আজাদ
বিশ্বাস,মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: জলজ্যান্ত মানুষ বড়শিতে গাঁথা
আবস্থায় চড়ক গাছে ঝুলে প্রায় ২৫ ফুট শন্যে ঘুরবে একে একে ওরা ৭ জন ,আর নিচে
তারা বাতাসা ছিটাবে।
প্রতি বছরের মত এবারো গাঁ শিউরে ওঠা এই দৃশ্য দেখবে প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষ। এটাকে বলা হয় চড়ক উৎসব।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর গ্রামে প্রতি বছর এ উৎসব আয়োজনে এই পুজা হয়ে থাকে। স্থানীয়রা জানায় প্রায় ২’শ বছর ধরে বৈশাখ মাসের ৩ তারিখে ঐতিহ্যবাহী এই পুজা হয়ে আসছে। পুজাকে ঘিরে বাংলা নববর্ষের শুরুতেই ৩ দিনব্যাপী এখানে চলে জমজমাট লোকজ মেলা।
মেলা ও চড়ক পুজার ঐতিহাসিক দিক নিয়ে বিবিন্ন রকম তথ্য পাওয়া যায়। অধিকাংশের মতে জানা যায়,আজকের এই মহেশপুরের (তৎকালীন সুলতানপুর) এক সময়ের শাসন কর্তা ছিলেন সূর্য় মাঝি। চক্রান্ত করে সূর্য় মাঝিকে হত্যার পর ১৭ জন ব্রাক্ষন সুলতানপুর পরগনার মালিকানা ভাগ করে নেয়। সেই সময়ের মহেশপুরের জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা পুরুষ হলেন হরিনারায়ন চৌধুরী। তার সময় জমিদাররা মহেশপুরের প্রভুত উন্নয়ন সাধন করে। চারিদিকে গড়ে উঠে বহু সুরমা প্রাসাদ। তখন বিভিন্ন ধরনের পুজা অনুষ্ঠিত হতো। পুজারীদের আনাগোনায় এ অঞ্চল থাকতো জমজমাট। এরও অনেক আগে মহেশপুরে হিন্দু ধর্মবলম্বীদের বসবাস ছিল। এজন্য ১১৮৫ খ্রিষ্টাব্দে মহেশ্বর (শিব) মন্দির স্থাপন করা হয়।
জনশ্রুতি আছে,কপোতাক্ষ ও বেতনা নদীর সংযোগস্থলে ধীরে ধীরে একটি নতুন চর জেগে ওঠে। এই চরে স্বয়ং আবিভুত হন,মহেস্বর মন্দির যার অন্য নাম বুড়ো শিব। তার নাম অনুসারেই প্রতিষ্টিত হয় মহেস্বর (শিব) মন্দির। এর কিছুকাল পরে ফতেপুর কপোতাক্ষ নদের পাশে আরো একটি চর জাগে। সেই চরে ফতেপুর এলাকার জমিদার বংশের লোকজন অন্যান্য পুজার সাথে চড়ক পুজা শুরু করে। ১৪৮৫ খ্রিষ্টাব্দে সুন্দরানন্দ ঠাকুরের প্রচেষ্টায় এ পুজা শুরু করা হয়। মহেশপুর,ফতেপুর ও বর্জাপুর গ্রামে এখনো জমিদার বাড়ির শেষ চিহ্ন কালের সাক্ষি হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। এখনো মন্দিরে বিগ্রহ আছে। মহেশপুর পৌর সভার উত্তর পাশে এর অবস্থান। দেশ-বিদেশ থেকে এখানে ভক্তরা এসে থাকে।
অতীতে নাকি এই মেলা দেখতে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হত। কালক্রমে তা নিচে নেমে ২০/২৫ হাজারে দাড়িয়েছে। মহেশপুর উপজেলা সদর থেকে ৭/৮ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে কালিগঞ্জ-জীবননগর সড়কের ফতেপুর গ্রামের বকুলতলা বাজারে ৩ রা বৈশাখ এই মেলা ও পুজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর ৫/৭ জন শন্যাসীকে পিঠে বড়শি বিদ্ধ (স্থানীয় ভাষায় বান ফোঁড়ানো) করে শুন্যে ঘুরানো হয়। অতীতে এ সংখ্যা ছিল ১০/১২ জন। এ ব্যাপারে চড়ক পুজা কমিটির সভাপতি সাধন কুমার ঘোস জানান,এ বছর ৭ জন সন্যাসি চড়ক পাকে অংশগ্রহন করবে। এবার যারা সন্যাসী সেজেছে তারা হলেন,(১) শ্রী মনা কর্মকার,(২) আনান্দ মিস্ত্রি,(৩) ভিম হালদার, (৪) বিপ্লব কর্মকার, (৫) প্রবির কুমার হালদার,(৬) সাধন কুমার বাবু রায় (৭)ও বাসুদেব বাবু রায় । তিনি আরো জানান,এ দৃশ্য দেখা এবং কেনাকাটার জন্য এখনো ২০-৩০ধিক নারী-পুরুষ ও ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে।
