আগামী ৫ অগাস্ট শুরু হতে চলেছে রিও অলিম্পিক। চলবে ২১ অগাস্ট পর্যন্ত। তবে এই সময়টা কি শুধু খেলাই চলবে? ভল্ট, থ্রো, জিমন্যাস্টিক? একমদমই না। চলবে আরো অনেক কিছু। চলবে সঙ্গোপনে অবাধ যৌনতা। আর তাই শুধু খেলা বা অতিথি সেবার আয়োজন নয়, খেলোয়াড় সহ অতিথিদের যৌন সুরক্ষার আয়োজনও পাকা করে ফেলেছেন আয়োজকরা। তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ জুলাই থেকে অলিম্পিকে অংশ নেয়া অ্যাথলেটদের মধ্যে বিনামূল্যে কনডম বিতরণ শুরু হয়েছে। এবার মোট সাড়ে চার লক্ষ কনডম বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে সাড়ে তিন লক্ষ পাবেন পুরুষ অ্যাথলেটরা। আর এক লক্ষ পাবেন নারী অ্যাথলেটরা। সাড়ে দশ হাজার অ্যাথলেটের প্রত্যেক গড়ে পাবেন ৪২টি করে কনডম। এছাড়া এক লক্ষ ৭৫ হাজার প্যাকেট লুব্রিক্যান্টও বিতরণ করা হবে। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের চেয়ে এবার তিনগুণ বেশি কনডম বিতরণ করা হচ্ছে। অবশ্য এর আগেও যে অলিম্পিকে কখনো কনডম বিতরণ করা হয়নি তা নয়। তবে, দিনে দিনে সেই সংখ্যাটা যেন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে সংখ্যাটা ছিল ৪৫,০০০। এরপর ২০০৮-এ বেইজিং অলিম্পিকে সেই সংখ্যাটাই বেড়ে দাঁড়ায় ৯০,০০০। আর সেই সংখ্যাটা এবার অনেক উপরে। আসলে একদিকে যেমন ব্রাজিল ‘অবাধ যৌনতা’র জন্য বিখ্যাত, তেমনই গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত জিকা ভাইরাস আতঙ্ক। দুয়ে মিলে আর কোনো ঝুঁকিই নিতে চাইছেন না আয়োজকরা। তাই তাদের এই অতি সাবধানী পদক্ষেপ। রিও অলিম্পিকের মুখপাত্র লুকাস দান্তাস বলেছেন, ব্রাজিল প্রকৃতপক্ষে নিরাপদ যৌনমিলনে উদ্বুদ্ধ করে। আর সাধারণ মানুষের মধ্যে অ্যাথলেটরা উপমা স্থাপন করে থাকেন। এইডসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অ্যাথলেটরা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি আরও বলেন, অনেক অ্যাথলেট আছেন যারা কনডম ব্যবহার করেন না। অলিম্পিক শেষে তারা এগুলো বাড়িতে নিয়ে যান।
মন্তব্যসমূহ