চট্টগ্রামের সীতাকু বোটানিক্যাল গার্টেন ও ইকোপার্ককে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা। যার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় পর্যটকদের সংখ্যাও বেড়েছে। আগে নিরাপত্তা নিয়ে পর্যটকদের মনে প্রশ্ন থাকলেও ইকোপার্ক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার দিকে সচেষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পার্ক ফটকের পর থেকে সহরধারা ও সুপ্ত ধারা ঝর্ণা পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। রঙ দিয়ে সাজানো হয়েছে সড়কের পাশে লাগানো সারি সারি গাছ। পাহাড়ে ওঠা পথের ধারে পর্যটকদের বসার জন্য নতুন করে তৈরি করা হয়েছে আরসিসি ব্যঙের ছাতা। রঙীন করা হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষ্কর্য্য। লাগানো হয়েছে হরেক রকমের ফুল গাছ। তার পাশে রয়েছে অর্কিড হাউস। ফটকের পাশে বাড়ানো হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা। তার পাশে কৃত্রিম লেক, শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্ক তৈরি করা হয়েছে। বৃদ্ধ ও অক্ষম ব্যক্তিসহ পর্যটকদের সহরধারা ঝর্ণা পর্যন্ত গাড়ি দিয়ে ওঠার ব্যবস্থাও রয়েছে। আধুনিকায়ন করা হয়েছে একনজরে পার্কে মানচিত্র ‘মডেল ম্যাপ’।
জানতে চাইলে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক চট্টগ্রামের রেঞ্জের পরিচালক নীলা দত্ত বলেন, ইকোপার্কে যথেষ্ট কাজ করা হয়েছে। পর্যটকের সংখ্যাও আগের থেকে বেড়েছে। ঢেলে সাজানোর ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি সদস্য যোগদান করেছেন। তার পুর্ববর্তী পরিচালক আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেওয়াজ এর অধীনে সংস্কার কাজ করা হয়েছে। তাই তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি।
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, সহরধারা পর্যন্ত পার্ক কর্তৃপক্ষ ও ইজারাদারদের লোকজন সর্বক্ষণ থাকেন। ওই পর্যন্ত পর্যটকদের নিরাপত্তার কোন সমস্যা নেই। তার ওপরে যেহেতু পর্যটকদের না ওঠার জন্য অনুরোধ জানান।
আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেওয়াজ বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের ‘বাংলাদেশ জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও ইকোটরিজম উন্নয়ন প্রকল্প’র আওয়তায় তিন কোটি ২০ লাখ ব্যায়ে পার্কটির সংস্কার করা হয়েছে। পার্ক এলাকায় বিভিন্ন বিলুপ্ত হতে যাওয়া প্রজাতির গাছ, ওষধি গাছ, সৌন্দর্যবর্ধক গাছসহ নানা জাতের গাছ লাগানো হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজারটি। এর বাইরে রয়েছে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ।
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০০ একর পাহাড়ি ভুমি নিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের উদ্ভোধন করেন। উদ্ভোধনের পর থেকে এতবড় ব্যায়ে পার্কটির সংস্কার হয়নি।
ইকোপার্কের অন্যতম ইজারাদার মো. সোহেল দাবী করেন, ইকোপার্ক এলাকায় এখন ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ তাদের এখন পর্যাপ্ত ভলেন্টিয়ার রয়েছে। একজন পর্যটককে পার্ক এলাকায় নিরাপত্তা দেওয়া তাদের কর্তব্য।
মন্তব্যসমূহ