ওয়াকার ইউনিস বিদায় নিয়েছেন কিছুদিন আগে। হন্যে হয়ে নতুন কোচ খুঁজছে পাকিস্তান। অথচ সাবেক লেগ স্পিনার আবদুল কাদির বলছেন, ক্রিকেটে কোচেরই দরকার নেই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই পাকিস্তানে চলছিল ওয়াকারের মুণ্ডুপাত। এরপর দায় মাথায় নিয়ে চলে যেতে হয়েছে সাবেক এই ফাস্ট বোলারকে। নতুন কোচের জন্য বেশ কয়েকজনকেই বিবেচনা করছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু কাদির সেটার কোনো প্রয়োজনই দেখছেন না, ‘কোচ মানেই টাকা নষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়। ক্রিকেটে কোচের কোনো দরকার নয়। অধিনায়কই এখানে প্রধান। সে-ই এখানে মূল চাবিকাঠি। আমাকে বলুন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা কোচের কাছ থেকে কী এমন শিখতে পারে? খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করা বা পরিকল্পনা করার জন্য অধিনায়কই ঠিক মানুষ।’
কাদিরের মতে, ব্যর্থতার দায়ও তাই কোচের ওপর না চাপিয়ে অধিনায়কের ওপরেই চাপানো উচিত, ‘একটা সিরিজ হারার পরেই আমাদের কোচ-অধিনায়কের পাল্টাপাল্টি দোষ দেওয়া চলতে থাকে। এই রীতিটা বন্ধ করা উচিত। আমার মতে, দলে যা কিছু হবে তার দায় পুরোপুর অধিনায়কের নেওয়া উচিত।’
দেশি তো বটেই, বিদেশি কোচদের পেছনেও কম বিনিয়োগ করেনি পাকিস্তান। জিওফ লসন, বব উলমার, ডেভ হোয়াটমোররা পাকিস্তানের দায়িত্বে বেশ কিছুটা সময়ও ছিলেন। কাদির মনে করিয়ে দিলেন, শেষ পর্যন্ত তাঁদের কেউই সাফল্য এনে দিতে পারেননি, ‘১৯৯৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত আমাদের বেশ কয়েকজন বিদেশি কোচ ছিলেন। কিন্তু তাঁদের কেউই কিছু করতে পারেননি। বরং যে দুবার আমরা বড় টুর্নামেন্ট জিতেছি, ১৯৯২ বিশ্বকাপ ও ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, দুবারই আমরা ইন্তিখাব আলমের অধীনেই জিতেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তানে সাদা চামড়া দেখলেই আমরা মুগ্ধ হয়ে যাই। এমনকি দেশ থেকে বাইরে গিয়ে যারা কিছু করে আসে, তাদেরও বড় বড় পদে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ ফলাফল শূন্য।’
মন্তব্যসমূহ