চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের নির্মানাধীন ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধিন ভবনের ঢালাই কাজে দূর্নীতি অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিসহ সাত সদস্যের এক প্রতিনিধিদল নির্মাণাধীন উদ্ভিদ সংগ নিরোধ ভবন পরিদর্শন করেছেন। এসময় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরও আসেন পরিদর্শনে।
পরিদর্শন টিমের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, “সামনের শো-পিলার ঢালাই অংশ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে ঢালাই করা হবে এবং তদন্ত শেষে দোষি ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগ নিরোধ কার্যালয়ের জন্য দর্শনা পৌরসভার পাশে তিন হাজার ৭৫০ বর্গফুট আয়তনের একটি আধুনিক ল্যাবরেটরি ও অফিস ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
এ ভবনটির নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকা ফার্মগেটের জয় ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী মনি সিং। ইতোমধ্যো ভবনটির প্রায় ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে।
গত বুধবার বিকেলে কাজ চলাকালে এলাকাবাসী দেখতে পায় ভয়াবহ ব্যাপার। ভবনের গুরুত্বপূর্ণ ঢালাইকাজে রডের পরিবর্তে বাঁশের চটা দেয়া। আর খোয়ার বদলে সুরকি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ সময় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে কাজ ফেলে গা ঢাকা দেয় উপস্থিত প্রকৌশলীসহ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও শ্রমিকরা।
এলাকাবাসীর মতে, পুকুরচুরির এই ঘটনা ঘটেছে রাতের আধারেই। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে চুয়াডাঙ্গায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দুই তলা এই ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় গেলো ডিসেম্বরে।
এতে ব্যয় ধরা হয় দুই কোটি ৪২ লাখ টাকা। আসছে জুনে ভবনটি হস্তান্তরের কথা ছিলো। এরই মধ্যে ভবণের মূল অবকাঠামোর কাজ প্রায় শেষ। তবে শেষ সময়ে এসে এলাকাবাসীর চোখে ধরা পড়লো ভয়াবহ অনিয়ম। ভবন নির্মাণে লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। খোয়ার বদলে ব্যবহার করা হয়েছে পরিত্যক্ত সুরকি। সাথে নিম্নমানের ইট, বালি ও সিমেন্ট তো আছেই।
আর এসব কিছুই হয়েছে রাতের আঁধারে। ভয়াবহ অনিয়মের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে কর্তৃপক্ষও। এরপরই বন্ধ করে দেয়া হয় নির্মাণ কাজ। আর এ নিয়েই তোলপাড় চলছে গোটা জেলায়।
মন্তব্যসমূহ