প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি কোনো প্লট নেই- জানার পর তার জন্য নিজের
বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
সোমবার জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে রওশন প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের জন্য প্লট বরাদ্দের দাবি করেন।
তিনি বলেন, “যারা নতুন সংসদ সদস্য, তাদের প্লট নেই। তাদের প্লট বরাদ্দের ব্যাপারে আমি মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আসন থেকে মাইক ছাড়াই বলে ওঠেন, “আমারই তো প্লট নেই।”
জবাবে রওশন বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর তো সারা বাংলাদেশ। তার লাগবে কেন? তিনি চাইলে আমার বাড়ি ছেড়ে দিব।”
এসময় পুরো অধিবেশন কক্ষে হাসির রোল পড়ে।
রওশন সংসদ সদস্যদের গাড়ির জন্য আলাদা নম্বর প্লেটও দাবি করেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “সংসদ সদস্য আছি আমরা
৩৫০। কিন্তু রাস্তায় স্টিকার সাড়ে ৫ হাজার। তাহলে সেই গাড়ি কারা চালাচ্ছে?
কে ঘুরে বেড়াচ্ছে?
“এমন একটা কিছু বের করতে হবে যাতে অন্য কেউ ব্যবহার করতে না পারে। দূতাবাসের মতো আলাদা নম্বর প্লেট দেন।”
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন সরকারের মন্ত্রীদের সারাদেশে ঘুরে ঘুরে মানুষের অবস্থা পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানান।
“মন্ত্রীদের বাংলাদেশের কোথাও যেতে দেখি না। তারা তো বাংলাদেশের
মন্ত্রী। কোত্থাও যায় না। ২০ বছর ধরে আমি সংসদে আছি। আমি কোনো দিন কোনো
মন্ত্রী মহোদয়কে দেখি নাই, ঢাকার বাইরে যেতে।…নিজের এলাকায় গেলে হবে না, সব
জায়গায় যেতে হবে।”
রাজধানীর যানজট নিরসন পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের প্রতি আহ্বানও জানান রওশন।
ঢাকাকে নিরাপদ শহর দাবি করে তিনি বলেন, “অনেকে মনে করছে, বাংলাদেশ
বিদেশির জন্য নিরাপদ নয়। আমেরিকা থেকে সতর্ক করা হচ্ছে। আমেরিকায় সবার হাতে
আর্মস আছে। পাখির মতো মানুষ মারছে। সেখানে তো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে না।
এখানে তাহলে কীভাবে?
“বাংলাদেশ বিদেশিদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ দেশ। তাদেরকে যেভাবে নিরাপত্তা
দিয়ে রাখা হয়, সম্মান করা হয়, অন্য কোথাও রাখা হয় না। যারা কথা বলছে,
কথাটা সঠিক নয়। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ।”
বিদেশি হত্যা, শিয়াদের তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবিও জানান বিরোধীদলীয় নেতা।
মন্তব্যসমূহ