সবুজ পাহাড়ে আদিবাসী মনকাঁড়া নৃত্য

07

মোঃ মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ :  স্থানটি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী বনভিটের কালিগজিয়া ত্রিপুরা পল্লী স্কুল প্রাঙ্গণ। এখানে শুক্রবার দিনব্যাপী কালিগজিয়া আদিবাসী নারী কল্যাণ সমিতি ও ত্রিপুরা যুব সংঘের আয়োজনে ‘কালিগজিয়া ত্রিপুরা ট্রেডিশনাল-২০১৫’ উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ের তাঁত শিল্প ও সাংস্কৃকিত চর্চাকে এগিয়ে নিতে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত হন এমপি কেয়া চৌধুরী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আওয়ামী পরিবারের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আদিবাসী স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা প্রথমেই দেশীয় গানের সঙ্গে মিল রেখে নৃত্য পরিবেশন করে। এরপর মধুদেব বর্মা, মিনুকাদেব বর্মা, অরুণা দেব বর্মা, সুমা দেব বর্মা, পপি দেব বর্মা, তমালিকা দেব বর্মা, তন্মী দেব বর্মা, সুমী দেব বর্মা, রিমু দেব বর্মা, লিলি দেব বর্মা, সুর্ব দেব বর্মা, মহেন্দ্র দেব বর্মা, দেবেন্দ্র দেব বর্মা, গোপিন্দ্র দেব বর্মা, সোনামনি দেব বর্মা, স্বরজয় দেব বর্মা, রাজেন্দ্র দেব বর্মা, বিনয় দেব বর্মা, যতীন্দ্র দেব বর্মারা মিলে একে একে হাপিং, মুই, মাইশিং, বাইলিংসহ নানা ধরনের নৃত্য পরিবেশ করে সবুজ পাহাড় মাতোয়ারা করে তুলেন। দেশীয় ও আদিবাসী সঙ্গীতের তালে তালে নৃত্য মূর্ছনায় অতিথিরা মুগ্ধ হয়ে উঠে। তারা এসব নৃত্যের ভুয়সী প্রশংসা করে। এ প্রসঙ্গে এমপি কেয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের পাহাড়ের তাঁত শিল্প রয়েছে। রয়েছে সাংস্কৃতিক চর্চাও। আদিবাসী নারীরা নৃত্য আর সঙ্গীতে অনেক এগিয়েছে। এখানের শিল্পীরা জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে পারবে। এজন্য আমার সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখানের সাংস্কৃতিক চর্চা গতিশীল করতে কালচারাল ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে সার্বিক চেষ্টা করব।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, নৃত্য দেখে মন ভরে উঠেছে। তাদের মধ্যে প্রতিভা রয়েছে। এসবের বিকাশ ঘটাতে হবে।কালিগজিয়ার ত্রিপুরা পল্লীর বাসিন্দা এটিএন বাংলার সাংবাদিক নিরঞ্জন দেব বর্মা বলেন, ‘নৃত্যে আমাদের নারীরা যেমনটা, তেমনি যুবকরাও এগিয়ে রয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে এখানের নৃত্য ও সঙ্গীত শিল্পীরা বহুদূর এগিয়ে যাবে।’

মন্তব্যসমূহ