বিভাগীয় কমিশনার সম্মাননা পেয়েছেন ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল আহসান তালুকদার

খলিলুর রহমান:
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার সম্মাননা ২০১৬ পেয়েছেন ভালুকা উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার। ময়মনসিংহ বিভাগের ভালুকা উপজেলার শিক্ষা, স্বস্থ্য, যোগাযোগ ও নারী উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক খাতের উন্নয়নে সফল সমন্বয় ও বাস্তবায়ন এবং জনবান্ধব দাপ্তরিক পরিবেশ সৃষ্টিতে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মোঃ কামরুল আহসান তালুকদারকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ নিয়ে তিনি তৃত্বীয় বারের মতো এই পুরুষ্কার অর্জন করলেন। এর আগে তিনি ঢাকা বিভাগে সেরা ইউএনও, এবং ময়মনসিংহ জেলায় সেরা ইউএনওর পুরুষ্কার অর্জন করেন। বিভাগীয় কমিশনারের আয়োজনে এক অনারম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের, মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, ইউএনওর হাতে সম্মাননা সনদ ও ক্রেষ্ট তুলেদেন। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার, জি.এম.সালেহ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব, নাছিমা বেগম, এনডিসি, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব (সমন্বয় ও উন্নয়ন) এন এম জিয়াাউল আলম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন), মোঃ আনোর হোসেন, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডি,আই.জি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন পিপিএমসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ। মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন,আমাকে এই পুরুষ্কার দেওয়ায়, আমি অত্যান্ত আনন্দিত। তিনি বলেন, কাজের স্বীকৃতির মধ্যদিয়ে আরেকটি ভালকাজের উৎসাহ সৃস্টি হয়। কামরুল আহসান তালুকদার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মাননীয় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সহযোগীতা ও দিকনির্দেশনা ছাড়া আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব ছিলনা, কাজেই আমার যা কিছু অর্জন তা তাঁদের জন্যই। তিনি বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভালুকা উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল আহসান তালুকদারকে তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা দেবার জন্য, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন, ভালুকার সূধীসমাজ,ভালুকা পৌরসভার মেয়র ডা.এ.কে.এম মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ূম, ভালুকা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমান উল্যাহ তাজুন, ভালুকা প্রেসকাবের সভাপতি কামরুজ্জামান মানিক, সাধারণ সম্পাদক এম.এ মালেক খান উজ্জল, প্রেসকাব সদস্য ও সাপ্তাহিক আলোর ছোঁয়া সম্পাদক খলিলুর রহমান, ভালুকা প্রেসকাব নির্বাচন কমিশনার, মোঃ শাহাব উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম হিরন, প্রেসকাব সদস্য জুনায়েত আহমেদ খান, রফিকুল ইসলাম রফিক, আবু সাঈদ জুয়েল, আতাউর রহমান তরফদার,শফিকুল ইসলাম সবুজ, ভালুকা প্রেসকাব, সুরবীণা পরিবার, ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জাম মামুন, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হক সজিব ও সাপ্তাহিক আলোর ছোঁয়া পরিবার। উল্লেখ্য গত ১০ মে সাপ্তাহিক আলোর ছোয়ার ওয়েভসাইটে অনলাইন প্রকাশনায় কামরুল আহসান তালুকদারের কাজের মূলায়ন করে আমার লেখা একটি মন্তব্য প্রতিবেন প্রকাশ হলে, আমাদের