পয়লা বৈশাখের সঙ্গে ইলিশের কোনো সম্পর্ক নেই। তবুও দিনটিকে ঘিরে জাতীয় মাছ ইলিশের চাহিদা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দামও। কিন্তু এবার শেষ মুহূর্তে ইলিশের বাজারে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
এদিকে, দর কমায় সন্তুষ্ট ক্রেতারা। তবে মন খারাপ বিক্রেতাদের। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবারই পয়লা বৈশাখকে ঘিরে ইলিশ না খাওয়ার আলোচনা হয়। কিন্ত মানুষের সাড়া থাকে না। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যম এবার বেশি সক্রিয়। ফলে চাহিদা হঠাৎ পড়ে গেছে। তাই দাম ছেড়ে দিতে হয়েছে বিক্রেতাদের। এতে যারা পয়লা বৈশাখে পান্তা ইলিশ খাবেন তারা লাভবান হচ্ছেন।
১০ এপ্রিলের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলিশ না খাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করে।
বিক্রেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর অনেকেই সাড়া দিয়েছেন। ফলে হঠাৎ ইলিশের বাজারে ক্রেতা কমে গেছে। দাম ছেড়ে দিতে হয়েছে ইলিশের।
কথা হয় মতিঝিলে ইলিশ বিক্রেতা আলমগীর হোসেন এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ইলিশের দাম গতকালের (মঙ্গলবার) চেয়ে বুধবার সকাল থেকেই কম। চাহিদা কম থাকায় কম দামে ছেড়ে দিতে হয়েছে।
তিনি জানান, গতকাল যে ইলিশ আমরা বিক্রি করেছি (হাজার থেকে ১২শ টাকা) সেই একই ওজনের ইলিশ বুধবার বিক্রি হচ্ছে ৯শ থেকে সাড়ে ৯শতে। বিকেলে ওই ওজনের ইলিশ ৭শ থেকে ৮শ টাকায় নেমে আসে।
কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মতিউর রহমান বলেন, ভাই, এবার মাথায় হাত। দাম বেশি পাবো চিন্তা করে মজুদ রেখেছিলাম। কিন্তু বুধবার হঠাৎ চাহিদা কমে গেছে। তাই কম দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তার মতে, মঙ্গলবার যে ইলিশ দুই থেকে আড়াই হাজারে বিক্রি হয়েছে, বুধবার তা দেড় হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করতে হয়েছে।
বেসরকারি খাতের চাকরিজীবী জসীম উদ্দীন বলেন, ইলিশের সঙ্গে বৈশাখের কোনো সম্পর্ক নেই। বিষয়টি আগে থেকেই জানতাম। তবে এবার থেকে খাওয়া বন্ধ করে দিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা আমাদের উৎসাহিত করেছে।
মন্তব্যসমূহ