মানুষ মাত্রই গুনাহে লিপ্ত হয়। শয়তানের ধোকায় পড়ে মানুষ ভুল পথে পা বাড়ায়। তবে সেই গুনাহ বা ভুল পথ থেকে ফিরে আসতে পারাই বুদ্ধিমানের কাজ। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আদম সন্তান সবাই অপরাধ করে। অপরাধীদের মধ্যে উত্তম তারাই যারা তওবা করে।’ [তিরমিজি]। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, ‘তোমরা যদি গুনাহ না কর, তবে আল্লাহ তোমাদের সরিয়ে দিবেন এবং সে স্থলে এমন জাতি সৃষ্টি করবেন যারা গুনাহ করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, তখন তিনিও তাদের ক্ষমা করে দিবেন।’ [মুসলিম]
গুনাহের কাজ সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত। ১. কবিরা বা বড় গুনাহ। যে সব কাজে দুনিয়াতে দ-বিধি নির্ধারণ করা আছে অথবা আখেরাতে শাস্তির ভয় দেখানো হয়েছে অথবা আল্লাহর গজব বা লানত বা ইমান থাকবে না এমন কথা বলা হয়েছে তাকে কবিরা গুনাহ বলে। ২. ছগিরা (ছোট) গুনাহ। এটি হচ্ছে নিম্নপর্যায়ের পাপ। বিভিন্ন কারণে ছগিরা গুনাহ কবিরা গুনাহে পরিণত হতে পারে। যেমনÑ ছোট গুনাহের কাজে অটল থাকা অথবা তা বারবার করা বা তা তুচ্ছ মনে করা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত হতে পেরে গর্ব করা অথবা গুনাহের কাজ প্রকাশ্যে করা।
সব ধরনের পাপ থেকেই তওবা করা বিশুদ্ধ। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তওবার দরজা উন্মুক্ত। অবশ্য সময় ক্ষেপন না করে যতদ্রুত সম্ভব তওবা করে নেয়া উচিত। কারণ মানুষের মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা নেই। তওবাকারী যদি নিজ তওবায় সত্যবাদী হয়, তবে তার পাপরাশীকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করা হবেÑ যদিও তা আকাশের মেঘমালার সংখ্যা বরাবর অধিক হয়।
তওবা কবুল হওয়ার শর্তাবলি : ১. সংশ্লিষ্ট গুনাহের কাজটিকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা, ২. কৃত অপরাধের কারণে লজ্জিত হওয়া, ৩. ভবিষ্যতে পুনরায় উক্ত অপরাধে লিপ্ত হবে না এ কথার ওপর দৃঢ় অঙ্গীকার করা। অন্যায় কাজটি যদি মানুষের অধিকার সংশ্লিষ্ট হয়, তবে উক্ত অধিকার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া।
মন্তব্যসমূহ