কাছে অনেক মন্তব্য আসে। মন্তব্যটির উপর কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন যে, এটি ইউএনওকে খুশি করার জন্য লেখা হয়েছে আবার অনেকে বলেছেন মন্তব্যটি অনেক হালকা হয়েছে। কারন ইউএনও সাহেব আরো অনেক ভাল কাজ করেছেন যা মিডিয়ায় আসেনি, যারা মন্তব্যটিকে উৎসাহিত করে মন্তব্য করেছিলেন তাদের আমরা আশ্বস্ত করেছিলাম পরবর্তিতে আমি আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবো। মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা অর্জনের মধ্যদিয়ে একদিকে ভালুকাবাসীকে সম্মানিত করেছেন, অপরদিকে নিন্দুকের মুখে চুনকালী দিয়ে আমাদের আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশে উৎসাহিত করলেন। ইউএনওকে নিয়ে আলোর ছোঁয়ায় প্রকাশিত মন্তব্য প্রতিবেনটি পাঠকদের জন্য পূনরায় প্রতাশ করা হলো। “মন্তব্য প্রতিবেদন: বাল্যবিয়ে বন্ধ ও শিক্ষার মানোন্নয়নে ইউএনও কামরুল আহসান তালুকদারের ভূমিকা” বাল্যবিয়ে বন্ধ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল আহসান তালুকদারের ভূমিকা সর্বত্র প্রশংসিত। ভালুকায় যোগদান করেই বাল্যবিয়ে বন্ধের পাশাপাশি মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধেও পরিচালনা করেছেন বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমান আদালত। সুফলও পাওয়া যাচ্ছে বেশ। বাল্যবিয়ে যেমন সমাজের একটি অভিশাপ তেমনি যৌতুকও একটি অভিশাপ। আইনের প্রয়োগ ও গণসচেতনতার মাধ্যমেই কেবল পারে বাল্যবিয়ে ও যৌতুক নামক ঘৃণ্য অভিশাপ থেকে সমাজ ও জাতিকে মুক্তি দিতে। এক্ষেত্রে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সমাজ সচেতন প্রতিটি নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। ইতি মধ্যে আমরা লক্ষ করেছি যে, প্রশাসন যদি দায়িত্ব নিয়ে একটু এগিয়ে আসে তাহলে জনপ্রতিনিধি ও সমাজ সচেতন মহলও এগিয়ে আসবে। ইউএনও ভূমিকা নিয়ে এই পথ দেখিয়েছেন। সমাজকে আলোকিত করতে একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। কেন না কোন একক পদক্ষেপ সাময়িক সাফল্য আনতে পারলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়না, কারন এই সফলতা ধরে রাখার জন্য আর কোন পরিচর্যা থাকেনা। এখানে উল্লেখ্য করা যেতে পারে, বাল্যবিয়ে বন্ধে ভালুকা উপজেলার নির্বাহী অফিসার কামরুল আহসান তালুকদার ইতিমধ্যে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যোগদান করেই ভালুকা উপজেলা থেকে বাল্যবিয়ে নির্মূল করার কাজ হাতে তুলে নেন স্ব- উদ্যোগে। পরিচালনা করেন বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমান আদালত। সচেতন নাগরিকদের মতে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাল্যবিয়ে বিরোধী অভিযানটি উপজেলার সর্বত্র যেমন প্রভাব পড়েছে, তেমনি সফলতাও পেয়েছে অল্প সময়ে। সেই সফলতা ধরে রাখতে এখন প্রয়োজন সামাজিক সচেতনাতা। বিশেষ করে এই কথা নির্ধিদায় বলা যায় যে, এখন ভালুকার কোন সাধারণ অভিভাবকও তার অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক কন্যা সস্তানের বিবাহের কথা কল্পনাও করতে রাজি নয়। এর পরেও যে, ২/১ টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা যে, ঘটছে না তা কিন্তু নয়, তবে সমাজ সচেতনগণ মনে করেন ইউএনওর ভূমিকার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিগণ আরো বেশি দায়িত্বশীল হলে ভালুকাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা ঘোষনা করা এখন সময়ের ব্যপার মাত্র। অন্যদিকে যৌতুক বিরোধী আন্দোলনটা এখানে সেরকম জুড়ালো বা শক্তিশালী হয়ে উঠছে না। কারন মূলত, আইন প্রয়োগে শিথিলতা ও সচেতনতার অভাব। বাল্যবিয়ে