স্টাফ রিপোর্টার: ১৬ডিসেম্বর-১৪ এই দিনে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি লবনকোঠা গ্রামে হবিরবাড়ী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু তার স্ত্রী, ২মেয়ে সহ নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পর গত এক বছর পার হয়ে গেলেও আপর্যন্ত খুনের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
মামলাটি ডিবি পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়ার পর মামলার বাদি নিহতের পিতা আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে সিআইডিতে প্রেরণের আবেদন করলে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান তনু একাই ঘটিয়েছে ডিবি পুলিশের এমন দাবি করলেও সিআইডি পুলিশ দাবি বলছেন একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে ।
জানা যায়, নিহত বাচ্চুর পিতা ওয়ারিছ আলী আদালতে আবেদন করলে অভিযোগপত্রটি গ্রহন না করে মামলাটি সিআইডি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সিআইডি পুলিশ মামলাটি তদন্ত ভার নেয়ার পর ঘটনায় সন্দেহ ভাজন আসামী আবু হানিফাকে একটি মটর সাইকেল সহ ৩১ অক্টোবর শনিবার দুপুরে উপজেলার সিডষ্টোর বাজারের আল-মদিনা মার্কেট থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল। পরে তাকে ৭দিনে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করার পর আদালত ২দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও সিআইডি পুলিশ হাফিজুর রহমান তনুকে ২দিনের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসবাদে তিনি পুলিশকে জানায়, রাজনৈতিক ও জমি সংক্রান্ত ঘটনায় বাচ্চু ও তার পরিবার সহ খুন হয়েছে। এ ঘটনার সাথে ১০/১২জন লোক জড়িত ছিল। তনু ডিবি পুলিশ ও আদালতে যে বক্তব্য দিয়েছে সিআইডি পুলিশের কাছে দেয়া বক্তব্যের মিল নেই।
নিহত বাচ্চুর বড় ভাই তাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার পরিবারের প থেকে ১০/১২জন লোক এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করে আসলেও ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ মামলাটি সঠিক তদন্ত না করে ভিন্ন ভাবে প্রভাবিত হয়ে তড়িগড়ি করে মামলার মুলহুতা হাফিজুর রহমান তনু,তার স্ত্রী হোসনা আক্তার ও তার ভাইরা ভাই রফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ ঘটনায় পুলিশ হাফিজুর রহমান তনু, হোসনা আক্তার, রফিকুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম ও আবু হানিফাকে গ্রেফতার করে। সাইদুল ইসলাম বর্তমানে জামিনে রয়েছে।
বাচ্চুর পিতা ওয়ারিছ আলী বাদী হয়ে সন্দেহভাজন হাফিজুর রহমান তনু সহ চার জনের নাম উল্লেখ করে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ২৪ তারিখ ১৬.১২.২০১৪ইং। মামলাটি ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ তদন্ত শেষে হাফিজুর রহমান তনু,তার স্ত্রী হোসনা আক্তার ও তার ভাইরা ভাই রফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নিহতের পিতা ওয়ারিছ আলী জানান, আবু হানিফা ছিল জমির দালাল লোকজন নিয়ে হামিদ এগ্রো লিঃ এর প নিয়ে হাজী সালাহ্ উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়ির পাশের ৩০শতাংশ জমিতে জোরপূর্বক কাটা তারের বেড়া নির্মাণ করে। জমিটি দখলে নিয়ে যায় এর প্রতিবাদ করাতেই আমার ছেলে বাচ্চু,তার স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করা হয়েছে। এ গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের স্পেশাল সেলে নেয়ার জন্য দাবি করেন।
হাজী সালাহ্ উদ্দিন জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকলেও তাদের সাথে মিমাংসা হয়েছে। বাচ্চু নিহত হওয়ার পূর্বেই তার পিতা ওয়ারিছ আলীর কাছ থেকে ওই জমি ৮লাখ বিঘা দামে ক্রয় করছি আমাদের কাছে থেকে তিনি ১লাখ টাকা বায়না নিয়েছেন।
সিআইডি পরিদর্শক লুৎফর রহমান জানান,মামলাটি আমার কাছে তদন্ত ভার দেয়ার পর এ ঘটনায় সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩১ অক্টোবর দুপুরে সিডষ্টোর বাজার থেকে আবু হানিফাকে গ্রেফতার করি প্রধান সন্দেহ বাজন তনুকে ২দিনে রিমান্ডে আনার পর তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তনু স্বীকার করেন, এ ঘটনার সাথে আর ৪/৫জন জড়িত ছিল। এ ঘটনায় প্রথমে রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে পরে তার স্ত্রী শেফালী আক্তার পারুলকে কুপিয়ে, দুই শিশু কন্যা জিনিয়া ইসলাম ও রিভাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।
প্রসঙ্গ, ১৫ডিসেম্বর/১৪ রাতের যে কোন সময় ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু,তার স্ত্রী শেফালী আক্তার পারুলকে পাশবিক নির্যাতন করে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে ও তার দুই শিশু কন্যা নত্র ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে নার্সারী শ্রেণির ছাত্রী জিনিয়া ইসলাম (৭) এবং রিভা (৪) কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ গত (২৪ডিসেম্বর-১৪) রাতে টুঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকা থেকে মামলার প্রধান সন্দেহ ভাজন আসামী মুলহুতা যশোহরের কতোয়ালী থানার পুরাতন কশবা এলাকার শামছুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান তনুকে এবং ঘটনার পর দিন নেত্রকোণা থেকে তনুর স্ত্রী হোসনা আক্তার ও তার ভাইরা ভাই রফিকুল ইসলাম ,সাইদুল ইসলাম ও আবু হানিফকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সাইদুল ইসলাম ছাড়া বাকীরা জেল হাজতে রয়েছে।
