ডাকাতির সময় গণপিটুনীতে আড়াইহাজারে ৮ ডাকাত নিহত; আহত ৪




নিজস্ব সংবাদদাতা ■ 
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে গণটিুনি দিলে ঘটনাস্থলেই ৭ ও চিকিৎসাধীনবস্থায় ১ ডাকাতের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৪ ডাকাত। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পুরিন্দা বাজারে হাজী গফুর ভুইয়ার  চালের দোকানে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত ডাকাতদের মধ্যে রানা (৪০) নামে এক জনের নাম জানা জানা গেলেও বাকিদের পরিচয় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল ১১টা) জানা যায়নি। তবে নিহতের বয়স হবে ১৮ থেকে ৪০ এর মধ্যে। আহতরা হলো ময়মনসিংহ জেলার কোতয়ালী থানার মিলন মিয়ার ছেলে সাব্বির(২৫), ছানা মিয়ার ছেলে সজিব(২৬), লতিফের ছেলে মানিক(৩২), চাঁদপুর সদরের ওসমান মিয়ার ছেলে লোকমান (২৮)। তাদের অবস্থাও আশংকা জনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে পুরিন্দা বাজারে একদল ডাকাত হানাদিয়ে বাজারের পাহারায় নিয়োজিত জামান, মোতালিব,আউয়াল ও নিয়ত আলীকে হাত-পা বেঁধে বাজারের হাজী গফুর ভুইয়ার ভাই ভাই স্টোর এর তালা কেটে চাউলের আড়ত থেকে চাউল ডাকাতদের ট্রাকে তুলতে থাকে। ঐ সময় বাজারের মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে আসলে তাদের কয়েকজনকেও হাত-পা বেঁধে ফেলে ডাকাতরা। এ ঘটনা অন্যান্য মুসল্লিরা দেখে মসজিদের মাইকে বাজারে ডাকাত পড়ছে বলে হৈচৈ শুরু করে। মাইকে মুসল্লিদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের মসজিদ থেকেও ডাকাতির সংবাদ মাইকে প্রচার করতে থাকলে পুরিন্দা ও আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের শতশত লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া দেয়। পরে জনতা পুরিন্দা বাজার থেকে ৩ জন, পুরিন্দা রোকনউদ্দিন মোল্লার মাঠ থেকে ৪জন, পুরিন্দা আনোয়ার মেম্বারের পুকুর থেকে ৩জন ও বাগবাড়ি থেকে ২ ডাকাতকে ধরে গণপিটুনী দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ ডাকাত নিহত হয়। এলাকাবাসী ডাকাতদের চাউল ভর্তি ট্রাকটিও আটক করেছে।

এছাড়া ডাকাত পাকরাও করতে আসা কয়েক হাজার মানুষ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জড়ো হওয়ায় ভোর রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

আড়াইহাজার থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আরিফুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহত ডাকাতদের লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