বন্ধে ইউএনও যে ভূমিকা রেখেছেন যৌতুক বন্ধে এরকম ভূমিকা রাখতে পারবেন কিনা, কারন বাল্যবিয়ের বিষয়টি ইচ্ছে করেই যেমন গোপন রাখা যায় না, তেমনি অনেক সময় যৌতুকের বিষয়টি উভয় পরিবারই গোপন করে রাখতে পারে, এবং গোপন রাখেও তারা। এখানে পারিবারিক সচেতনতা সৃষ্টি না হলে বাল্যবিয়ে বন্ধ হলেও সমাজ থেকে যৌতুক বন্ধ করা যাবেনা, আর যৌতুক যদি বন্ধ না করা যায়, তাহলে বাল্যবিয়ে বন্ধের এই আয়োজন এক সময় বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য। কারন যে সকল কারনে একটি পরিবার বাল্যবিয়েতে উৎসাহিত হয় তার মধ্যে যৌতুক একটি। অসচেতনতা, অজ্ঞতা, অশিক্ষা ও দারিদ্রতা এই সমাজে যৌতুক ও বাল্যবিয়ে জিয়ে রেখেছে। সমাজে অশান্তি, সামাজিক শান্তি শৃংখলা বিঘœ হওয়ার জন্যও বাল্যবিয়ে একটি ভূমিকা রাখে। আমরা মনে করি সামাজিক শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনার লক্ষে বাল্যবিয়ে ও যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও জনপ্রতিনিধিসহ আমাদের সম্মিলিত ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। যদিও আমাদের জনপ্রতিনিধিদের হাতে গুণা কয়েকজন ব্যতিত সকলেই যে এই বিষয়টির প্রতি আন্তরিক বা সচেতন এমনটি মনে করার কোন কারন নেই, আমাদের জনপ্রতিনিধিরা অনেকেই সমাজের প্রতি নিজেদের দায়-দায়িত্ব ভূলে যান, অথবা দায়িত্ব এরিয়ে যায় রহস্যজনক কারনে। অনেক সময় কেউ কেউ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করে অন্যায়ের প্রতি এক রকম মৌন সমর্থন দিয়ে থাকেন। অনেক সময় অসচেতনতা মূলক আবার কেউ কেউ চৈতন্যেও করে থাকেন। নাগরিক সমাজ মনে করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাইলে অন্তত একটি ইস্যুতে আমাদের সকল জনপ্রতিনিধিদের একটা জায়গায় অঙ্গীকারাবদ্ধ করতে পারেন এবং সচেতন মানুষদের দাবি এই কঠিন কাজটি তিনি করার চেষ্টা করবেন। কেন না আমরা মনে করি আমাদের শত লোকের জন্য যে কাজটি অত্যন্ত কঠিন তা উনার জন্য খুবই সহজ আর সেটা আইনগত ভাবেই। নাহলে তিনি আমাদের যে পথ দেখালেন আমরা তা হারিয়ে ফেলবো। আজকে নানান কারনেই সমাজে কন্যাশিশুর বিয়ে একটি ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। সে ব্যাধি সাড়াতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার যে পরিশ্রম করেছেন, এবং তার যে টুকু সুফল অর্জিত হয়েছে তাকে আর নষ্ট হতে দেওয়া উচিৎ হবেনা। আগেই উল্লেখ করেছি বাল্যবিয়ে সম্পূর্ণ বন্ধ না হলেও উপজেলা ব্যাপি এখন যে কোন পরিবার বিয়ের আয়োজন অনেক হিসাব নিকাশ করেই করছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। মূল কথা হলো সাধারণ অভিভাবকদের মধ্যে যে জাগরন সৃস্টি হয়েছে তাকে স্থিমিত হতে দেওয়া ঠিক হবেনা। তাই যৌতুক ও বাল্যবিয়ে-মুক্ত ভালুকা উপজেলা গঠনে তৃণমূল পর্যায়ে আরো সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। যৌতুক ও বাল্যবিয়ে নিরোধ-সংক্রান্ত আইন সম্বন্ধে মানুষের অজ্ঞতা এবং তার সময়োচিত প্রয়োগে শিথিলতাই যে বাল্যবিয়ের মূল কারণ এই বিষয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক প্রতিরোধ আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন। পর্যবেক্ষক মহল মনে করে মাঠ পর্যায়ে এবিষয়ে কার্যক্রম শুরু করার একটি উপযুক্ত পরিবেশ এখন তৈরী হয়েছে। যৌতুক ও বাল্যবিয়ে-মুক্ত ভালুকা গঠনের লক্ষে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,মেম্বার, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, মসজিদের ইমাম, আইন-শৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করে বাল্যবিয়ে-মুক্ত ভালুকা গঠনে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য তাদের সম্পৃক্ত করা। একই সাথে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বাল্যবিয়ে নিরোধ কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এই কমিটি গণসচেতনতা সৃষ্টি ও বাল্যবিয়ে নিরোধে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদান করতে পারবে। এছাড়াও সরকারী ভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের সুবিধাভোগীদেরকেও সম্পৃক্ত করা যায়। