এক বছর ধরে কোচবিহারের সরকারি মহিলা হোম ‘শহিদ বন্দনা স্মৃতি’ আবাসে
মিতা খাতুন নামে এক বাংলাদেশি কিশোরী রয়েছে। তার বাড়ি বাংলাদেশের দিনাজপুর
জেলায়। এক নারী পাচারকারী চক্র তাকে এপারে বিক্রি করে দেয়। সীমান্ত পেরিয়ে
এপারে নিয়ে আসার সময় বিএসএফের কড়া নজরদারি থাকায় পাচারকারীরা কিশোরীকে
ফেলে পালিয়ে যায়। এক বিএসএফ জওয়ান এই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে
তুলে দেয়। আদালতের নির্দেশে ওই কিশোরীকে এই হোমে পাঠানো হয়। এর পর থেকে
মিতাকে দেশে ফেরাতে সরকারি নিয়ম মেনে আবেদন করা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি।
বৃহস্পতিবার এই হোমে তার দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট তথা সংসদ সদস্য হুসেইন
মুহম্মদ এরশাদকে দেখে চমকে ওঠে সে। এরশাদের কাছে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার আবেদন
জানায়। সব শুনে এরশাদ জানান, এ বিষয়ে এ দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে
ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপস্থিত তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষও রাজ্য সরকারের
সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সাবেক
প্রেসিডেন্ট এরশাদ এই সরকারি হোম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তার আগে তিনি সরকারি
দৃষ্টিহীন বিদ্যালয়েও যান। চারদিনের ব্যক্তিগত সফরে গত মঙ্গলবার দিনহাটার
পৈতৃক বাড়িতে এসেছিলেন এরশাদ। এদিকে বুধবারই সাবেক বাংলাদেশি ছিটমহলের
বাসিন্দারা এরশাদকে কাছে পেয়ে দিনহাটা শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায়
এরশাদের পৈতৃক বাড়িতে এসে সংবর্ধনা জানান। এরশাদ দিনহাটায় পৌঁছানোর পর
থেকেই বিভিন্ন সংগঠন থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এদিন তিনি দিনহাটার কলেজ
হল্ট স্টেশন সংলগ্ন ইন্দিরামুজিব বাগে যান। ২০০৯ সালে তিনি দিনহাটায় এসে
এখানে একটি বকুল গাছ রোপণ করেছিলেন। দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ এখানে বাগান তৈরি
করেছে।
মন্তব্যসমূহ