আধুনিক ডিজিটাল ও দৃষ্টি নন্দন শহর গড়তে ১২ হাজার স্থাপনা ভাংতে হবে


Mymensingh Divion PIC-03


মতিউল আলম ও শাহ আলম , ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জি.এম. সালেহ উদ্দিন বলেন, বিভাগীয় নগরীসহ জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণা জেলা শহরকে আমরা আধুনিক সুন্দর ও দর্শণীয় করে সাজাতে চাই। আধুনিক ডিজিটাল ও দৃষ্টি নন্দন শহর গড়তে বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহের প্রায় ১২ হাজার স্থাপনা ভাংতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ৩২টি নতুন বিভাগীয় পর্যায়ের স্থায়ী অফিস পরিকল্পিতভাবে স্থাপন করা হবে, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অফিসগুলোর জন্য স্থান নির্ধারণ করা হবে। এ লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ ময়মনসিংহে এসে স্থান নির্বাচন করবেন। নবগঠিত দেশের অষ্টম ময়মনসিংহ বিভাগের সার্বিক উন্নয়নে গত বৃহস্পতিবার বিকালে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন ক েবিভাগীয় কমিশনার জি.এম. সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার জি.এম. সালেহ উদ্দিন আরো বলেন, ময়ননসিংহ বিভাগের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যনত্ম আনত্মরিক। রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে আসার পথে মহাসড়কের বিভাগের সীমানেত্ম দৃষ্টিনন্দন তোরণ বা গেট নির্মাণ করা হবে। নগরীর আমরা কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে চাই, এরজন্য যানজট জলাবদ্ধতা নিরসন, অবৈধভাবে ব্যবহৃত ফুটপাত দখলমুক্ত করা, নির্দিষ্টস্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা এবং ডাস্টবিন নির্মাণ, খোলা ট্রাকে আবর্জনা পরিবহন না করে কাভার্ড ভ্যানে পরিবহন, শহরের প্রতিটি রাসত্মার মোড়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা, বেদখল ড্রেন ও খালগুলো দখলে এনে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য মনমনসিংহ পৌরসভার মেয়রকে আহবান জানান । এর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে তার আনত্মরিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামূল হক টিটুর নেতৃত্বে বিশ্বের আধুনিক এবং এশিয়া মহাদেশে প্রথম ভূমিকম্প ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি সহনীয় ময়মনসিংহ শহরের ২০ বছর মেয়াদী ময়মনসিংহ স্ট্যাটেজিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (এমএসডিপি ) প্রণয়ন করায় এবং এশিয়ায় প্রথম স্থান লাভের পুরষ্কার পাওয়ায় মেয়র টিটুকে আনত্মরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জি.এম. সালেহ উদ্দিন।
ময়মনসিংহ বিভাগের উন্নয়নে প্রথম মতবিনিময় সভায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুসত্মাকীম বিল্লাহ ফারুকী, জামালপুরের জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দীন খান, শেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. এ. এম. পারভেজ রহিম, নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক ড. তরুণ কানিত্ম শিকদার, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মইনুল হক, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রশাসক এডভোকেট জহিরুল হক খোকা,ময়মনসিংহ পৌর মেয়র ইকরামূল হক টিটু, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্য প্রফেসর ডাঃ মতিউর রহমান, আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্য প্রফেসর জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি এডভোকেট আনিসুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক প্রকোশলী নূরুল আমীন কালাম,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ময়মনসিংহের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল শাহরিয়ার রশিদ, সড়ক বিভাগ ময়মনসিংহ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শাহাবুদ্দীন খান, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা জেলা পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও চার জেলার সরকারী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বক্তাগণ বলেন ত্রিশালে বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক বিমানবন্দর আবারো স্থাপনের জন্য উদ্যোগ গ্রহন, ময়মনসিংহ শহরের পাশদিয়ে ব্রহ্মপূত্র নদের উপর চারলেনের আরেকটি সেতু নির্মাণ, ময়মনসিংহে অর্থনৈতিক জোন ও আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা, দেওয়ানগঞ্জে ব্রহ্মপূত্র নদের উৎসমূখ খনন ও ব্রহ্মপূত্র ডেইজিং করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, সীমানত্ম সড়ক নির্মাণ, জয়দেবপুর থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যনত্ম ডাবল ডুয়েল গেজ রেললাইন স্থাপন, বাহাদুরাবাদ ঘাট দিয়ে যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল অথবা রেলসহ সেতু নির্মাণ, অবিলম্বে ইমিগ্রেশনসহ হালুয়াঘাটে পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর চালু করা, ওই স্থল বন্দর থেকে ময়মনসিংহ পর্যনত্ম চারলেন সড়ক নির্মাণ, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণার পর্যটন স্থানগুলোর উন্নয়ন করে আরো দর্শণীয় করে তোলা, চার জেলা শহরে বিনোদনের জন্য পার্ক স্থাপন, বিভাগীয় স্টেডিয়াম নির্মাণ, সিরামিকস শিল্প স্থাপন, জামালপুর, নেত্রকোণা, হালুয়াঘাটে শহর বাইপাস নির্মাণসহ আরো নানা বিষয়ে উলেস্নখ করা হয়। #

মন্তব্যসমূহ