শরীরের চিবুকে চুম্বন শেষে চেয়ে থাকে চাতক
শ্রাবনের পিঠে ছুরি মেরে উকি দেয় দিপ্ত রোদ ।
শ্রাবণে ভেতর মাথা তুলে আলোদের অবাধ্য স্পর্শ
বেঁচেথাকাগুলো স্পষ্ট বিন্দুমুখী বৃষ্টির ধূলো ওড়ে
এ যদি স্বপ্ন হয়, জাগরণে কিবা সুখ বলো রোদ ?
শ্রাবনের বৃষ্টি ঘিরে সবুজ পতঙ্গের উৎসব করে
রুক্ষগাছের পাতারা দিনভর শ্রাবণ নাচে রিমঝিম ।
শ্রাবণের এই বৃষ্টিতে চোখেরি দৃষ্টিতে মজার দিনে
স্নিগ্ধতা ভরা এই দুপুরে পায়ে বাধা রূপালী নূপুরে
মধুর ধ্বনি আমার দিকে চেয়ে রোদ লাজুক হাসে ।
দ্বিধার মেঘে তীব্র ফাটল, শ্রাবণের বৃষ্টি যায় থেমে
তাইতো ফেরালাম দু'চোখের দৃষ্টি আকাশ পানে
এক চিলতে রোদ আমার পানে চেয়ে আজ কি বলে ?
রোদেলা একজনের সঙ্গে ধূপকাঠি ফিরির যে সম্পর্ক
ঠিক তেমনই বৃষ্টির সাথে আমার হয়না কোন শ্রাবণ ।
চোখের পাতা বুঁজে যায় কেউ তখন মুখোমুখি বসে
শ্রাবণে ভিজে যাই রঙিন ছাতার মধ্যে ঢুকে দেখি
আমার সারা শরীরে বৃষ্টির জল দাগ ফুটে ওঠে
এক-দুমুঠো রোদ ধরা থাকে আমাদের অভিধানে
বৃষ্টির মানে যদি শ্রাবণ হয় তবে তুমি শ্রাবণের রোদ ।
শ্রাবণের বৃষ্টি যেখানে মেঘ আলো আধারের খেলা
জানালায় দিয়ে বার বার ভিজতে চাওয়া হাত মুখ
মায়ের শাড়ির আঁচলে দুষ্ট ছেলের মাথা মুছা কি মজা ?
মনে পড়ে তাই শ্রাবণ মানে বৃষ্টি না কিছু রোদের খেলা ।
রেইন ট্রি গাছের নীচে ঘাস জমি আর নীচে ঝোপ- জঙ্গল
তারও নীচে আকাশ থেকে এই রৌদ্রস্নাত চিত্রনাট্যে আমি
পাহাড়ি ঢালের জমি ঘেঁষে পাহাড়ি ঝরনা ডাকে আয় আয়
শ্রাবণের বৃষ্টি দুজন ভিজে ভিজে দেখি নিলাচল নীলগিরি ।
অঝোর শ্রাবণে ভিজে পুলকিত তনু মায়ার বাঁধনে বাঁধন ।
প্রেমে মধ্য যামিনী আজকে হারালো সব শ্রাবণের বৃষ্টিতে
নব আনন্দে শ্রাবণ থামালো বৃষ্টির কলরব এই রোদে ।
মন্তব্যসমূহ