হিজড়া বানানোয় ক্লিনিক মালিকসহ আটক ৩

পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানানোর অভিযোগে যশোর সদরের মহুয়া সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক, ম্যানেজার ও নার্সসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ভুক্তভোগীকে।

বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আটকের পর দুপুরের দিকে থানায় নিয়ে আসা হয়। আটককৃতরা হলেন মহুয়া সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক যশোর সদর উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের খলিলুর রহমান ও তার ভাই ম্যানেজার ইউনুস আলী এবং বাঘারপাড়ার বহরামপুর গ্রামের আবু বক্করের মেয়ে নার্স রাজিয়া সুলতানা ওরফে হাবিবা।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, পুরুষাঙ্গ কেটে যুবককে হিজড়া বানানোর ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সোহরাব হোসেন জানান, মহুয়া সার্জিক্যাল ক্লিনিকে এক যুবককে পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানানো হয়েছে এমন খবর পেয়ে তিনি সেখানে অভিযান চালান। সেখান থেকে ক্লিনিক মালিক, ম্যানেজার, নার্সসহ তিনজনকে আটক করা হয়। আর লিঙ্গ পরিবর্তনের পর শান্তা নাম রাখা হিজড়াকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এসআই সোহরাব হোসেন আরো জানান, এর আগেও এ ক্লিনিকে এমন ঘটনা ঘটেছে। এই ক্লিনিকে কোনো ডাক্তার নেই। তারা ক্লিনিক খুলে মানুষকে প্রতারিত করছে। এই ক্লিনিকে এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছিল। তখন মালিক খলিলুর রহমানকে আটক করে কারাগারেও পাঠানো হয়।

আটক খলিলুর রহমানের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন বলেন, ওই যুবক এক বছর আগে পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া হন। এখন তার নাম শান্তা। তার প্রস্রাবের নালিতে জ্বালাপোড়া করায় তিনি বৃহস্পতিবার চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন।

মন্তব্যসমূহ