ফেসবুক খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ চমকপ্রদ বলে জানা গেছে
দীর্ঘ ২২ দিন বন্ধ রাখার পর জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বৃহস্পতিবার খুলে দিয়েছে সরকার। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে জনস্বার্থে ফেসবুক বন্ধ রাখার কথা বলা হয় সরকারের তরফ থেকে। বারবার বলা হয়- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পেলেই খুলে দেওয়া হবে ফেসবুক। সেই সবুজ সংকেত আসার পরে খুলে দেওয়া হলো ফেসবুক। তবে খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ চমকপ্রদ বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক
উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশে ফেসবুক খুলে দেওয়া হয়েছে। ওই সূত্র আরও
জানায়, বুধবার ঢাকায় চলমান বিপিও সম্মেলন উদ্বোধন করতে গেলে সজীব ওয়াজেদ
ফেসবুক বন্ধ রাখার কুফল সম্পর্কে জানতে পারেন। ফেসবুক বন্ধ থাকায় কীভাবে
ফ্রিল্যান্সার ও ফেসবুক নির্ভর উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা তার কাছে
তুলে ধরেন। মূলত এসব কারণেই তিনি ফেসবুক খোলার উদ্যোগ নিয়েছেন বলে ওই
সূত্রের দাবি।
আর এর ফলশ্রুতিতে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক খুলে দিতে বলেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদকে।
প্রথমে মোবাইল ফোন অপারেটর, পরে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বা আইএসপিগুলো খুলে দিতে থাকে ফেসবুক।
কেন ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়েছিল তার ব্যাখ্যা জানিয়ে সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইয়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি লেখেন,
‘ফেসবুক এখন আবারও বাংলাদেশে খুলে দেওয়া হয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে জামায়াতি সন্ত্রাসীরা গুজব ছড়িয়ে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে একে ব্যবহার করে। যেজন্য যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ ও সাকার ফাঁসির আগে এটা বন্ধ করা হয়েছিল। গণহত্যাকারীদের পক্ষ হয়ে চালানো ব্যাপক আন্তর্জাতিক অপপ্রচারের মুখেও এটা শুধুই আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতার জন্যই স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের প্রতি সুবিচার করা সম্ভব হয়েছে।’
ফেসবুক খুলে দেওয়ার পরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমিন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক স্ট্যাটাস দেন।
সেই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের গর্ব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়কে অশেষ ধন্যবাদ বাংলাদেশে ফেসবুক পুনরায় খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য।’
এদিকে সরকারের আইসিটি বিভাগের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এফ-কমার্স (ফেসবুক ভিত্তিক কমার্স) নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। ফেসবুক নির্ভর তরুণ উদ্যোক্তাদের অনেকেরই পথে বসার অবস্থা হয়েছিল। দেশে বিকাশমান ই-কমার্স খাতও হুমকির মুখে পড়েছিল। মূলত এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ‘কনসিডারেশনে’ নিয়ে থাকতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কিছু সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ ছিল। জানা যায়, ওইদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশে ফেসবুকে ঢোকা যায়নি।
আর এর ফলশ্রুতিতে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক খুলে দিতে বলেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদকে।
প্রথমে মোবাইল ফোন অপারেটর, পরে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বা আইএসপিগুলো খুলে দিতে থাকে ফেসবুক।
কেন ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়েছিল তার ব্যাখ্যা জানিয়ে সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইয়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি লেখেন,
‘ফেসবুক এখন আবারও বাংলাদেশে খুলে দেওয়া হয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে জামায়াতি সন্ত্রাসীরা গুজব ছড়িয়ে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে একে ব্যবহার করে। যেজন্য যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ ও সাকার ফাঁসির আগে এটা বন্ধ করা হয়েছিল। গণহত্যাকারীদের পক্ষ হয়ে চালানো ব্যাপক আন্তর্জাতিক অপপ্রচারের মুখেও এটা শুধুই আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতার জন্যই স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের প্রতি সুবিচার করা সম্ভব হয়েছে।’
ফেসবুক খুলে দেওয়ার পরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমিন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক স্ট্যাটাস দেন।
সেই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের গর্ব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়কে অশেষ ধন্যবাদ বাংলাদেশে ফেসবুক পুনরায় খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য।’
এদিকে সরকারের আইসিটি বিভাগের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এফ-কমার্স (ফেসবুক ভিত্তিক কমার্স) নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। ফেসবুক নির্ভর তরুণ উদ্যোক্তাদের অনেকেরই পথে বসার অবস্থা হয়েছিল। দেশে বিকাশমান ই-কমার্স খাতও হুমকির মুখে পড়েছিল। মূলত এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ‘কনসিডারেশনে’ নিয়ে থাকতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কিছু সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ ছিল। জানা যায়, ওইদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশে ফেসবুকে ঢোকা যায়নি।
মন্তব্যসমূহ