সম্প্রতি বাঁশ নিয়ে এত কিছু ঘটে গেল তবুও থামেনি বাঁশের এই ব্যবহার। অনেকে হয়তো বলবেন একে ‘বাঁশের যথেচ্ছ ব্যবহার’। কিন্তু এটা তো দেখা যাচ্ছে, যেথায় ইচ্ছা সেথায় বাঁশের ব্যবহার। তাহলে কি, লোহার চেয়ে বাঁশ শক্ত, আমরা সবাই বাঁশের ভক্ত?
এবার বাংলাদেশের খোদ রাজধানী ঢাকায়ও পৌঁছে গেছে বাঁশের এরূপ ব্যবহার। কেরানীগঞ্জে ড্রেনের উপর ঢালাই করা হয়েছে বাঁশ দিয়ে।
এর আগে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় দুই কোটি টাকার ভবনের ঢালাই কাজে রডের পরিবর্তে বাঁশের চটা আর খোয়ার বদলে সুরকি দিয়ে কাজ করেছে। ভবনের অধিকাংশ কাজ হয়েছে রাতের আঁধারে। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ এ ভবনের কাজে পুকুর চুরির বিষয়টি এলাকাবাসী ধরে ফেললে তোপের মুখে পড়ে।
চুয়াডাঙ্গার পর গাইবান্ধা সদর উপজেলার মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করেছে। আর চুয়াডাঙ্গা ও গাইবান্ধার পরে সেই বাঁশ এখন ঢাকায়।আর এবার অপেক্ষায় আছি, আবার অন্য কোন শহরে পৌঁছে যায় বাঁশের এরূপ ব্যবহার, শিল্প নগরী নারায়নগঞ্জ, নাকি বন্দর নগরী চট্টলা, নাকি লন্ডন খ্যাত সিলেট?
যাহা হোক, আমরা কথায় কথায় ‘বাঁশ দেয়া’ র কথা বলি।যেমন, অমুক অমুককে ‘বাঁশ দিয়েছে’, অর্থাৎ মানুষ মানুষকে ‘বাঁশ দিয়েছে’ মানে হলো ক্ষতি করেছে।কিন্তু এমন কথা কখনো শুনি নাই, মানুষ হয়ে জড় জিনিসকে ‘বাঁশ দিতে’।জড় জিনিসকেও যে বাঁশ দেয়া যায় তার প্রকৃষ্ট উদহরন সৃষ্টির জন্যই মানুষ নামের ঠিকাদাররা এ কাজ করেছে হয়তো। তাঁরা মনে হয় অমানুষ, না হলে তো আরেক মানুষকেই বাঁশ দিত।তবে বিল্ডিং ঢালাইয়ে কিভাবে বাঁশ দিতে হয়, তাহা উনারা আবিস্কার করার জন্য অন্ততঃ ধন্যবাদটুকু কি প্রাপ্য নয়? তাইতো বলতে ইচ্ছা হয়ঃ দেখা হচ্ছে না চক্ষু মেলিয়া, বাঁশ দিচ্ছে তাই রড ফেলিয়া!
(বিঃ দ্রঃ সংবাদের সাথে এটি একটি রসাত্মক লেখাও বটে, সেই ঠিকাদার, বা পাঠক বা অন্য কাউকে বাঁশ দেয়ার উদ্দেশ্য লেখা নয়, অজান্তে যদি কাউকে বাঁশ দিয়ে ফেলি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে/ দূর দৃষ্টিতে দেখবেন)
মন্তব্যসমূহ