গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনঃ না জনা তথ্য !

আসাদুজ্জামান অনিক‬: ১৮২৩ সালে ময়মনসিংহ জেলায় ১২ টি থানার মধ্যে গফরগাঁও একটি । ১৮৭৯-৮০ সাল পর্যন্ত প্রচলিত ৫৪ টি ডাকঘরের মধ্যে গফরগাঁও অন্যতম। ভারতবর্ষের অন্যতম কৃষি এলাকা হিসেবে পরিচিত ময়মনসিংহের গফরগাঁও এ রেলপথের চাকা ঘুরেছিল সেই ১৮৮৫/৮৬ সালে । ঢাকা ময়মনসিংহ রেলপথ স্থাপনের সময় প্রথম চারটি রেলওয়ে স্টেশনের একটি এই গফরগাঁও। ২৯ আগষ্ট ১৮৮৫ ময়মনসিংহ থেকে গফরগাঁও রেলপথে যাত্রী পরিবহণের জন্য খুলে দেওয়া হয় এবং ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ১৮৮৬ গফরগাঁও থেকে জয়দেবপুর রেলপথে যাত্রী পরিবহণের জন্য উন্মুক্ত হয়। তৎকালীন ঢাকা প্রকাশ পত্রিকার বিবরণ অনুযায়ী রেলগাড়ি প্রতিদিন সকাল ৬.৩০ মিনিটে ময়মনসিংহ থেকে যাত্রী নিয়ে বেলা ৮.১৫ মিনিটে গফরগাঁও ষ্টেশনে পৌঁছাতো। এবং সেখান থেকে বিকেলে ৫.১৫ মিনিটে ছেড়ে সন্ধ্যায় ৭.০০ টায় ময়মনসিংহ পৌঁছাতো। তখনকার সময় প্রচুর পাট ও পাটের বস্তা, থলে, চট প্রভৃতি গফরগাঁও থেকে রেলযোগে যাওয়া আসা করতো। গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন এর বয়স একশত ত্রিশ বছর। ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার, হযরত শাহ ফরিদ কালু শাহ, মানিক শাহ, গরীবউল্লাহ শাহ, প্রভৃতি পীর ও দরবেশের আগমনে সমাদৃত এই এলাকা। বি ক্লাস এই রেলষ্টেশনের যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের আয় এই অঞ্চলের ষ্টেশনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। শুধু গফরগাঁও নয় প্বার্শবর্তী হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া , নান্দাইল, ত্রিশাল, ভালুকা উপজেলা থেকে ট্রেনে যাতায়াতে করতে হলে এই রেলওয়ে স্টেশনটিই ব্যবহার করতে হয়।

মন্তব্যসমূহ