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহিত করলে তারাও একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। ইউএনও কামরুল আহসান তালুকদার বাল্যবিয়ে বন্ধের পাশাপাশি মাদক,জুয়া বন্ধ ও শিক্ষার মানোন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছেন তা অত্যান্ত প্রশংসনীয়। ইউএনওর ভূমিকায় উপজেলার বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষার যে টুকু পরিবেশ বিরাজ করছে সেটাও হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারন শিক্ষার মান উন্নয়নে ইউএনওর ভূমিকার পাশাপাশি উপজেলা শিক্ষা অফিসের সঠিক ও দায়িত্বশীল যে ভূমিকার প্রয়োজন ছিল তা লক্ষনীয় নয়। এমনিতেই উপজেলার বেশকয়েকটি স্কুলের শিার পরিবেশ অত্যন্ত নাজুক। পাশাপাশি কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিকদের বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকি দিয়ে জমির ব্যবসা, কন্টাক্টরী ও নিজস্ব ব্যবসা বাণিজ্যে ব্যস্থ্য থাকার অভিযোগও রয়েছে। চরম দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে একাদিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কোন প্রতিকার নাকরে উপজেলা শিক্ষা অফিস উল্টো দূর্নীতিগ্রস্থ্য প্রধান শিক্ষকের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। অভিভাবক ও পর্যবেক্ষক মহলের অভিযোগ হচ্ছে ভালুকা উপজেলা শিক্ষা অফিসার দায়িত্বশীল হলে যেসকল শিক্ষক বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত তারা এই সাহস পেতেন না। অনেকেই মনে করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সমর্থন ও সহযোগীতা ছাড়া কোন শিক্ষকের কোন প্রকার অনিয়মের সাথে জড়ানোর কোন সুযোগ নেই, কিন্তু যে সকল প্রাইমারী প্রধান শিক্ষকরা নিজের কর্মস্থল ছেড়ে কাশের সময় নিজের ব্যবসা বাণিজ্যের সাথে জড়িত তারা কি করে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিচ্ছে? কোন কোন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কি করে সারাক্ষন ভালুকা সদরে অবস্থান করে? অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে সরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকরা পাঠদানের সময় অর্থাৎ সকাল ৯-৪টার মধ্যে সরকারী কোন কাজ ছাড়াই বা ব্যাক্তিগত ছুটি ছাড়াই স্কুলের বাহিরে থাকতে পারে কিনা? সেখানে বেশ কয়েকজন প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজেরাই কাশ ও স্কুল ফাঁকি দিয়ে নিজের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সচেতন অভিভাবক ও পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন ২/১জন শিক্ষককে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষকরাও অনুশরন করলে ভালুকা উপজেলার প্রাইমারী শিক্ষা যে টুকু উন্নয়ন হয়েছে তার কয়েক গুণ অবনতি হতে বাধ্য। