আন্তর্জাতিক
ক্রিকেটে মুখোমুখি হলে একে অপরের বিপক্ষেই লড়তে হবে ডেভিড ওয়ার্নার ও
মুস্তাফিজুর রহমানকে। সে সময় বাংলাদেশের তরুণ বাঁহাতি পেসারের বলে আউট হলে
হয়তো একচিলতে হাসিই খেলে যাবে ওয়ার্নারের মুখে। কারণ, অস্ট্রেলিয়ান এই
ব্যাটসম্যান যে মন থেকেই চেয়েছেন মুস্তাফিজের সাফল্য। রোববার আইপিএলের
ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা
জয়ের পর মুস্তাফিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎই কামনা করেছেন সানরাইজার্স
হায়দরাবাদের অধিনায়ক ওয়ার্নার।
বর্তমানে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মুস্তাফিজ যেকোনো অধিনায়কের জন্যই হতে
পারেন বড় ভরসার জায়গা। আইপিএলে ওয়ার্নারের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই দেখা
গেছে। দলের যেকোনো বিপজ্জনক মুহূর্তে মুস্তাফিজের হাতে বল তুলে দিয়ে খেলার
মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন ওয়ার্নার। আর ফিজও হতাশ করেননি অধিনায়ককে।
দুর্দান্ত সব কাটার-ইয়র্কারে নাজেহাল করেছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের।
আইপিএলের ফাইনালেও ক্রিস গেইলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হায়দরাবাদের বোলারদের যখন
দিশেহারা অবস্থা, তখন রানের গতি থামানোর জন্য মুস্তাফিজের হাতেই বল তুলে
দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। গেইল-ঝড়ে প্রথম পাঁচ ওভারেই ব্যাঙ্গালোর জমা করেছিল ৫৫
রান। ষষ্ঠ ওভারে বল করতে এসে মুস্তাফিজ দিয়েছিলেন মাত্র চার রান। নিজের
দ্বিতীয় ওভারে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কোহলির সামনে পড়ে একটি চার ও একটি ছয়
হজম করতে হলেও ইনিংসের শেষ পর্যায়ে শেন ওয়াটসনকে সাজঘরে ফিরিয়ে হায়দরাবাদের
জয় নিশ্চিত করেছেন মুস্তাফিজ।
শুধু ফাইনালেই নয়, আইপিএলজুড়েই মুস্তাফিজ ছিলেন ওয়ার্নারের তুরুপের তাস।
ভুবনেশ্বর কুমার আর মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং জুটিই যে হায়দরাবাদের
শিরোপা জয়ের পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে, তা অস্বীকার করার মতো মানুষ হয়তো
কমই পাওয়া যাবে। অধিনায়ক ওয়ার্নারও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এ দুই পেসারকে। আর
মুস্তাফিজকে শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘মুস্তাফিজ বাংলাদেশের জন্য খুবই
প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়। ভুবনেশ্বরের সঙ্গে সে যে রকম অসাধারণ ক্রিকেট
খেলেছে, তাতে তাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। আশা করছি, সে সুস্থ থাকবে আর
ভবিষ্যতে আরো দুর্দান্ত হয়ে উঠবে।অনেক দিন এক সাথে থেকে আমরা অনেক হয়ে
উঠেছিলাম। তাকে খুব মিস করব।’
ওয়ার্নারের এই কথাগুলো যেন সত্যিই বাস্তবে রূপ নেয়, তা খুব করেই চাইবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
মন্তব্যসমূহ