নাজমুস সাকিব-ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ
ত্রিশালের ধানীখোলা ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে । হাসপাতালটির ভবন বাদে গেইট সহ বাকী সব টুকু জমি দখল করে স্থানীয় কয়েক জন লোক ব্যবসা পতিষ্ঠান, দোকানপাঠ ও বাসা বাড়ি স্থাপন করেছে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল র্কতৃপ সহ প্রশাসনের লোকজনও নিরব ভূমিকা পালন করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, উপজেলার ধানীখোলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৭৭ শতাংশ জমির মধ্যে ৩-৪ শতাংশ জমির উপর হাসপাতাল ভবন নির্মিত বাকী সবটুকু জমি অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করে নিয়েছে স্থানীয় কিছু কতিপয় লোক। স্থানীয় শহীদুল ইসলাম ও তার তিন ভাই মহীদুল, নুরু ও রবি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনের জমিতে একটি ব্যবসায় দোকান ও হাসপাতালের প্রবেশ পথের দুপাশে পিলার এবং সেনিটারী সরংজামের দোকান স্থাপন করে জায়গা দখল করে নিয়েছে। আরেক দখলকারী ইসমাইল হোসেন হাসপাতালের (৫৪) শতাংশ জমির উপর দোকানপাট ও বাসা-বাড়ী স্থাপন করে দখলে রেখেছেন। এ ব্যাপারে দখল দার ইসমাইল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এটি আমার পৈত্তিক সম্পদ। হাসপাতালের একপাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন দোকানপাট, বসতবাড়ী ও আরেকপাশে ময়লার স্তুপ এবং কলা বাগান। স্থানীয় এলাকাবাসী মোঃ বাবুল মিয়া জানান, হাসপাতালের জমিগুলো বিভিন্ন ভাবে দখল করে নিয়েছে এলাকার কিছুলোক।
স্থানীয় জাহীদ হাসান জানান, হাসপাতালের সীমানা প্রাচীন না থাকায় জমি দখল করার সুযোগ পেয়েছে স্থানী প্রভাব শালী লোকেরা। হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে আছসে এমএলএস পদে জিয়াউল হক। তিনি জানান আমি দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে আসছি। হাসপাতালে ৭৭ শতাংশ জমির মধ্যে আমাদের ভবনের ৩ শতাংশ জমি বাদে বাকী সবটুকু জমি একের পর এক দখল করে নিয়েছে দখলদাররা। দখলকৃত জমি নিয়ে হাসপাতাল ও দখলদারদের মাঝে মামলা চলছে। বি আর এস মাঠ পর্চা হাসপাতালের নামে রেকর্ট হয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুল্লাহ আসাদ জানান, আমিও শুনে আসছি হাসপাতালের জমি বেদখল হয়ে আছে। জনস্বার্থে হাসপাতালের জমি উদ্ধার করা প্রয়োজন। এলাকা বাসীর সাথে দাবী জানাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ হাসপাতালের জমি দ্রুত দখল মুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মশিউর রহমান জানান, আমি ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পুর্বেই ধানীখোলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জায়গা গুলো বেদখল হয়ে পড়েছে। সীমানা প্রাচীর থাকলে হয়তো এভাবে জমি বেদখল হতো না। তবে বিষয়টি যেহেতু মামলার পর্যায়ে রয়েছে এখন আমাদেরকে আদালতের রায় পর্যন্ত অপো করতে হবে।
মন্তব্যসমূহ