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভূমিকার কারনেই এখন শিক্ষকরা নিয়মিত কাশে যাওয়া শুরু করেছিল এবং শিক্ষার পরিবেশ আগের চেয়ে আনেকটা উন্নয়নের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারনে সেই পরিবেশ হারিয়ে যেতে বসেছে। অভিভাবক মহলের প্রশ্ন যে ক’জন শিক্ষক কাশ ফাঁকি দিয়ে সারাদিন উপজেলা সদরে ঘুড়া ঘুড়ি করে, তাদের খুটির জোড় কোথায়? কিভাবে তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিচ্ছে? প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে ইউএনওর ভূমিকায় যে সকল অভিভাবকরা আশান্বিত হয়েছিল তারা এইসব দেখে হতাশায় ভোগছে। এবিষয় কথা বললে, ভালুকা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কান্সিলর আমান উল্যাহ তাজুন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল আহসান তালুকদারের দেখানো পথে সম্মিলিত ভাবে যৌতুক ও বাল্যবিয়ে বন্ধ ও শিক্ষার এই পরিবেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমরা লক্ষ করেছি ছেলে-মেয়েকে বিদ্যালয় মূখী নাকরে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে আমাদের অভিভাবকদের দারিদ্রতার চেয়ে সচেতনতার অভাব অনেক বেশি। এখানে দারিদ্রতার যে কোন ভূমিকা নেই তা নয়। তবে অভিভাবকদের সচেতন করতে পারলে অবশ্যই একটা সুফল পাওয়া যাবে। আমি মনে করি তিনি যদি যৌতুক ও বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধি ও উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে উদ্বোদ্ধ করেন যাতে করে প্রতিটি স্কুলের কাশে যৌতুক ও বাল্যবিয়ের কু-প্রভাব সম্পর্কে প্রতিদিন অন্তত একমিনিট যদি আলোচনা হয়, তাহলে উপজেলার প্রত্যেকটি পরিবারেই এর একটা সুদূর প্রসারী প্রভাব পরতে পারে। আমাদের বিশ্বাস ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল আহসান তালুকদার ভালুকাকে যৌতুক ও বাল্যবিয়ে মুক্ত উপজেলা ঘোষনা করতে পারবেন। কারন বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে ভালুকা উপজেলাকে মুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার যে ভূমিকা রেখেছেন, সেটি উপজেলার নাগরিকদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এখন ভালুকার মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য এটি ধরে রাখা। ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুন বলেন, যৌতুক ও বাল্যবিয়ে সমাজের একটি অভিশাপ, এই সমাজকে অভিশাপ মুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার যে ভূমিকা রেখেছেন তা অত্যান্ত প্রশংসনীয়, আমি মনে করি এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আমরা এর দীর্ঘ মেয়াদী একটা সুফল পাব। আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হচ্ছেন, চেয়ারম্যান,মেম্বার এবং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারদের কাজ থেকে এই অঙ্গিকার আদায় করা যে, নির্বাচিত হয়ে নিজ নিজ এলাকাকে তারাও যৌতুক ও বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষনা করবেন। তাহলেই আমরা দীর্ঘ মেয়াদী একটা সুফল ভোগ করতে পারবো। একই সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলির সাথে কিভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা যায় এটাও চিন্তা করার বিষয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলির সাথে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করলে আশানুরূপ ভাল ফল পাওয়া যাবে। যেহেতু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ তাঁর নির্বাচনি এলাকার জনগণের নিকট সরাসরি দায়বদ্ধ থাকেন। এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিগণ আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। খুব অল্প সময়ে ভালুকা উপজেলা যৌতুক ও বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষনা হউক এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

মন্তব্যসমূহ