশের আরেকটি গাড়ি এলে তাকে সরে যেতে বলা হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যায় দোয়েল চত্বরের দিক থেকে টিএসসির দিকে পুলিশের আইজির গাড়ি আসার সময় টিএসসিতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য রুহুল আমিন রাজু ভাস্কর্যের পাশ থেকে লোকজনকে সরিয়ে দিচ্ছিলেন। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হাবিবা জান্নাতকেও সরে যেতে বলেন। পরে জান্নাত ওই স্থান থেকে সরে যান। এরপর জান্নাত আবার একই স্থানে গিয়ে দাঁড়ান। তখন পুলিশের আরেকটি গাড়ি এলে তাকে সরে যেতে বলা হয়।
একপর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্য তার গায়ে হাত দিয়ে
সরিয়ে দেন। হাবিবা জান্নাত গায়ে হাত দেয়ার প্রতিবাদ করলে ওই পুলিশ তাকে
আপত্তিকর ভাষায় গালি দেয়। এসময় বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা ওই পুলিশ
সদস্যকে তার আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে বলে। কিন্তু তাৎক্ষণিক তিনি ক্ষমা না
চেয়ে উল্টো বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে অবশ্য পুলিশের কর্মকর্তার পক্ষ
থেকে বিষয়টি নিয়ে আইনি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
এরপর জান্নাত ওই পুলিশ সদস্যের বিচার চেয়ে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে প্রক্টর
অফিসে দীর্ঘ সময় বৈঠক করে বিষয়টি পুলিশ কর্মকর্তারা মীমাংসা করেন।
অভিযোগকারী হাবিবা জান্নাত
বলেন, ‘আইজিপির গাড়ি আসলে আমাদেরকে সরে যেতে বলেন এবং আমার গায়ে হাত দেন।
তারপর আমি প্রতিবাদ করলে পুলিশ সদস্য খারাপ ভাষায় গালি দেয়। পরে আমি
প্রক্টরেরর কাছে লিখিত অভিযোগ করি।’
এ ব্যাপারে ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘আমরা সতর্ক ছিলাম। যে অভিযোগ এসেছে সেটি কাঙ্ক্ষিত নয়। এজন্য আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাচ্ছি।’
অবশ্য এ ব্যাপারে রমনা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল বাতেন বলেন, ‘এই মুহূর্তে পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া সম্ভব নয়। এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে তা অবশ্যই আইন বহির্ভূত। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ ব্যাপারে ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘আমরা সতর্ক ছিলাম। যে অভিযোগ এসেছে সেটি কাঙ্ক্ষিত নয়। এজন্য আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাচ্ছি।’
অবশ্য এ ব্যাপারে রমনা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল বাতেন বলেন, ‘এই মুহূর্তে পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া সম্ভব নয়। এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে তা অবশ্যই আইন বহির্ভূত। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক এএম
আমজাদ বলেন, ‘নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের সাথে ভুল
বোঝাবুঝি হয়। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাত্র নেতাদের সাথে বসে
বিষয়টি সমাধান করেন। তবে পুলিশ গালি দিয়ে থাকলে তা অবশ্যই খারাপ হয়েছে।’
এদিকে এ ঘটনার পর একাধিক বাম সংগঠনের ছাত্রনেতারা মিছিল সহকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ভবন অভিমুখে যান।
উল্লেখ্য, গতবছর পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যায় একই
এলাকায় নারীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় এবার বর্ষবরণের আয়োজনে পুলিশের ব্যাপক
কড়াকড়ি ছিল। মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ নিষিদ্ধের পাশাপাশি বিকেল সাড়ে ৫টার
পর উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হয়। এমনকি পহেলা
বৈশাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া বলয়ে এবার ঢেকে যায় রাজধানীর
শাহবাগ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। এবার বন্ধ করে রাখা হয় সোহরাওয়ার্দী
উদ্যানের গেট।
মন্তব্যসমূহ