ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় জমিদারবাড়ি সংস্কার হওয়ায় সেখানে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। বিষ্ণু সাগর দীঘি, প্রাচীন স্থাপনা যুগল মন্দির, চান খাঁর মসজিদ, বিবির ঘর, ঘূর্ণায়মান নাট্য মঞ্চ, সাত ঘাটের পুকুর, জলটং, রসুলপুর বন ঘুরে দেখে তারা কিনছেন জগৎখ্যাত ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিজাত খাবার মণ্ডা ।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুক্তাগাছা জমিদারদের পূর্বপূরুষ শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরী শহরের মাঝে গোড়াপত্তন করেন। পরবর্তীতে তার বংশধর এখানেই বসতি স্থাপন করেন। শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরী ছিলেন বগুড়ার ঝাগড়ের বাসিন্দা। তিনি মুর্শিদাবাদের দরবারে রাজস্ব বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছিলেন নবাবের খুবই আস্থাভাজন। নবাবের দরবারে রাজস্ব বিভাগে কর্মরত থাকাবস্থায় ১১৩২ সালে তিনি সেই সময়ের আলাপসিং পরগণার বন্দোবস্ত নিয়েছিলেন। এখনকার মুক্তাগাছা শহরসহ মুক্তাগাছা উপজেলার বেশিরভাগই ছিল তখন আলাপসিং পরগণার অন্তর্ভুক্ত।
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নানা কারণে শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর চার ছেলে বগুড়া থেকে আলাপসিং এসে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন।
মুক্তাগাছা রাজবাড়িটির প্রবেশমুখে রয়েছে বিশাল ফটক। প্রায় ১০০ একর জায়গার ওপর নির্মিত এই রাজবাটি স্থাপত্য স্থাপনাশৈলীর অনন্য নিদর্শন।
সতেরশ শতকের মাঝামাঝি নির্মাণ করা হয় মুক্তাগাছার জমিদার বাড়িটি। ১৮শ শতকের ভূমিকম্পে বাড়িটি ভেঙে পড়লে লন্ডন আর ভারত থেকে সুদক্ষ কারিগর এনে ভূমিকম্প সহিষ্ণু করে পুনঃনির্মাণ করা হয়। ১৯৪৭ সালের পর মুক্তাগাছায় জমিদারি প্রতিষ্ঠাতা শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর ১৬ জন বংশধরের প্রায় সবাই চলে যান ভারতে। পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে তাদের নির্মিত ১৬টি বাড়ি। ক্রমান্বয়ে বাড়িগুলোতে (রাজবাড়ি ব্যতীত) গড়ে তোলা হয় শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নবারুণ বিদ্যানিকেতনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। জমিদারদের কয়েকটি বাড়ি এখনও দখল করে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছেন স্থানীয় কিছু লোকজন।
সরকার পর্যটনের অপার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জমিদারবাড়ি সংস্কারের কার্যক্রম হাতে নেয়। সংস্কারের ফলে ফিরে আসতে থাকে বাড়িটির আগের চেহারা। গত বছরের জুনে সংস্কার কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও আরো সময় প্রয়োজন বলে জানান সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সংস্কার কাজের সময় বৃদ্ধি করে চালিয়ে যাচ্ছেন কাজ।
মন্ডা বিক্রেতা গোপাল পালের বংশধররা জানান, এবছর পর্যটকের সংখ্যা বেশি তাই মন্ডা বিক্রি বেড়েছে। সবই হয়েছে জমিদার বাড়ি সংস্কারের ফলে।
শেয়ার করুনঃ
ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুক্তাগাছা জমিদারদের পূর্বপূরুষ শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরী শহরের মাঝে গোড়াপত্তন করেন। পরবর্তীতে তার বংশধর এখানেই বসতি স্থাপন করেন। শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরী ছিলেন বগুড়ার ঝাগড়ের বাসিন্দা। তিনি মুর্শিদাবাদের দরবারে রাজস্ব বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছিলেন নবাবের খুবই আস্থাভাজন। নবাবের দরবারে রাজস্ব বিভাগে কর্মরত থাকাবস্থায় ১১৩২ সালে তিনি সেই সময়ের আলাপসিং পরগণার বন্দোবস্ত নিয়েছিলেন। এখনকার মুক্তাগাছা শহরসহ মুক্তাগাছা উপজেলার বেশিরভাগই ছিল তখন আলাপসিং পরগণার অন্তর্ভুক্ত।
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নানা কারণে শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর চার ছেলে বগুড়া থেকে আলাপসিং এসে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন।
মুক্তাগাছা রাজবাড়িটির প্রবেশমুখে রয়েছে বিশাল ফটক। প্রায় ১০০ একর জায়গার ওপর নির্মিত এই রাজবাটি স্থাপত্য স্থাপনাশৈলীর অনন্য নিদর্শন।
সতেরশ শতকের মাঝামাঝি নির্মাণ করা হয় মুক্তাগাছার জমিদার বাড়িটি। ১৮শ শতকের ভূমিকম্পে বাড়িটি ভেঙে পড়লে লন্ডন আর ভারত থেকে সুদক্ষ কারিগর এনে ভূমিকম্প সহিষ্ণু করে পুনঃনির্মাণ করা হয়। ১৯৪৭ সালের পর মুক্তাগাছায় জমিদারি প্রতিষ্ঠাতা শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর ১৬ জন বংশধরের প্রায় সবাই চলে যান ভারতে। পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে তাদের নির্মিত ১৬টি বাড়ি। ক্রমান্বয়ে বাড়িগুলোতে (রাজবাড়ি ব্যতীত) গড়ে তোলা হয় শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নবারুণ বিদ্যানিকেতনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। জমিদারদের কয়েকটি বাড়ি এখনও দখল করে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছেন স্থানীয় কিছু লোকজন।
সরকার পর্যটনের অপার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জমিদারবাড়ি সংস্কারের কার্যক্রম হাতে নেয়। সংস্কারের ফলে ফিরে আসতে থাকে বাড়িটির আগের চেহারা। গত বছরের জুনে সংস্কার কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও আরো সময় প্রয়োজন বলে জানান সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সংস্কার কাজের সময় বৃদ্ধি করে চালিয়ে যাচ্ছেন কাজ।
মন্ডা বিক্রেতা গোপাল পালের বংশধররা জানান, এবছর পর্যটকের সংখ্যা বেশি তাই মন্ডা বিক্রি বেড়েছে। সবই হয়েছে জমিদার বাড়ি সংস্কারের ফলে।
শেয়ার করুনঃ
মন্তব্যসমূহ