নাজমুস সাকিব, ত্রিশাল প্রতিনিধি ঃ বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জয়ন্তী উদ্যাপন উপল্েয ৮মে রবিবার কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. হায়াৎ মামুদ। প্রধান অতিথি ত্র বক্তব্যে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জানতে ও বুঝতে হলে শুধু বক্তব্য শুনলেই হবে না, তার লেখা বই পড়তে হবে। মানুষের ভেতরে যে শিল্প চৈতন্যবোধ থাকে তার বিকাশের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বই পড়া প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিল্পকলার এমন কোন বিষয় নাই যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্পর্শ করেন নি। তিনি ছবিও এঁকেছেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বা কবিতা শুনে, প্রবন্ধ বা গল্প পড়ে তার ভক্ত হতে হবে এমন নয়। তিনি মনের অজান্তেই আমাদের হৃদয়ে আছেন। বাতাস যেমন সবজায়গায় বিচরণ করে ঠিক তেমনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিচরণও সবজায়গায়। তিনি আমাদের একমাত্র ঐতিহ্য যাকে আমরা শয়নে-স্বপনে স্মরণ করতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের যতরকম অনুভূতি রয়েছে তার সবগুলোই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনুভব করতে পেরেছিলেন। তিনি জানতেন মানুষের সাধ্যের বাইরে কিছুই নেই। সময়কে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যেমনটি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাইতো তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে উঠেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর এ এম এম শামসুর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: হাবিবুর রহমান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মো: নজরুল ইসলাম, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) প্রফেসর ড. সুব্রত কুমার দে, পরিচালক (গবেষণা) প্রফেসর ড. বিজয় ভূষণ দাস, রেজিস্ট্রার মো: আমিনুল ইসলাম এবং গ্রন্থাগারিক মো: ফজলুল কাদের চৌধুরী।
আলোচনা সভার পরেই শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের পরিবেশনায় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
এর আগে সকালে থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের স্টুডিও থিয়েটার হলে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর এ এম এম শামসুর রহমান-এর সভাপেিতত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ‘পূর্ব বাংলায় রবীন্দ্র-হেজিমনি’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন ফোকলোর বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ। পাঠকৃত প্রবন্ধের বিষয়ে আলোচনা করেন যথাক্রমে সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জাহিদুল কবীর, ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস।
মন্তব্যসমূহ