গাজীপুরের শ্রীপুরে এক শিশুকে (১৫) অপহরণের পর দেহ ব্যবসায় নিয়োজিত করার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণের প্রায় দেড় মাস পরও শিশুটির খোঁজ না পাওয়ায় তার বাবা মা শোকাহত হয়ে পড়ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নে।
শিশুটিকে উদ্ধারে ব্যার্থ হয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অপহৃতার বড় বোন শুকিতা ৩ ডিসেম্বর অভিযোগটি দায়ের করেছে।
এতে গাজীপুর গ্রামের মৃত হাশেম মন্ডলের ছেলে হালিম উদ্দিন(৫০) ও নিজ মাওনা গ্রামের আরাফাত আলীর ছেলে বারেক(৪৫) কে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগ দায়েরের পর থেকে ওই শিশুটির পরিবার হুমকি এবং আতঙ্কে রয়েছে। কিন্তু অভিযোগটি মামলা অথবা সাধারণ ডায়েরী হিসেবেও রুজু হয়নি। উপরন্তু অভিযুক্তরা শিশুর পরিবারের লোকদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো এবং এলাকায় খারাপ প্রকৃতির পরিবার হিসেবে চিহ্নিত করার হুমকি দিচ্ছে।
অভিযোগের সুত্র ও শিশুর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যোগসাজশ করে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর তারা শিশুটিকে সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করেন। পরে পরস্পরের কাছে জানতে পারেন নিজ মাওনা গ্রামের আরাফাত আলীর ছেলে বারেকের বাড়িতে জোরপূর্বক ওই শিশুটিকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো হচ্ছে। বিভিন্ন সময় ওই শিশুকে খদ্দেরদের বাসা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দেহ ব্যবসার কাজ করাচ্ছে অভিযুক্তরা। এলাকাবাসীও শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য শিশুর পরিবারের লোকদেরকেও অবহিত করেন। এ ঘটনা নিশ্চিত হয়ে অপহৃতার বোন শুকিতা ৩ ডিসেম্বর শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী শিশুর বোন শুকিতা জানান, থানায় অভিযোগ দায়েরের খবর শুনে অভিযুক্তরা তার পরিবারের লোকদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো এবং এলাকায় খারাপ প্রকৃতির পরিবার হিসেবে চিহ্নিত করার হুমকি দিচ্ছে।
অভিযুক্ত আব্দুল বারেক প্রথমে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজী হননি। শিশুটির ব্যাপারে কোনো তথ্য তার কাছে নেই বলে দাবী করেন। একই সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে যোগাযোগের জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৬ ডিসেম্বর প্রাথমিকভাবে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। তবে শিশুটি অপহৃত হয়নি। সে তার বাবা মায়ের কাছে থাকে এবং সেখান থেকেই স্বেচ্ছায় অভিযুক্তের (বারেকের) বাড়িতে গিয়ে দেহ ব্যবসায়ের কাজ করে থাকে।
মন্তব্যসমূহ