ক্যামব্রিয়ান কলেজ হোস্টেলে নিহত ছাত্রী মীমের হাতে ‘একি চিরকুট

ক্যামব্রিয়ান কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সামিয়াতুস সাদিকা মীম। ফাইল ছবিবিশেষ প্রতিনিধিঃ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর নর্দ্দা এলাকায় ক্যামব্রিয়ান কলেজের হোস্টেল থেকে মীমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ময়নাতদন্তের পর মীমের মামা শাহজালাল শাহীন বলেন, ‘মীমের যে উচ্চতা তার পক্ষে সম্ভব না ওড়না পেঁচিয়ে এত বড় সাহস দেখানো। হোস্টেল কর্তৃপক্ষ হয়তো তাঁকে মেরে এভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে।’
মীমের বাবা খলিলুর রহমান বলেন, ‘আত্মহত্যা করলে তো চেহারায় একটা কালো ছাপ পড়ে যায়। আমার মেয়ের কিছুই হয়নি। এটা আত্মহত্যা নয়। এটা অন্য কিছু।’
এ ব্যাপারে ক্যামব্রিয়ান কলেজের শিক্ষক ও হোস্টেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন রুমি বলেন, ‘মীম খুব মেধাবী ও ভদ্র মেয়ে ছিল। বিজ্ঞান বিভাগে পড়ত, বেশ ভালো পড়াশোনা করত। হোস্টেলের ছয় তলায় সে থাকত।’
বিষয়টির সঙ্গে মোবাইল ফোন সম্পর্কিত জানিয়ে জালাল উদ্দিন রুমি বলেন, ‘আমাদের এখানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। মীম যে ফ্লোরে থাকে সেখানে কেউ কেউ লুকিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করত বলে জানতে পারি। আমি যতদূর জানতে পারি গত বৃহস্পতিবারের আগের বৃহস্পতিবার ওদেরই কারো মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ওরা আমাদের কাছেও আসেনি, কারণ মোবাইল রাখাই নিষেধ। এ নিয়ে ওই মেয়েরা মীমকে সন্দেহ করে। মীমও ব্যাপারটি নিয়ে আমাদের কাছে আসেনি।’
জালাল উদ্দিন রুমি আরো বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মীমের রুমমেটরা দেখে ওদের রুম ভেতর থেকে বন্ধ করা। ধাক্কা দিয়েও কোনো সাড়া পাইনি আমরা। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখি মীমের ঝুলন্ত শরীর। গলায় ওড়না পেঁচানো।’
এদিকে মীমের মামা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘যেখানে মোবাইল ফোন রাখা যায় না, সেখানে কীভাবে তার (মীম) হাতে চিরকুট দিয়ে বলছে যে আমি মোবাইল চুরি করি নাই।’


মন্তব্যসমূহ