প্রতি বছরের মত এবারো গাঁ শিউরে ওঠা এই দৃশ্য দেখবে প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষ। এটাকে বলা হয় চড়ক উৎসব।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর গ্রামে প্রতি বছর এ উৎসব আয়োজনে এই পুজা হয়ে থাকে। স্থানীয়রা জানায় প্রায় ২’শ বছর ধরে বৈশাখ মাসের ৩ তারিখে ঐতিহ্যবাহী এই পুজা হয়ে আসছে। পুজাকে ঘিরে বাংলা নববর্ষের শুরুতেই ৩ দিনব্যাপী এখানে চলে জমজমাট লোকজ মেলা।
মেলা ও চড়ক পুজার ঐতিহাসিক দিক নিয়ে বিবিন্ন রকম তথ্য পাওয়া যায়। অধিকাংশের মতে জানা যায়,আজকের এই মহেশপুরের (তৎকালীন সুলতানপুর) এক সময়ের শাসন কর্তা ছিলেন সূর্য় মাঝি। চক্রান্ত করে সূর্য় মাঝিকে হত্যার পর ১৭ জন ব্রাক্ষন সুলতানপুর পরগনার মালিকানা ভাগ করে নেয়। সেই সময়ের মহেশপুরের জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা পুরুষ হলেন হরিনারায়ন চৌধুরী। তার সময় জমিদাররা মহেশপুরের প্রভুত উন্নয়ন সাধন করে। চারিদিকে গড়ে উঠে বহু সুরমা প্রাসাদ। তখন বিভিন্ন ধরনের পুজা অনুষ্ঠিত হতো। পুজারীদের আনাগোনায় এ অঞ্চল থাকতো জমজমাট। এরও অনেক আগে মহেশপুরে হিন্দু ধর্মবলম্বীদের বসবাস ছিল। এজন্য ১১৮৫ খ্রিষ্টাব্দে মহেশ্বর (শিব) মন্দির স্থাপন করা হয়।
জনশ্রুতি আছে,কপোতাক্ষ ও বেতনা নদীর সংযোগস্থলে ধীরে ধীরে একটি নতুন চর জেগে ওঠে। এই চরে স্বয়ং আবিভুত হন,মহেস্বর মন্দির যার অন্য নাম বুড়ো শিব। তার নাম অনুসারেই প্রতিষ্টিত হয় মহেস্বর (শিব) মন্দির। এর কিছুকাল পরে ফতেপুর কপোতাক্ষ নদের পাশে আরো একটি চর জাগে। সেই চরে ফতেপুর এলাকার জমিদার বংশের লোকজন অন্যান্য পুজার সাথে চড়ক পুজা শুরু করে। ১৪৮৫ খ্রিষ্টাব্দে সুন্দরানন্দ ঠাকুরের প্রচেষ্টায় এ পুজা শুরু করা হয়। মহেশপুর,ফতেপুর ও বর্জাপুর গ্রামে এখনো জমিদার বাড়ির শেষ চিহ্ন কালের সাক্ষি হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। এখনো মন্দিরে বিগ্রহ আছে। মহেশপুর পৌর সভার উত্তর পাশে এর অবস্থান। দেশ-বিদেশ থেকে এখানে ভক্তরা এসে থাকে।
অতীতে নাকি এই মেলা দেখতে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হত। কালক্রমে তা নিচে নেমে ২০/২৫ হাজারে দাড়িয়েছে। মহেশপুর উপজেলা সদর থেকে ৭/৮ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে কালিগঞ্জ-জীবননগর সড়কের ফতেপুর গ্রামের বকুলতলা বাজারে ৩ রা বৈশাখ এই মেলা ও পুজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর ৫/৭ জন শন্যাসীকে পিঠে বড়শি বিদ্ধ (স্থানীয় ভাষায় বান ফোঁড়ানো) করে শুন্যে ঘুরানো হয়। অতীতে এ সংখ্যা ছিল ১০/১২ জন। এ ব্যাপারে চড়ক পুজা কমিটির সভাপতি সাধন কুমার ঘোস জানান,এ বছর ৭ জন সন্যাসি চড়ক পাকে অংশগ্রহন করবে। এবার যারা সন্যাসী সেজেছে তারা হলেন,(১) শ্রী মনা কর্মকার,(২) আনান্দ মিস্ত্রি,(৩) ভিম হালদার, (৪) বিপ্লব কর্মকার, (৫) প্রবির কুমার হালদার,(৬) সাধন কুমার বাবু রায় (৭)ও বাসুদেব বাবু রায় । তিনি আরো জানান,এ দৃশ্য দেখা এবং কেনাকাটার জন্য এখনো ২০-৩০ধিক নারী-পুরুষ ও ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে।
মন্তব্যসমূহ