মামলাটি ডিবি পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়ার পর মামলার বাদি নিহতের পিতা আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে সিআইডিতে প্রেরণের আবেদন করলে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান তনু একাই ঘটিয়েছে ডিবি পুলিশের এমন দাবি করলেও সিআইডি পুলিশ দাবি বলছেন একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে ।
জানা যায়, নিহত বাচ্চুর পিতা ওয়ারিছ আলী আদালতে আবেদন করলে অভিযোগপত্রটি গ্রহন না করে মামলাটি সিআইডি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সিআইডি পুলিশ মামলাটি তদন্ত ভার নেয়ার পর ঘটনায় সন্দেহ ভাজন আসামী আবু হানিফাকে একটি মটর সাইকেল সহ ৩১ অক্টোবর শনিবার দুপুরে উপজেলার সিডষ্টোর বাজারের আল-মদিনা মার্কেট থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল। পরে তাকে ৭দিনে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করার পর আদালত ২দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও সিআইডি পুলিশ হাফিজুর রহমান তনুকে ২দিনের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসবাদে তিনি পুলিশকে জানায়, রাজনৈতিক ও জমি সংক্রান্ত ঘটনায় বাচ্চু ও তার পরিবার সহ খুন হয়েছে। এ ঘটনার সাথে ১০/১২জন লোক জড়িত ছিল। তনু ডিবি পুলিশ ও আদালতে যে বক্তব্য দিয়েছে সিআইডি পুলিশের কাছে দেয়া বক্তব্যের মিল নেই।
নিহত বাচ্চুর বড় ভাই তাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার পরিবারের প থেকে ১০/১২জন লোক এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করে আসলেও ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ মামলাটি সঠিক তদন্ত না করে ভিন্ন ভাবে প্রভাবিত হয়ে তড়িগড়ি করে মামলার মুলহুতা হাফিজুর রহমান তনু,তার স্ত্রী হোসনা আক্তার ও তার ভাইরা ভাই রফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ ঘটনায় পুলিশ হাফিজুর রহমান তনু, হোসনা আক্তার, রফিকুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম ও আবু হানিফাকে গ্রেফতার করে। সাইদুল ইসলাম বর্তমানে জামিনে রয়েছে।
বাচ্চুর পিতা ওয়ারিছ আলী বাদী হয়ে সন্দেহভাজন হাফিজুর রহমান তনু সহ চার জনের নাম উল্লেখ করে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ২৪ তারিখ ১৬.১২.২০১৪ইং। মামলাটি ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ তদন্ত শেষে হাফিজুর রহমান তনু,তার স্ত্রী হোসনা আক্তার ও তার ভাইরা ভাই রফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নিহতের পিতা ওয়ারিছ আলী জানান, আবু হানিফা ছিল জমির দালাল লোকজন নিয়ে হামিদ এগ্রো লিঃ এর প নিয়ে হাজী সালাহ্ উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়ির পাশের ৩০শতাংশ জমিতে জোরপূর্বক কাটা তারের বেড়া নির্মাণ করে। জমিটি দখলে নিয়ে যায় এর প্রতিবাদ করাতেই আমার ছেলে বাচ্চু,তার স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করা হয়েছে। এ গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের স্পেশাল সেলে নেয়ার জন্য দাবি করেন।
হাজী সালাহ্ উদ্দিন জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকলেও তাদের সাথে মিমাংসা হয়েছে। বাচ্চু নিহত হওয়ার পূর্বেই তার পিতা ওয়ারিছ আলীর কাছ থেকে ওই জমি ৮লাখ বিঘা দামে ক্রয় করছি আমাদের কাছে থেকে তিনি ১লাখ টাকা বায়না নিয়েছেন।
সিআইডি পরিদর্শক লুৎফর রহমান জানান,মামলাটি আমার কাছে তদন্ত ভার দেয়ার পর এ ঘটনায় সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩১ অক্টোবর দুপুরে সিডষ্টোর বাজার থেকে আবু হানিফাকে গ্রেফতার করি প্রধান সন্দেহ বাজন তনুকে ২দিনে রিমান্ডে আনার পর তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তনু স্বীকার করেন, এ ঘটনার সাথে আর ৪/৫জন জড়িত ছিল। এ ঘটনায় প্রথমে রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে পরে তার স্ত্রী শেফালী আক্তার পারুলকে কুপিয়ে, দুই শিশু কন্যা জিনিয়া ইসলাম ও রিভাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।
প্রসঙ্গ, ১৫ডিসেম্বর/১৪ রাতের যে কোন সময় ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু,তার স্ত্রী শেফালী আক্তার পারুলকে পাশবিক নির্যাতন করে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে ও তার দুই শিশু কন্যা নত্র ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে নার্সারী শ্রেণির ছাত্রী জিনিয়া ইসলাম (৭) এবং রিভা (৪) কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ গত (২৪ডিসেম্বর-১৪) রাতে টুঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকা থেকে মামলার প্রধান সন্দেহ ভাজন আসামী মুলহুতা যশোহরের কতোয়ালী থানার পুরাতন কশবা এলাকার শামছুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান তনুকে এবং ঘটনার পর দিন নেত্রকোণা থেকে তনুর স্ত্রী হোসনা আক্তার ও তার ভাইরা ভাই রফিকুল ইসলাম ,সাইদুল ইসলাম ও আবু হানিফকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সাইদুল ইসলাম ছাড়া বাকীরা জেল হাজতে রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